Friday, October 16, 2015

সাসটেইনেবল লাস্ট


একটা গভীর সংগোপন ঈর্ষার কথা শেয়ার করে । গোপন ঈর্ষাটি ধর্ষকদের প্রতি। বলেছিলাম যারা ধর্ষণ করে তাদের একটা ব্যাপারে আমার ঈর্ষা হয় । একটা নারী, মেয়ে প্রাণপন ঘৃণা, হতাশা, বিরক্তি, ভয় নিয়ে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে । আর ধর্ষক সেসবকে উপেক্ষা করে , শারিরীক শক্তি খাটিয়ে, সেই অবস্থাতে উত্তেজিত হয়ে জোরপূর্বক ঢুকে যাচ্ছে তার ভিতর । কতখানি উদ্দাম লালসা থাকলে এটা সম্ভব ? কতখানি সাসটেইনেবল ইরেকশন থাকলে এমন অবস্থায়ও প্রবেশ করানোর মত অবস্থা থাকা সম্ভব ?

আর আমি ! উত্তুঙ্গ তন্বী তরুণীর শরীর দেখে সারাদেহপ্রাণে লালসা বোধ করলেও যে মূহুর্তে তরুণীর চেহারারেখায় বিন্দুমাত্র বিরক্তি বা উপেক্ষার সামান্যতম ছাপ চোখে পড়ে অমনি সেঁধিয়ে যেতে থাকি ভিতরের দিকে । শরীর মন ধনসম্পদ সমস্তুকিছু সমেত ।

ঠাস করে চড় মারার মত করে ভালোতর অর্ধেক বলে উঠলেন, হোয়াট দ্য ফাক ! পিশাচের পৈশাচিকতা নিয়ে ঈর্ষা করো ? এ কেমন বিকৃত ঈর্ষা । কিসের সাথে কিসের তুলনা করো !

এ না হয় অতিরিক্ত নাটুকেপনা হলো । তবু জীবনের এই সময়ে এসে ভালোতর অর্ধেকের উদাত্ত আহবানের মুখেও লালসাকে তাঁতিয়ে তুলতে বেগ পেতে হয় ব্যাপক ।

ও হ্যাঁ । সময় একসময় ছিলো । বয়োঃসন্ধির উর্বরা সময়ে দেহমনে উত্তাল কামনার চোটে জর্জরিত সময় গেছে ব্যাপক । লাখে লাখে হবু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার পাইলট ভেসে গেছে কমোডের পানির সাথে । একটু ঊষ্ণতার, একটু ঘনিষ্ঠতার, না পেয়ে একটু নিজের সাথে নিজ জীবনের মধুচাক ভেঙে খাওয়ার ইচ্ছার সাথে না পেরে মাহে রমজানের পবিত্রতা ভেংগে উড়িয়ে দিয়েছি কোটি কোটি হবু পাইলট । ভাসিয়ে দিয়েছি । সারাদিনমান তবু উপোস থেকে আকাশের উপরের সে পবিত্র সত্তার কাছে মাফ চেয়েছি গোপনে । হে প্রভু, ইয়া পরওয়ারদিগার , মানুষ , পুরুষ মানুষ করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছো । হে সর্বজ্ঞানী , অন্তর্যামী , তুমিতো জানো , এ তোমার আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শরীর ছেনে মজা নেয়া নয় । এ নয় অবাধ্যতা, অহংকার । নয় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়ার ছেলেখেলা । বলবোনা এ সেই দূরাচার শয়তানের কুমন্ত্রণা । তুমিতো জানো , এ জিনিস তোমার সৃষ্টির দুর্বলতা । মাখলুকাতের এ দুর্বলতা, এই অক্ষমতা ক্ষমা করো ইয়া গফুর ।


তীব্র খরাদাহ, দুর্ভিক্ষ, দুঃসময়, দুঃস্বপ্নের মত এ পর্যায় পার হয়ে যায় শেষতক । কারো মাংসের কাংখিত উষ্ণতা, জলপানিকাদার শীতলতা পাওয়া ছাড়াই । নিজ জীবনের মধুচাক ভেংগে যখন তখন খাওয়ার সে প্রবণতা ততদিনে পরিণত হয়েছে দৈনন্দিন রুটিনে । সকালে উঠে দাঁতব্রাশ, দিনে তিনবার খাওয়া, বিকেলে হাঁটতে যাবার মত, রাত্রে ঘুমানোর আগে টাট্টিখানায় সেদিনের হবু নাবিক পাইলটের বীজ ভাসিয়ে দিয়ে আসা । রোজ গোধূলীতে সাঁঝপ্রদীপ জ্বালনোর মত নৈমিত্তিকতা ।

এদিকে তদ্দিনে ব্রে খেলার ইশকার বিবির মতন জীবনে এসেছেন হবু ভালোতর অর্ধেক । লাখে লাখে বুভুক্ষ আবালবৃদ্ধযুবক বাংগালীর চোখের চাটা উপেক্ষা করে হবু ভালোতর অর্ধেকের সাথে রিকশায় চড়ে ভাগাভাগি করেছি পারস্পরিক উষ্ণতার কতক । কখনো ডেসপারাডো হয়ে নিজবাড়ি অথবা হবু শ্বশুরবাড়ির নানান চিপায় চাপায় চুরি করে নিয়েছি কয়েকটি গভীর আলিঙ্গন, কোমল মাংসের চোখ অন্ধ করে দেয়া উত্তাপ ও পেলবতা , হাতের তালুতে ।

নাহ , সেমত উপভোগ করি নাই দুজনের কেউই । তবু নরনারীর শারীরবৃত্তে প্রকৃতির অবিবেচক বৈষম্যের কারণে কিছু কিছুবার পুরুষ আমি গোপণে আন্ডারগার্মেন্ট ভিজিয়ে দিয়ে তখন পর্যন্ত জীবনের কাছ থেকে পাওয়া সর্বোচ্চ উপভোগ পেয়ে গেছি । সংগিনীর সন্তোষের মত ব্লাসফেমিক চিন্তা মাথায় আসে নি ।

এইসব দুঃসময় পেরিয়ে একদিন লাইসেন্সখানি তুললাম । তখনও কিছুদিন ছিলাম বনমোরগের মত উদ্দাম । বয়ঃসন্ধির দুর্বার সেময়ের মত নয় বিন্দুমাত্র । ভিতর থেকে উঠে আসে উষ্ণতা ও জলকাদার ইচ্ছের মত নয় । বরং হাজার টাকায় অল-ইউ-ক্যান-ইট রেস্তোরায় ঢুকিছি বলে পেটের তলদেশ থেকে গলার কাছাকাছি পর্যন্ত না খেলে হাজারখানেক টাকা নেহাত জলে যাবে, এমন চিন্তায় বুফেতে আপাত তেমন ক্ষুধা নাই, রুচি নাই কাস্টমারও যেভাবে খায় , সেভাবে ।

এজ ইউজুয়াল , এসবের একটা সীমা থাকে । খুব কাছেই থাকে সে সীমানা । এক কি দুই সপ্তাহ । তারপর থেকেই আর ক্ষুধা নাই , রুচি নাই । কখনো কখনো ভোরে আসে । মর্নিং উড । এক যুগের অবদমিত উষ্ণতার ইচ্ছে, সুতীব্র কামনা সমস্ত কিছু উল্টে পড়ে থাকে পানি দিয়ে নিভিয়ে দেয়া লাকড়ির চুলার রাত্রিকালীন নিঃসঙতার মত । বৃষ্টির পর উঠানে জমে থাকা অনাকাংখিত ছোট ছোট জলকাদার পুডলের মত ।

এদিকে ভালোতর অর্ধেকের ভিতরে পাহাড় হতে থাকে হতাশা । জীবনের অবিচারের প্রতি বিতৃষ্ণা । আর আমার কাছে সেসবের সামনে মুখোমুখি হওয়াতেও ভর করে সাত পৃথিবীর আলস্য । এমন না যে একেবারে দপ করে চিরতরে নিভে গেছে সবকিছু । কখনো, কখনো পুরাতন শরীর মনে হালকা তরংগ জাগে বৈকি । তবে চূড়ান্ত কর্মশুরুর আগের হালকা খুনসুটি, একটু আবেগঘন ডাক, দুএকটা কথাবার্তা , স্পর্শ এসবকেও মনে হতে থাকে দুপয়সার আনন্দের জন্য দুলাখ টাকা খরচ করার মত । তার চেয়ে বরং ব্রিয়েলা বাউন্স কি এলেক্সিস টেক্সাসের ম্যাসিভ ব্যাকসাইড দুলুনি দেখে অর্ধজাগ্রত ধনসম্পদ থেকে প্রায় জোর করেই, টিস্যুতে মুড়ে হতে পারতো পাইলট, ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ারের দলকে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়াকে মনে হয় চরম এফিশিয়েন্ট । হ্যাঁ, তদ্দিনে বৈষয়িক কিছুটা উন্নতি এসেছে । টিস্যু কিনে খরচ করতে পারি ইচ্ছামত ।


মাই ব্যাডেস হিরো, দার্শণিক, কমেডিয়ান , গুরু, ওস্তাদ, আধ্যাত্নিক সাধক লুইস সি কে’র (Louis C K) কিছু ফাইনার পয়েন্টের মর্ম বুঝতে শুরু করি । চল্লিশ বছর বয়স পার করা নিয়ে কোন একটা স্ট্যান্ডাপ কমেডি শোর কোন একটা পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন গুরু । চল্লিশ পার করে এসে জীবনের প্রতি কিছুটা সন্তুষ্ট তিনি । কারণ তার অবিরত, উদ্ভট, পার্ভার্টেড যৌনতাড়নাতে ভাটা লেগেছে । এই ভাটার কারণে জীবনের অন্যান্য দিক আরো ভালো করে উপভোগ করতে পারছেন তিনি । আগে খুবই সুন্দর, খুবই সেক্সি কোন তন্বী তরুণীর দিকে তাকালে তার ভিতরে গভীর দুঃখ এসে ভর করতো । মনে হতো, এই দেবী, এই পরীকে কি তিনি কোনদিন পাবেন । নিজের সর্বোচ্চ ভালো ব্যাবহার, সর্বোচ্চ ভালো আচরণ, সর্বোচ্চ পরিপাটী অবস্থা দেখানোর একটা প্রচেষ্টা থাকতো । আর এখন ভাটার সময়ে এসে যত তন্বী, যত রুপসী অপ্সরাই চোখে পড়ুক না কেনো , বিন্দুমাত্র নিজেকে পরিপাটীরুপে উপস্থাপণের চিন্তা না করে বলে দিতে পারেন, ফাক অফ । হু কেয়ারস । তুমি সুন্দরী । আমার বালের কি । বাসায় গিয়ে জ্যাকফ করে নেবোনে । তোমার সাথে ডিল করার চাইতে অনেক ভালো সময় কাটবে তাতে ।

ওস্তাদের তিন-চতুর্থাংশ বয়সে এসেই আমার ভিতরে এই উপলব্ধি তৈরী হয়ে গেছে । কখনও কখনও এমন কাউকে দেখি , উত্তুংগ তন্বী তরুনী অপ্সরী । এপ্রোচ করার চিন্তা বিন্দুমাত্রও মনে জাগে না । আরেকজন মানুষের কাছ থেকে সুখ নেয়ার চিন্তা করলে , তার আগে ও পরে যেসব বিস্তারিত পেইন ইন দ্য এস এর ভিতর দিয়ে যেতে হবে তার চেয়ে জ্যাকফ হাজার গুণ এফিশিয়েন্ট, হাজার গুন সন্তোষজনক । এমনকি চিকিৎসা, থেরাপি বা ডু দিস টেন থিংস টু স্পাইস আপ ইওর সেক্স লাইফ , এসব করে লালসাকে সাসটেইন করার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছাও নাই । যে পর্যায়ে আছে লালসা, তাতে আমি সুখীর চাইতেও বেশি সুখী । ক্রমাগত ব্যাপক হাগা ধরে থাকার মত অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে আবার নিজে থেকে সেই অবস্থায় ফিরে যাবার চেষ্টা ?? রাম রাম । নিজ শরীরে একবিন্দু রক্ত অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত না ।

তবে একেবারে নির্লিপ্ততার ধাতু দিয়ে আমি তৈরী নই । যেকোন সমস্যার দার্শণিক বোঝাপড়া নিয়ে চিন্তাটা অটোমেটিক চলে আসে মাথার ভিতর । শরীরের কামনা মিটাতে চায়, কিন্তু প্রোফেইন রিচুয়ালের ভিতর দিয়ে যেতে না চাওয়া মানুষের জন্য কি কোন আশা নাই, কোন ভরসা নাই, কোন উপায় নাই ?

দ্যান ইট হিট মি ।


গভীর সমস্যার ছ্যাপলেপ দেয়া, তালিপট্টি, জোড়াতালি দেয়া সমাধান দিয়ে আমি খাই । কিম কার্ডাশিয়ান, নিকি মিনাজ যে যাদুর আরক নিজেদের বুকেপাছায় ঢুকিয়ে ইন্টারনেট ভেংগে দিচ্ছে দুদিন পরপর , সেসব দিয়ে কি কিছু করা যায় না ? তিনটি শব্দের এক শব্দবন্ধ মাথায় আসলো । সিলিকোন সেক্স ডল । গুগলে সার্চ দিলাম, হাউ ডাজ সেক্স উইথ এ সেক্স ডল ফিল ।

যেনো সাত পৃথিবীর প্যান্ডোরার বাক্স খুলে আসলো আমার সামনে । ইন্টারনেটের অলিগলিতে এত এত মানুষ এতশত প্যাশন নিয়ে মাসের পর মাস তর্কবিতর্ক , আলোচনা, রেফারেন্স দিয়ে ভরে রেখেছেন যে সেসব নাম না জানা হিরোদের উপর শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে এমনিতেই । ঘুরে দেখলাম এইসব সেক্স ডল এনথুজিয়াস দের ফোরাম । সেখানে তারা কতশত নাদানের কতশত প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন, কতশত সূক্ষ্ণ পয়েন্ট নিয়ে থিসিস, এন্টিথিসিস, সায়েন্টিফিক স্টাডি রেজাল্ট, এক্সপার্ট অপিনিয়ন দিচ্ছেন তার ইয়ত্তা নাই । এইসব দিস্তা দিস্তা আলোচনা সমালোচনা পড়ে শেষমেশ যেটুকু বুঝলাম তা হচ্ছে, লাইফ সাইজ সেক্স ডল মোটামুটি রিয়েল লাইফ অপ্সরীর মতই কাজে দেয় । এবং হতাশার খবর হচ্ছে তাদের নিয়ে হ্যাপাটাও রিয়েল লাইফ অপ্সরীদের তুলনায় কিছুমাত্র কম নয় বলেই মনে হলো । একেকজনের দাম সাত থেকে দশ হাজার ডলারের মত । সব রকমের পজিশন সম্ভব নয় । বেশ সতর্কতার সাথে ব্যাবহার করতে হয় । কারণ কাঁটাছেড়া হলে খুব দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায় । এতো আর জীবিত প্রাণী নয় যে নিজের ভিতর থেকে ক্ষয়পূরণ করবে । লাইফ সাইজ হলে সেটার পরিবহনেও সমস্যা । বেশ ওজনও হয় । নিজে থেকেতো হাঁটতে পারবে না । যেনতেন করে উঠিয়ে নিয়ে গাড়ীতে বসিয়ে দেয়া যাবে না কাটাছেড়াভাংগার ভয়ে । পরিষ্কার করাটা এক বিশাল ঝামেলায় কাজ । মোটামুটি কিছুকিছু ক্ষেত্রে মনে হলো বরং বাস্তব অপ্সরীদের তুলনায় বরং ঝামেলা আরো বেশি । এবং অবশ্যই সন্তুষ্টি কখনো বাস্তব মানুষের সমপরিমাণ নয় । তাও অনেকে এই অপশনকে বেছে নিয়েছেন কারণ বাস্তব জীবনের অপ্সরীদের সাথে যেমন হয় সেমত ইমোশনালি ড্যামেজতো হতে হচ্ছে না তাকে । টাকাপয়সাপরিশ্রম না হয় খরচ হলো ।

ইন্টারনেটের এইসব আনসাং হিরোদের কাছ থেকে জ্ঞানের ভান্ডার নিয়ে এসে মনে হলো , নাহ, যারা বিস্তারিত ঝামেলার মধ্য দিয়ে যাওয়া ছাড়া নিজেদের লাস্ট মিটাতে চাচ্ছেন তাদের জীবন এখনো সহজ হয়ে যায়নি । তবে ইঞ্জিঞ্জিয়াররা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । তার সব সময়েই চেষ্টা চালিয়ে যান , এখানে সেখানে আরো একটি দুটি জোড়া, একটি দুটি তালি যোগ করতে করতে ।


নিজের জন্য বরং এই আনসাসটেইনেবল লাস্টই নিজভাগ্যে পাওয়া কাঁচা ঘর খাসা মনে হলো আমার । এখন পর্যন্ত জীবনের সবচে শান্তিময় অবস্থা, অন্তর্গতভাবে, নিজের ভিতরে , এটা । খানিকটা বা বেশকিছুটাই স্বার্থপরের মত হয়ে গেলো । তবু সেইসব অসহ্য সময়ে ফিরে যাবার চাইতে স্বার্থপরের অপবাদ বরং রাজার মুকুট ভেবে পরে থাকতে রাজি । একদিকে সমাজ ধর্ম জীবনের কঠোর যাতাকলে , অন্যদিকে জন্তুর মত দুর্বার, দুর্নিবার কামনার চাপে থেকে অবদমনের সেইসব দিনগুলিতে কোন রোমান্টিক ফিকশনও পড়তে পারতাম না , নিজের জীবনের ঘটনাহীনতা, উপায়হীনতা নিয়ে গভীর দুঃখ জাগতো বলে । এখন নির্দ্বিধায় অন্যের একান্ত ব্যাক্তিগত রগরগে, নিম্ফোম্যানিয়াক উপাখ্যানও পড়ে যেতে পারি অনুভুতিহীন ।

নাউ আই ডোন্ট গিভ আ ফাক । লিটারালি।