কিছুদিন আগে এসব ওয়াসওয়াসা দানকারী মুভির ট্রেইলার দেখি। ছি: ছি: বলিনি, পা থেকে পয়জারযুগল কেন যেন হাতে উঠে আসতে চাইছিল। এগুলো নাকি শিক্ষা নেয়ার জন্য বানানো হয়েছে বলে আমাকে বুঝ দিলেন জনৈক পণ্ডিত।
আসলেই কি তাই?
সিনেমায় খোলামেলা অভিনয় বাস্তব চিত্রকে দেখায়না, আমরা দর্শকেরা পুলিশ নই যে, ধর্ষণ প্রমাণিত করতে মেডিকেল চেকাপের কপি দেখতে চাইব, বিচারের ভার, শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব সেটাও আমাদের কাঁধে চাপেনা।
আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি- সিনেমায় ধর্ষণ, খুন, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, ঘুষ ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে যে গতানুগতিক বাংলা সিনেমাগুলি বানানো হয় তা দেখে কি দেশে এসব অনৈতিক কর্ম বন্ধ হয়েছে?
বরং ছোটবেলায় আমরা সিনেমা দেখে কাঠের বন্দুক নিয়ে ফাইট করতে নেমে যেতাম।
মাস্তানি করাটা ফ্যাশন মনে করতাম, সেভেন আপের কাচের বোতলে পানি ভরে মদপানের অভিনয় করতাম।
আবার দেশপ্রেমের সিনেমা দেখে মনের মধ্যে লাল- সবুজের আঁচড়ে ৫৬ হাজার বর্গমাইলকে এঁকে নিয়ে বাড়ি ফিরতাম, দেশের শত্রুদের অভিশাপ দিয়ে আর আচ্ছা করে মনে মনে প্যাদানি দিতে দিতে।
আজকাল তো সমাজে বাবার হাতে কন্যা ধর্ষিতা হচ্ছে, সেটাও কি অভিনয় করে ধর্ষণের স্তরগুলি দেখাতে হবে? বোমা বানানো খারাপ, তাই দেখাতে গিয়ে কি সুন্দরভাবে বোমা বানানো সরঞ্জাম দিয়ে কিভাবে বানাতে হয় পই পই করে দেখাবেন সিনেমায়?
সমাজের নেতিবাচক দিকগুলি বারবার না দেখিয়ে ইতিবাচক চিন্তা গুলি অভিনয়ের মাধ্যমে যত বেশি দেখানো যাবে তত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এই আপনারাই বাজে সিনেমা দেখে মাথাগরম করেন, আবার ভালো দৃশ্য দেখে দেশপ্রেমে জানটা বাজি ধরতে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন। কোনোটা দেখে রোমান্টিক হয়ে যান, আবার কোনোটা দেখে অন্ধকার টিভিকক্ষে চোখটা চুলকানোর ভান করে পানি মোছেন।
ভেবে দেখুন কোনটা ভালো
বি দ্রঃ আমি জানি আমার এই পোস্ট দেখে অনেকেই ইউটিউব এ চলে যাবেন, আপাতত তার দায়ভার আমি নিতে পারছিনা।