Tuesday, October 20, 2015

আপনি আস্তিকঃ-


আপনি আস্তিক, আপনি আপনার চিন্তা ধারণা কে সঠিক মনে করেন।আপনি আপনার মতবাদ রাষ্ট্র বেবস্তায় আনতে চান। আপনি ইশ্বরের করুনার জন্য মানুষ মারতে চান। আপনি সমাজ বেবস্তায় আপনার মতবাদ চালু করতে চান ।
কিন্তু আপনি যে নিজের চিন্তা ধারণা কে সঠিক মনে করছেন তার জন্য কি আপনি পর্যাপ্ত পরিমান পড়াশুনা করেছেন? আমরা জানি যে যে যত বেশি পড়বে তার নির্ভুলতার পরিমান তত বাড়বে।
আপনি দর্শনের ঈশ্বর সম্পর্কিত সমসসা পড়েছেন? আপনি কি সমাজবিজ্ঞানের ধর্মের উত্পত্তি সম্পর্কিত মতবাদ গুলো পড়েছেন? আপনি কি জীববিজ্ঞানের বিবর্তন পড়েছেন? আপনি কি পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্রিং তত্ত্ব, কোয়ান্টাম পদার্থ বিজ্ঞান, বিগ্বাং, inflation theory, m- theory ইত্যাদি পড়েছেন?
আপনি যদি মনে করেন যে ওগুলো নাস্তিকদের বই তাই ওগুলো ভুল, এগুলো পরার দরকার নাই, তাহলে কি আপনি সঠিক কথা বললেন? ওগুলো যদি ভুল হয় তাহলে তো আপনার জন্য ইশ্বরের করুণা পাওয়ার একটা বিরাট সুযুগ - যে করুণা পাবার জন্য আপনি হাজার হাজার মানুষ নির্দিদায় মারতে পারেন। আপনি ওগুলো পড়ে ওগুলো ভুল ধরে যদি প্রচার করেন তাহলে তো দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষ আপনার লেখা পড়ে ধার্মিক হবে। উপরিউক্ত বিষয় গুলোর কথাও ঈশ্বর কে পাওয়া যায় নাই। আপনি যদি ভুল ধরে ঈশ্বর কে প্রমান করেন তাহলে কোটি কোটি মানুষ মুহুর্তের মধ্যে ধার্মিক হয়ে যাবে। এই বিরাট সুযুগ আপনি হারাবেন কেন? আর আপনি তো মানুষ কে ধার্মিক বানাইয়া মানুষের উপরকার করতে চান। তা করার জন্য ও আপনার ওগুলো পড়ার দরকার ও তাদের ভুল গুলো প্রচার করার দরকার।
আবার আপনি যদি মনে করেন যে আপনি ওগুলো জানেন ভালো কথা। কিন্তু আপনি জানেন বলিয়া যদি বলেন যে "বিবর্তন একটা তত্ত্ব" বা "বানর থেকে মানুষ হয়েছে" বা "বানর থেকে মানুষ হলে কেন আমরা একটা বানর থেকে মানুষ হতে দেখিনা" তাহলে কি তার মানে হবে যে আপনি ওগুলো জানেন? এগুলো তো প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশ্ন যা একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাকে বিবর্তন নিয়া বললে প্রথম যে প্রশ্ন গুলো সে করবে এগুলো সেই প্রশ্ন। আপনি কোনো বেপারে জানার পর নিশ্চয় প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশ্ন করতেন না।
আমাদের বাস্তব জীবনে যখনি আমরা কোনো কিছু নিয়া চিন্তা করি বা পরি তখনি নতুন কিছু জানি যা আগে আমরা জানতাম না। অতচ না জানার আগে আমরা মনে করি যে আমরা সবকিছু বুজি। ইটা সাভাবিক। আপনি যদি ওই বিষয়গুলো পরেন দেখবেন আপনি এমন কিছু জানবেন বা বুজবেন যা আগে চিন্তাও করেন নাই। পরার পর যদি মনে করেন যে ওগুলো ভুল আপনি ভুল ধরে প্রচার করুন।
কোয়ান্টাম এর একটা ঘটনা উল্লেখ করি, দেখেন আপনি যদি কোয়ান্টাম না পরে থাকেন তাহলে ইটা কি আপনার কল্পনাকে ও হার মানে না? যা আপনি না পড়লে জানতেন না।
আপনি স্কুল থেকে বাড়ি যেতে পারেন দুইটা রাস্তা দিয়া। আপনি কি একই সময়ে দুইটা রাস্তা বেবহার করে বাড়ি যেতে পারবেন? সাধারণ বিজ্ঞান অনুসারে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু কোয়ান্টাম এ একটা ইলেক্ট্রন একই সাথে অনেকগুলো পথ অনুসরণ করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারে।
আপনি মনে করেন আপনি নাস্তিকের চাইতে বেশি জানেন। জানার জন্য দরকার পরা।যে যত বেশি পড়বে সে তত বেশি জানবে - এটাই সাভাবিক। একজন নাস্তিক ধর্ম ও বিজ্ঞান পড়ে নাস্তিক হয়। আর আপনি যদি শুধু ধর্ম পরে (বেশিরভাগ আস্তিক কিন্তু ধর্ম ও পরে না) মনে করেন আপনি বেশি জানেন সেটা কিভাবে সম্ভব হবে?