Friday, October 16, 2015

প্রায় ৪,৮০০ বছর পর আবিস্কার হলো নূহ নবী ( আ: ) জাহাজের ধ্বংসাবশেষঃ-


চীনা ও তুর্কী গবেষেকদের সমন্বয়ে গঠিত নোয়াস আর্ক মিনিস্ট্রিজ ইন্টারন্যাশনাল নামক হংকং ভিত্তিক একটি সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, তুরস্কের মাউন্ট আরারাত এর ১৪,৭০০ ফুট উঁচুতে স্তরীভূত কাঠের জাহাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে তারা দেখিয়েছেন, জাহাজটির গঠন কাঠামো এবং অভ্যন্তরিন অন্যান্য নিদর্শন থেকে তারা ৯৯.৯ ভাগ নিশ্চিত যে এটিই কোরান ও বাইবেলে উল্লেখিত নূহের কিস্তি। সংস্থাটি জাহাজের কার্বন পরীক্ষাও সম্পন্ন করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে স্তরীভূত কাঠের বয়স ৪,৮০০ বছর। অনুসন্ধানী দলের সদস্য ইয়ং উইং-চুং, যিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, বলেছেন : আমরা ১০০ ভাগ নিশ্চিত নই যে এটা নূহের কিস্তি, তবে আমরা ৯৯.৯ ভাগ নিশ্চিত যে এটাই সেটা। – খবর ফক্স নিউজ (২৮ এপ্রিল ২০১০) নূহ নবী (আ)’র মহাপ্লাবন সূরা হুদ ৪২ থেকে ৪৪ নম্বর আয়াত – আয়াতে বলা হয়েছে, “পর্বত প্রমাণ তরঙ্গের মধ্যে এ (নৌকা) তাদের নিয়ে বয়ে চললো, নূহ তার পুত্রকে যে (তাদের ডাকে) পৃথক ছিল, ডেকে বললেন, হে বৎস আমাদের সঙ্গে আরোহন কর এবং অবিশ্বাসী কাফেরদের সঙ্গী হয়ো না।” হযরত নূহ (আঃ) বহু বছর বেঁচে ছিলেন এবং মানুষকে সৎ পথে আনার জন্য তিনি বহুকাল ধরে চেষ্টা চালান। কিন্তু এক পর্যায়ে দেখা গেল তার সম্প্রদায়ের মুষ্টিমেয় মানুষ ছাড়া আর কেউ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে রাজী হলো না, বরং তারা হযরত নূহ (আঃ)কে নিয়ে নানাভাবে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা শুরু করলো। ফলে গোয়ার্তুমী ও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদের উপর ঐশী শাস্তি অনিবার্য হয়ে পড়ে। আল্লাহ তার বিশিষ্ট পয়গম্বর হযরত নূহ (আঃ)কে বিষয়টি অবহিত করলেন। আল্লাহর নির্দেশ মত হযরত নূহ একটি বিশাল কিশতী বা নৌকা তৈরী করলেন। এরপর একদিন আল্লাহর শাস্তি দুনিয়াকে গ্রাস করলো, মাটি থেকে পানি উদগত হতে লাগলো এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে থাকলো। কোরআনের বক্তব্য অনুযায়ী পাহাড়ের মত তরঙ্গ পৃথিবীকে গ্রাস করলো, মহাপ্লাবনে সব কিছুই তছনছ হয়ে গেল। হযরত নূহ (আঃ) এর সঙ্গী সাথী এবং নৌকায় আশ্রিত অন্যান্য প্রাণী এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেন। কিন্তু বিষ্ময়ের বিষয় হচ্ছে, হযরত নূহ (আঃ) এর পুত্র কেনআন কাফেরদের দলভুক্ত হওয়ার কারণে নৌকায় উঠতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু যখন মহাপ্লাবনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল, হযরত নূহ (আঃ) এর মনে যেন পিতৃস্নেহ জেগে উঠলো, তিনি স্বস্নেহে পুত্র কেনআনকে কাফেরদের দল ত্যাগ করে মোমিনদের কাতারে শামিল হওয়ার আহ্বান জানালেন। সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের যে দরদ এবং তাদের মঙ্গল ও ভাবিষ্যতের ব্যাপারে পিতা মাতার যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে, কেনআনের প্রতি হযরত নুহ (আঃ)এর আহ্বানে তা ফুটে উঠেছে। এছাড়া অসৎ সঙ্গ বা কাফের মুশরেকদের সাথে ওঠা বসার কারণে যে কেউ এমনকি পয়গম্বরের সন্তানও যে পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে, এই আয়াত তারই উদাহরণ। এবারে সূরা হুদের ৪৩ নম্বর আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক। এ আয়াতে বলা হয়েছে, অর্থাৎ “(হযরত নূহের পুত্র) বললো, আমি এমন এক পর্বতে আশ্রয় নেব যা আমাকে প্লাবন হতে রক্ষা করবে। (হযরত নূহ) বললেন, আজ আল্লাহর বিধান হতে রক্ষা করার কেউ নেই। (রক্ষা পাবে) সেই যাকে আল্লাহ দয়া করবেন। এরপর তরঙ্গ ওদের বিচ্ছিন্ন করে দিল এবং (হযরত নূহের পুত্র) নিমজ্জিতদের অন্তর্ভুক্ত হলো।” এটি অনেক বড় পোস্ট এবং অনেক ইমেজ হওয়ার জন্য এখানে সম্পূর্ণ পোস্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না । তাই যদি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়তে আপনাকে নিচের লিংকে ক্লিক করতে হবে http://www.islamforuniverse.com/ archives/2109