Thursday, October 1, 2015

অগ্নিবীরসহ অনলাইন হিন্দুদের মিথ্যাচারের জবাবঃ বেদ সহ সকল গ্রন্থে গরুর মাংস ও অন্যান্য প্রানীর মাংস খাওয়ার বিধানঃ


কোরবানী আসার সাথে সাথে অনলাইনের হিন্দুদের চুলকানি দেখা যায়। তারা বলে মুসলিমরা বর্বর। মুসলিমরা পশু জবেহ করে উতসব করে,ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা একপাশে মুসলিমদের কোরবানীর ছবি দেয় ও আরেক পাশে কোন বাচ্চা মেয়ে মাথায় টিকলি দিয়ে গরুকে জড়িয়ে ধরেছে এমন ছবি দেয়, এটা দেখাতে যে হিন্দু ধর্ম কত শান্তির ধর্ম।মুলত বিজ্ঞান ও নিজেদের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে অজ্ঞ এসব হিন্দুদের জবাব দেয়ার জন্যই এই পোষ্টটা লেখা। মুসলিমদের গালি দেয়ার আগে হিন্দুদের দেখা উচিত, যে আসলে তাদের ধর্মে কি আছে ?
 আবার অনলাইনে এক অগ্নিবীর ও আর্য নামে একদল হিন্দুকে পাওয়া যায় এরা বেদের বিভিন্ন অপব্যাখা ও মিথ্যাচার করে প্রমানের চেষ্টা করে যে বেদ গরু সহ সকল প্রকার প্রানী হত্যা করা নিষেধ ।যেমন অগ্নিবীর এর এই লেখাটা দেখুন।http://agniveer-bangla.blogspot.com/... এই লেখাটির পয়েন্ট বাই পয়েন্ট জবাব দেয়া হবে সবার শেষে। তবে তার আগে হিন্দু ধর্মে গরুসহ অন্যান্য প্রানী খাওয়ার রেফারেন্সগুলো দেখা যাক। মূলত হিন্দুদের প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ খুব স্পষ্টভাবে গরুসহ অন্যান্য প্রানী হত্যা করে খাওয়ার কথা বলেছে। এবং হিন্দুদের কোন ধর্মগ্রন্থ বলেনি যে, শুধু নিরামিষ খাও। ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম প্রত্যেক হিন্দুকে।
 হিন্দুরা বেদের রেফারেন্স দিলে অভিযোগ করে যে, এগুলা নাকি খ্রিষ্টান মিশনারীদের অনুবাদ, যেমন উক্ত লিংকে অগ্নিবীর লিখেছে,
 “পশ্চিমাদের করা এই অনুবাদ নিয়ে যারা নির্লজ্জের মত আনন্দ করছেন তাদের প্রতি জিজ্ঞাসা, একজন বৈদিক পন্ডিতের অনুবাদ বাদ দিয়ে পশ্চিমাদের অনুবাদ দিয়ে এসব অপপ্রচার চালানো কতটা যুক্তিযুক্ত ?”
 এজন্য প্রতিটি রেফারেন্স আমি নিচ্ছি হিন্দু বৈদিক পন্ডিতদের হতে । পশ্চিমা কারোর অনুবাদ থেকে নয়।
 নীচে বিখ্যাত অনুবাদক ও বেদ ভাষ্যকর শ্রী রমেশচন্দ্র মজুমদারের অনুবাদের স্ক্রীনশট দিলাম। স্পষ্ট গো হত্যা ও মাংস রান্নার কথা আছে। রিগবেদ ১০/২৮/৩



 এছাড়াও বেদের ক্লাসিকাল ভাষ্যকর আচার্য সায়নও একি কথা লিখেছে তার অনুবাদে
 তিনিও লিখেছেন,
 “হে ইন্দ্র গ্রহন কর সেসব গরুর মাংস যা তোমাকে তোমার ভক্তরা রন্ধন করে উতসর্গ করেছে।”
রিগবেদ ১০/৮৬/১৩ তেও গরু রান্না করার কথা পাওয়া যায়,


  এভাবে একমাত্র আর্য সমাজী বাদে অন্যান্য প্রায় সকল বেদ স্কলারদের অনুবাদ হতেই বেদ থেকে গরু ও পশূ হত্যার রেফারেন্স দেখানো যাবে। তবে অনলাইন আর্য সমাজীরা বিনা বিচারে দাবি করবে, যে আর্য সমাজীদের অনুবাদই সঠিক আর অন্যান্য বৈদিক স্কলারদের অনুবাদ ভুল (যদিও প্রথমে দাবি করেছিল যে খ্রিষ্টান মিশনারীদের অনুবাদ ভুল এবং যে কোণ বৈদিক স্কলারদের অনুবাদ দেখাতে , যেটা উপরে দেখালাম)
 এবার তাদের ক্ষেত্রে জবাব হচ্ছে , তারা যে অন্যান্য বৈদিক স্কলারদের অনুবাদকে ভুল বলছে সেটা কিসের ভিত্তিতে? মুলত বেদকে অনুবাদ ও ব্যাখা করতে অন্যান্য শাস্ত্রের উপর নির্ভর করতে হয়। ব্যাক্তিগত মত অনুসারে নয়, যেমনটা আর্য সমাজীরা করে থাকে।
 তবে অন্যান্য শাস্ত্রে যাওয়ার আগে যযুরবেদে একনজর চোখ বুলানো যাক।
 যযুরবেদ ২৪ অধ্যায় পুরোটাই রয়েছে, কোন কোন পশু কোন কোন দেব দেবীকে উতসর্গ করতে হবে এ ব্যাপারে।
 যেমন যযুরবেদ ২৪/১,
 ঘোড়া, বন্য ভেড়া এবং বন্য গরু প্রজাপতির জন্য।
 কাল ঘাড়ের জন্তু বিশেষ যা পশুর মধ্যে শ্রেষ্ট, তা ইন্দ্রের জন্য।
 কোকড়ানো চুলীর ভেড়া স্বরস্বতির জন্য।
 থুতুনীর নীচে কালো দাগওয়ালা ছাগল অশ্বিন এর জন্য।
 ছোট গরু এবং বন্ধ্যা গরু বিষ্ণুর জন্য।
এভাবে যযুরবেদে কোন পশু কোন দেবদেবীর জন্য তা শুধু বলা রয়েছে।এখন কথা হচ্ছে দেবদেবীরা এই পশুগুলো দিয়ে কি করবে ? এগুলা কি জন্য তাদের প্রতি উতসর্গকৃত ? এর বিস্তারিত জবাব রয়েছে শতপথ ব্রাক্ষনে (যযুরবেদের শাখা ও ব্যাখা)
 শতপথ ব্রাক্ষন ১৩/২/২/১-১০ পর্যন্ত মন্ত্রে বিস্তারিত ভাবে রিগবেদের ২৪ অধ্যায়ে উল্লিখিত পশুদের ব্যাপারে বলা হয়েছে যে, যে যে পশু যে যে দেবদেবীর গুনাবলীযুক্ত, সেই সেই পশু সেই সেই দেবদেবীর প্রতি যজ্ঞে উতসর্গের জন্য নির্ধারিত।

 এবার বেদ পশু হত্যার অনুমতি ব্যাপারে অন্যান্য শাস্ত্র ও বিখ্যাত স্কলারদের সাক্ষ্য দেখানো হলঃ

 বেদে মাংস খাওয়ার ব্যাপারে মনুসংহিতার সাক্ষ্য,
 মনুসংহিতা ৫/৪২ এ আছে,
 “বেদার্থতত্তজ্ঞ দ্বীজাতিরা বেদের সঠিক অর্থ জেনে ঐসব মধুপর্কাদি বিধিবিশেষে পশু হত্যা করে নিজের ও পশুর উভয়েরই সদগতি সম্পাদন করেন।”
 এখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, যিনি বেদের সঠিক অর্থ জানেন, তিনি পশু হত্যা করেন। এ ব্যাপারে আরো স্পষ্ট বিধান,
 মনুসংহিতা ৫/৪৪
 “শ্রুতিবিহিত যে পশুহত্যা, তাহাকে অহিংসাই বলিতে হইবে, যেহেতু বেদ ইহা বলিতেছে, বেদ হইতে ধর্মের প্রকাশ হয়।”
 অর্থাৎ মনুর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি যে বেদ এ পশু হত্যার বিধান রয়েছে। এখন আর্য সমাজীরা যদি বলে যে বেদে পশু হত্যার কথা নেই, তাহলে মনুসংহিতায় উল্লিখিত বেদের সেই বিধান এখন কোথায় ? তা কি বিলুপ্ত হয়েছে নাকি আর্য সমাজীদের ভুল অনুবাদের শিকার হয়েছে ? কারন অন্যান্য স্কলারদের অনুবাদে ঠিকই এখনো তা আছে।
 মনুসংহিতা থেকে এক নজরে আরো কিছু বিধান দেখি,
 মনুসংহিতা ৫//২৮
 “ব্রক্ষা, কি প্রানী কি উদ্ভিদ উভয়ই জীবের অন্ন বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন, অতএব স্থাবর জংগম সমুদয় বস্তুই আহার করা যায়।”
 মনুসংহিতা ৫/২২
 “ব্রাক্ষনরা যজ্ঞ কর্মের জন্য অথবা পরিবারবর্গের জন্য প্রশস্ত মৃগ ও পক্ষী বধ করিতে পারে, কেননা অগস্ত্য মুনি এমনটা করেছিল।”
 মনুসংহিতা ৫/২৩
 “পুর্ব রিষিরা যে সমুদয় যজ্ঞকর্ম করিয়াছেন, তাহাতে মৃগমাংস ও পক্ষীমাংস দ্বারা হোম করিয়াছেন, অতএব আধুনিক লোকেরাও তদৃশ করিতে পারে।”
 মনুসংহিতা ৫/৩০
 “ভোক্তা ভোজনের উপযোগী প্রানী সমূহ প্রতিদিন ভোজন করিলেও দোষযোগী হবেন না, যেহেতু ঈশ্বর ভক্ষ্য বস্তু ও ভোক্তা এ উভয়েরই সৃষ্টি করিয়াছেন।”

 এবার শতপথ ব্রাক্ষন এর সাক্ষ্যঃ
 বেদের চার প্রকার শাখা ও ব্যাখার অন্যতম শতপথ ব্রাক্ষন ৩/৪/১/২ এ, বলা আছে,
 “এমনকি রাজা কিংবা ব্রাক্ষনের জন্য, প্রত্যেকের উচিত গরু বা ছাগলের মাংস রান্নাকরা যা দেবতাদের যজ্ঞে উতসর্গকৃত”


উপনিষদ হতে প্রমান, 
 বৃহদারায়ন্যক উপনিষদ ৬/৪/১৬ 
 “যিনি সকল বেদের ছাত্র, তার উচিত কম বয়সী গরুর মাংস আহার করা এবং তার স্ত্রীকেও আহার করানো।” নীচে স্ক্রীনশট, অনুবাদঃ স্বামী নিখিলানন্দ।


ঐতরেয় ব্রাক্ষনের সাক্ষ্যঃ 
 ঐতরেয় ব্রাক্ষন হচ্ছে রিগবেদের শাখা। চারবেদের প্রতিটির চার ধরনের শাখা আছে,যথা সংহিতা, ব্রাক্ষনা, আরন্যক ও উপনিষদ। 
 রিগবেদের শাখা ঐতরেয় ব্রাক্ষনে রয়েছে, 
 “শাস্ত্রমতে যজ্ঞে উতসর্গকৃত যে পশুকে যারা বন্টন করে, সেই পশু তাহাদিগের স্বর্গের পথে পথ প্রদর্শক হয়। (ঐতরেয় ব্রাক্ষন খন্ড ৭/৪) 

 এবার বিখ্যাত হিন্দু পন্ডিত বা ব্যাক্তিবর্গের সাক্ষ্যঃ

 বেদে পশু হত্যার ব্যাপারে ইস্কনের প্রতিষ্টাতা স্বামী প্রভুপাদের  সাক্ষ্য,
 ভগবত পুরান ১/৩/২৪ এর কমেন্টারিতে তিনি লিখেছেন, 
 “গৌতম বুদ্ধ বেদের শিক্ষাকে অস্বীকার করেছিলেন, কারন এমনকি বেদও পশু হত্যাকে সমর্থন করে এজন্য।”
 এখানে ঢুকে তার ২৪ নাম্বার কমেন্টারি পড়ুন,http://vanisource.org/wiki/SB_1.3.2...

 বেদে পশু হত্যার ব্যাপারে আদি শংকরাচার্যের সাক্ষ্য,
 তিনি ব্রাক্ষসুত্র অধ্যায় ৩, পাদ্য ১, সূত্র ২৫ এর কমেন্টারিতে লিখেছেন,
 ‘Let him offer an animal to Agnîshomau,’ embodies an exception; and general rule and exception have different spheres of application. The work (i.e. sacrifice) enjoined by the Veda is therefore holy, being performed by authoritative men and considered blameless;”

 স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন,
 “একটা সময় ছিল তখন সে আর ব্রাক্ষন থাকত না যদি না সে গরুর মাংস খেত।”
 The complete works of Swami Vivekananda, Volume 3, Page 174 ]
  
 এবার অগ্নিবীর সাইটের পয়েন্ট বাই পয়ন্ট মিথ্যাচারের জবাব দেয়ার পালাঃ 
 অগ্নিবীর লেখে,
 প্রার্পায়াতু শ্রেষ্ঠতমায় কর্মন আপ্যাযদ্ধম... অঘ্ন্যা যজমানস্য পশুন্ পাহি।
 (যজুর্বেদ ১.১)
 অনুবাদ-হে মনুষ্য প্রার্থনা কর যাতে সবসময় তুমি মহত্‍ কার্যে নিজেকে উত্‍সর্গ করতে পার,পশুসমূহ অঘ্ন্যা অর্থাত্‍ হত্যার অযোগ্য,ওদের রক্ষা কর।

 জবাবঃ সম্পুর্ন মিথ্যা অনুবাদ। এটি সর্বচ্চ আর্য সমাজীদের তুলসীরাম হতে এসেছে। আর্য সমাজীরা সাংগঠনিকভাবে গরু হত্যার বিরোধী।আর সেটাই তাদের অনুবাদে এসেছে। তবে এখানে অগ্নিবীর যা করেছে সে যে অনুবাদ চেইঞ্জ করেছে তা নয়, সে মূল সংস্কৃতও চেইঞ্জ করে ফেলেছে। সে লিখেছে “অঘ্ন্যা যজমানস্য পশুন্ পাহি” কিন্তু এই কিন্তু এই মন্ত্রে কোথাও “অঘ্ন্যা” বা হত্যার অযোগ্য এই শব্দটিই নেই। এখানে আছে যযমানস্য=যযমান অর্থাৎ প্রার্থনাকারীকে, “পশুন পাহী” পাপ হতে রক্ষা কর। 
 এখানে এই পশুন শব্দটিকে এরা পশু ভেবেছে, আর সেই সাথে মিথ্যা মিথ্যা “অঘ্ন্যা” শব্দটিও ঢুকিয়ে দিয়েছে। কি আর বলব এদের। মন্ত্রটি এখান থেকে চেক করুন ও সংস্কত ও অনুবাদটি সরাসরি দেখুন। http://ebanglalibrary.com/vedas/?p=...অগ্নিবীর লেখে,
 "পাষণ্ড তারা যারা প্রানীমাংস ভোজন করে।তারা যেন প্রকারান্তরে বিষ ই পান করে।" -ঋগ্বেদ ১০.৮৭.১৬
 জবাবঃ সম্পুর্ন মিথ্যা কথা। আমি নীচে সরাসরি তাদের তুলসীরামের অনুবাদটিই দিয়ে দিচ্ছি। দেখুন এখানে মাংস ভোজন বিষভোজন এই টাইপের কোন কথাই নাই। এখানে আছে মানুষ বা মানবতার মাংস খাওয়ার কথা।সেই সাথে আরো একটা মজার কথা আছে, তা হচ্ছে এখানে গরুর দুধ খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা আছে। অথচ আমাদের সনাতনী দাদাদের দুধ কিন্তু খুব প্রিয়। তাহলে তারা দুধ কেন খায় ? এখানে বলা আছে,
 “যারা মানবতার মাংস খায়, যারা নিজেদের উন্নতি ঘটায় পশু সম্পদ ধংস করে, যারা গরুর দুধ কেড়ে নেয়, যারা, যারা পৃথিবীর উর্বরতা নষ্ট করে, হে অগ্নি তাদের ধর আলাদা করে দাও” নীচে স্ক্রীনশট।



দেখুন এখানে স্পষ্ট প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার কথা বলা হয়েছে কোন পশু মাংস খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা নাই। যেমন মনে করুন একটি বনানীতে কেউ বিল্ডিং বানিয়ে পশূ সম্পদ ধংস করল, অর্থাৎ সে পশু সম্পদ ধংস করে নিজের উন্নতি ঘটাল সেক্ষেত্রে এটী মানা। আর এটি ইসলামেও নিষেধ। কিন্তু এখানে আলাদাভাবে মাংস খাওয়ার কোন প্রকার নিশেধাজ্ঞা নেই। তবে সনাতনী দাদাদের গরু হতে তার দুধ কেড়ে নেয়ার স্পষ্ট নিশেধাজ্ঞা রয়েছে। এখন দাদারা দুধ খাওয়া বন্ধ করবে কবে হতে ? :P 
 অগ্নিবীর লেখে,
 অনাগো হত্যা বৈ ভীমা কৃত্যে মা নো গামশ্বং পুরুষং বধীঃ।
 (অথর্ববেদ ১০.১.২৯)
 অনুবাদ-নির্দোষদের হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ।কখনো মানুষ,গো-অশ্বাদিদের হত্যা করোনা।
 জবাবঃ এটি সম্পুর্ন প্রসংগবহির্ভুত ভাবে লেখা। আপনারা যদি অথর্ববেদ ১০.১ এর প্রথম থেকে পড়ে যান তবে দেখবেন, এখানে খারাপ শক্তির বিরুদ্ধে প্রার্থনা করা হয়েছে। এখানে খারাপ শক্তি যাতে মানব সমাজ ও মানব সম্পদকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে সেজন্য সেই খারাপ শক্তির কাছে প্রার্থনা করা হয়েছে,
 যেমন ৭ নম্বর মন্ত্রে আছে,
  হে আক্রমনাত্তক শক্তি বা খারাপ শক্তি, একি পথে ফিরে যাও। আমাদের ক্ষতি কোরো না।কারন আমরা শান্তিকামী।
  
 ৮ নাম্বার মন্ত্রে আছে, 
 হে খারাপ শক্তি, যে তোমাকে বানিয়েছে তার কাছে ফিরে যাও, সেটাই তোমার আসল জায়গা।
 তুলসীরাম কমেন্টারিতে লিখেছে, এখানে সেই সমসাময়িক সময় কোন বহি শত্রু হতে দেশ আক্রমনের প্রেক্ষাপটে বেদের এই মন্ত্র লিখিত হয়েছে, যাতে শত্রুরা হত্যা না করে ও তাদের আক্রমন না করে যথাস্থানে ফিরে যায়। 
 এইরকম সবগুলা মন্ত্রেই প্রায় একি কথা বলা হয়েছে, 
 এরপরেই সেই ২৯ নাম্বার মন্ত্রে সেই আক্রমনকারীদের বলা হয়েছে,
 “নির্দোষদের হত্যা পাপ, এজন্য তোমরা আমাদের আঘাত কর না,আমাদের গরু ঘোড়া বা মানুষকে হত্যা কর না”।
 এবার চিন্তা করুন, কি প্রসংগকে অগ্নিবীর নামক সাইট কি বানালো। একাত্তরে যখন বাংলাদেশ আক্রমনিত হল, তখন যদি বাংগালীরা পাকিদের বলে, যে তোমরা আমাদের আঘাত কর না, যেখান থেকে এসেছ সেখান থেকে ফিরে যাও। তোমরা আমাদের মানুষ , গরু, ছাগুল পশুকে হত্যা কর না, এরমানে কি এই যে এখানে বাংগালিরা কাউকে নিরামিষভোজী হবার পরামর্শ দিচ্ছে ? হাস্যকর ব্যাপার। বাই দ্যা ওয়ে, মক্কা বিজয়ের সময় নবিজি ঘোষনা দিয়েছিলেন, “তোমরা কোন নিরপরাধকে হত্যা করনা, বিনা কারনে কোন পশু এমনকি একটি গাছের ডালও নষ্ট কর না।” এখন এর মানে এই যে নবিজি মাংস ও উদ্ভিদ উভয়ই খেতে মানা করেছিলেন ? এরকম বলা হাস্যকর আর এইসব হাস্যকর যুক্তিই অগ্নিবীর তার সাইটে দিয়ে রাখে।
 অগ্নিবীর লেখে,
 পশুস্ত্রাঁযেথাঙ
 অর্থাত্‍ পশুদের রক্ষা কর।
 (যজুর্বেদ ৬.১১
 জবাবঃ সমস্যা কি ? এমনকি একজন পশু ফার্মের মালিকও তার পশুকে রক্ষা করবে। তো এতে সমস্যা কি ? রক্ষা করা মানে এই নয় যে তার মাংস খাওয়া যাবে না। আমার পরিবার কবুতর পালে, এবং আমার পরিবার এই কবুতর গুলো রক্ষায় সচেষ্ট, এর মানে কি এই যে আমরা এর মাংস খাই না ? সত্যি হাস্যকর।

 এরপরে অগ্নিবীর যজ্ঞে পশু হত্যা ভ্রান্ত ও অশ্বমেধ যজ্ঞ যবনদের মিথ্যাচার এসব নিয়ে লিখল। 
 যজ্ঞে পশু হত্যা ও অশ্বমেধযজ্ঞ অগ্নিবীরের সকল মিথ্যাচারের জবাব নীচের লিংকে। 
 https://mbasic.facebook.com/notes/m...