তখন সে একটি জড় বস্তুর মতো; যার কিছু অনুভূতি থাকে!
এবং সেই অনুভূতিগুলোর প্রতি সাড়াব্যঞ্জক কিছু প্রতিক্রিয়া থাকে। ধীরে ধীরে
সে পরিবেশের সাথে, পরিবার ও সমাজের সাথে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে
চেতনাপ্রাপ্ত হয়, দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে এবং তার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে।
- এভাবেই শিশুটি শৈশব, অতঃপর কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যে পদার্পণ করে। শিশুর মানসিক বিকাশে এবং জ্ঞান আহরণে যেমন তার পারিপার্শ্বিক মানুষের অবদান থাকে তেমনি তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেও সে জ্ঞান লাভ করে। এভাবেই বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে একজন ব্যক্তির জ্ঞানের ভাণ্ডার বিকশিত হতে থাকে। তবে তা সবার জন্য সমানভাবে হয় না। কিছু কিছু মানুষের জ্ঞানার্জন হয় শুধুমাত্র প্রকৃতি ও প্রবৃত্তিগত কারণে। আর কিছু কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা নিজের অনুসন্ধিৎসা, প্রজ্ঞা, শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে জ্ঞানের পথে ধাবিত হন। এই দ্বিতীয় শ্রেনীর মানুষদের ঐকান্তিক ও নিরলস শ্রমের অবদানে তৈরি হয়েছে আজকে আমাদের এই সভ্য পৃথিবী...!
তবে সভ্যতার বিকাশের কোনো প্রান্তিক বিন্দু নেই। সভ্যতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। জ্ঞানের অগ্রযাত্রা এবং তার পরিবর্তন ও পরিমার্জন সভ্যতার বিকাশে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং তার ফলে পূর্ববর্তী জ্ঞান-বিজ্ঞান, সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা এমনকি নৈতিকতার সংজ্ঞাও আমূল পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। তাই সভ্য সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরিবর্তনশীলতা। যে সময় যত সহজে পরিবর্তন মেনে নিতে পারে আমরা সেই সমাজকে ততোই সভ্য হিসেবে দেখতে পাই। কিন্তু মানুষ একটি বিবর্তনপ্রক্রিয়াজাত পণ্য। এই পণ্যটি কোনো সুদক্ষ হাতে নির্মিত নয় আর তাই এর রয়েছে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা। সেই সীমাবদ্ধতার কারণে মানুষ খুব সহজে তার সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া মানুষের রয়েছে কিছু নেতিবাচক আবেগ। এসবের সম্মিলিত প্রভাবে মানুষ কূপমণ্ডুকের মতো আচরণ করে যে তার সীমাবদ্ধ, পরিবার ও সমাজপ্রসূত জ্ঞানের বাইরে নতুন কিছু গ্রহণ করতে এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে অপারগতাজ্ঞাপন করে।এদের মধ্যে একটি শ্রেণি সভ্যতার অগ্রগামিতায় বাধাসৃষ্টি করে। তারা তাদের মূলভিত্তির মতবাদ আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকতে চায় এবং অন্যদেরও তাদের মতবাদগুলো গ্রহণ করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এভাবেই মৌলবাদের সূত্রপাত ঘটে। আমাদের আলোচনার প্রথম শ্রেণীর মানুষদের একাংশ এভাবে মৌলবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। আর সমাজের একটি ক্ষুদ্র শ্রেণির মানুষ শৈশবকালীন নানা ঘটনা, পরিস্থিতি, অভিজ্ঞতা এবং পড়াশোনার মাধ্যমে বিকল্প চিন্তা করতে শেখে। তারা বিনা বাক্যে সবকিছু মেনে নেয় না বরং সবকিছু তলিয়ে দেখে সত্য উদ্ঘাটনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরা পরিবারের ও সমাজের চাপিয়ে দেওয়া মতবাদ উপেক্ষা করতে শেখে এবং এদের একটি অংশ তার বিরোধিতাও করে। মৌলবাদের সীমাবদ্ধতা এবং সভ্যতার অগ্রযাত্রায় সেগুলোর প্রতিবন্ধকতাগুলো তারা যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে এবং সেগুলো নিয়ে অগ্রগামী হয়। তারা প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার অনুমিত দর্শনের ঊর্দ্ধে উঠে মূল কার্যকারণগুলো খুঁজে বের করে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং এভাবেই তৈরি হয় বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্র। এভাবেই অতিপ্রাচীন কাল থেকে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের প্রথাবিরোধিতার মাধ্যমেই সূচিত হয়েছে সভ্যতার অগ্রযাত্রা।
- এভাবেই শিশুটি শৈশব, অতঃপর কৈশোর পেরিয়ে তারুণ্যে পদার্পণ করে। শিশুর মানসিক বিকাশে এবং জ্ঞান আহরণে যেমন তার পারিপার্শ্বিক মানুষের অবদান থাকে তেমনি তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেও সে জ্ঞান লাভ করে। এভাবেই বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে একজন ব্যক্তির জ্ঞানের ভাণ্ডার বিকশিত হতে থাকে। তবে তা সবার জন্য সমানভাবে হয় না। কিছু কিছু মানুষের জ্ঞানার্জন হয় শুধুমাত্র প্রকৃতি ও প্রবৃত্তিগত কারণে। আর কিছু কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা নিজের অনুসন্ধিৎসা, প্রজ্ঞা, শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে জ্ঞানের পথে ধাবিত হন। এই দ্বিতীয় শ্রেনীর মানুষদের ঐকান্তিক ও নিরলস শ্রমের অবদানে তৈরি হয়েছে আজকে আমাদের এই সভ্য পৃথিবী...!
তবে সভ্যতার বিকাশের কোনো প্রান্তিক বিন্দু নেই। সভ্যতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। জ্ঞানের অগ্রযাত্রা এবং তার পরিবর্তন ও পরিমার্জন সভ্যতার বিকাশে ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে এবং তার ফলে পূর্ববর্তী জ্ঞান-বিজ্ঞান, সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা এমনকি নৈতিকতার সংজ্ঞাও আমূল পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। তাই সভ্য সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পরিবর্তনশীলতা। যে সময় যত সহজে পরিবর্তন মেনে নিতে পারে আমরা সেই সমাজকে ততোই সভ্য হিসেবে দেখতে পাই। কিন্তু মানুষ একটি বিবর্তনপ্রক্রিয়াজাত পণ্য। এই পণ্যটি কোনো সুদক্ষ হাতে নির্মিত নয় আর তাই এর রয়েছে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা। সেই সীমাবদ্ধতার কারণে মানুষ খুব সহজে তার সংকীর্ণ গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া মানুষের রয়েছে কিছু নেতিবাচক আবেগ। এসবের সম্মিলিত প্রভাবে মানুষ কূপমণ্ডুকের মতো আচরণ করে যে তার সীমাবদ্ধ, পরিবার ও সমাজপ্রসূত জ্ঞানের বাইরে নতুন কিছু গ্রহণ করতে এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে অপারগতাজ্ঞাপন করে।এদের মধ্যে একটি শ্রেণি সভ্যতার অগ্রগামিতায় বাধাসৃষ্টি করে। তারা তাদের মূলভিত্তির মতবাদ আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকতে চায় এবং অন্যদেরও তাদের মতবাদগুলো গ্রহণ করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। এভাবেই মৌলবাদের সূত্রপাত ঘটে। আমাদের আলোচনার প্রথম শ্রেণীর মানুষদের একাংশ এভাবে মৌলবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। আর সমাজের একটি ক্ষুদ্র শ্রেণির মানুষ শৈশবকালীন নানা ঘটনা, পরিস্থিতি, অভিজ্ঞতা এবং পড়াশোনার মাধ্যমে বিকল্প চিন্তা করতে শেখে। তারা বিনা বাক্যে সবকিছু মেনে নেয় না বরং সবকিছু তলিয়ে দেখে সত্য উদ্ঘাটনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরা পরিবারের ও সমাজের চাপিয়ে দেওয়া মতবাদ উপেক্ষা করতে শেখে এবং এদের একটি অংশ তার বিরোধিতাও করে। মৌলবাদের সীমাবদ্ধতা এবং সভ্যতার অগ্রযাত্রায় সেগুলোর প্রতিবন্ধকতাগুলো তারা যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করে এবং সেগুলো নিয়ে অগ্রগামী হয়। তারা প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার অনুমিত দর্শনের ঊর্দ্ধে উঠে মূল কার্যকারণগুলো খুঁজে বের করে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং এভাবেই তৈরি হয় বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্র। এভাবেই অতিপ্রাচীন কাল থেকে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের প্রথাবিরোধিতার মাধ্যমেই সূচিত হয়েছে সভ্যতার অগ্রযাত্রা।