আমরা সবাই জানি হিন্দু ধর্মের
অনুসারী অধিকাংশ মানুষই গরুর মাংস খায় না। তবে অধিকাংশ মুসলমানের গরুর
মাংস প্রিয়। কিন্তু ছোট্ট একটি ভুলের কারণে মুসলমানদের উপর গরুর মাংস
হারাম হয়ে যায়। কেন গুরুর মাংস হারাম হয়- এটা জানার আগে চলুন জেনে নিই
হারাম ও হালাল জিনিসটা আসলে কি?
(১)হালাল অর্থ বৈধ, উপকারী ও কল্যানকর বস্তুসমূহ:মানুষের জন্য যা কিছু উপকারের ও কল্যানকর ঐ সমস্ত কর্ম ও বস্তুকে আল্লাহ পাক মানুষের জন্য হালাল করেছেন।যেমন: নামাজ,রোজা , হজ্জ, যাকাত, পর্দা, গরুর মাংস ইত্যাদি।
(২)হারাম অর্থ অবৈধ, ক্ষতিকারক, অকল্যানকর কর্ম ও বস্তুসমূহ:
মানুষের জন্য যা কিছু অপকারের বা ক্ষতি কারক ঐ সমস্ত কর্ম বা বস্তকে আল্লাহ পাক হারাম করেছেন।
যেমন: শুকরের মাংস মানুষের ক্ষতি কারক, সুদ ,ঘুষ, বেনামাজী , বেপর্দা এবং সকল পাপ কর্ম ইত্যাদি।
হালালের উদাহরন:
(১) মুসলমানের গরু খাওয়ার হুকুম আল্লাহ পাক দান করেছেন। কিন্তু উহা যদি আল্লাহুআকবার না বলে এবং মুহাম্মদ সা: এর তরীকায় জবেহ করা না হয় তবে উহা মুসলমানের জন্য হারাম হয়ে যাবে। কারন গরু খাওয়া আল্লাহ পাকের হুকুম আছে কিন্ত মুহাম্মদ সা: এর নুরানী সুন্নত তরীকা না তাকার কারনে উহা হারাম হয়ে যাবে। কিন্দ উহা যদি আল্লাহ পাকের নাম নিয়ে সুন্নত তরীকায় জবেহ করা হয় তখন উহা হালাল হবে। তেমনি শরীয়তের সমস্তকাজ যখন আল্লাহ পাকের হুকুম ও রাসুল সা: এর তরীকায় পালিত হবে তখন উহা হালাল বা বৈধ বা এবাদতে গন্য হবে নছেৎ নয়।
হারামের উদাহরন:
(১) আল্লাহ পাক শুকর খাওয়াকে হারাম করেছেন। কিন্ত কেউ যদি শুকরকে সুন্নত নিয়মে জবেহ করে তবুও উহা হালাল হবে না বরং হারাম হবে। এখানে আল্লাহ পাকের হুকুম নেই । মুহাম্মদ সা: এর তরীকা লাগালেও উহা বৈধ বা হালাল বা এবাদতে গন্য হবেনা। তেমনি আল্লাহ পাক যে সমস্ত কাজ বা বস্ত হারাম করেছেন
যেমন: শুকর, সুদ , ঘুস, বেপর্দা, হারাম ব্যবসা ইত্যাদি । সককিছুই হারাম হবে।