গোয়েন্দা ও রহস্য লেখক
বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা কাহিনী বা বই লিখার ইতিহাস যদিও খুব পুরানো নয় তবে
খুব নতুনও নয়। বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্র বা “ডিটেকটিভ” বলতে সেই সব
কল্পচরিত্র বোঝায় যারা রহস্যোপন্যাসে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসাবে রহস্য
উন্মোচন করে। এরা মূলত সৌখিন গোয়েন্দা, পুলিশ কর্মকর্তা বা স্পাই অর্থাৎ
গুপ্তচর। বইগুলো রহস্যোপন্যাস, অপরাধকাহিনী বা স্পাই থ্রিলার। সেই
চরিত্রগুলো বিখ্যাত যেগুলো সিরিজগ্রন্থে পুণঃপুণঃ উপস্থাপিত। >>বৈশিষ্ট্যাবলী
সাধারণতঃ একটি সফল ও স্বার্থক গোয়েন্দা উপন্যাসে নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্যাবলী থাকতে হয়ঃ-
>অপরাধ বা রহস্যজনক কর্মকাণ্ড মনোঃবিশ্লেষণের মাধ্যমে উপস্থাপন করা।
>রহস্যমূলক কর্মকাণ্ডে সর্বক্ষণ সম্পৃক্ত থেকে তীক্ষ্ণ ও শাণিত মেধা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা।
>উপস্থিত বিচার-বুদ্ধি যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে কাঙ্খিত ব্যক্তি বা বস্তুকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করা।
>নির্দোষ ব্যক্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বা দোষী না হন এবং প্রকৃত দোষীকে আইনে সোপর্দ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ তুলে ধরা।
>অপরাধী বা ঘটনার ছোট্ট ক্লু, সঙ্কেত বা চিহ্নের সাহায্যে অপরাধের গতি-প্রকৃতি ও অবস্থান চিহ্নিত করা।
**প্রাচীন যুগ
♠♠♠♠♠♠♠
১.বরকতউল্লা: ঠগী দমনে নিযুক্ত স্লীম্যান সাহেবের এক দারোগা।তিনি কিছু কিছু কাহিনী সরকারী ফাইল থেকে উদ্ধার করে ইংরেজীতে ছাপিয়েছিলেন। পরে বলায় ‘বাঁকাউল্লার দপ্তর’ নামে এগুলি প্রকাশিত হয়।
২.গিরিশচন্দ্র বসু: ১৮৫৩ থেকে ১৮৬০ – এই সাত বছর দারোগার চাকরি করেছিলেন। দুষ্কৃতিদের নানার কীর্তিকাহিনী তিনি লিপিবদ্ধ করেন ‘সেকালের দারোগার কাহিনী’-তে। ১৮৯৪-১৯৯৫ সালে একটি পত্রিকায় এগুলি প্রথম প্রকাশিত হয়। তবে পুলিশী গোয়েন্দাকাহিনী এদের বলা যাবে না।
৩.ভুদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় (১৮৪২-১৯১৯): বটতলার বই ‘হরিদাসের গুপ্তকথা’ লিখে খ্যাত হয়েছিলেন। দেশী-বিদেশী নানান কেচ্ছা ও অপরাধকাহিনীর মিশ্রণে তৈরী এই লেখা। ভুবনচন্দ্রের বহু বই বটতলা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু তার সবগুলিই ভুবনচন্দ্র লিখেছিলেন বলে মনে হয় না।
৪.হরিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বি.এল: পেশায় উকিল ছিলেন। ‘নেপাল ডাক্তারের কাহিনী’ (১৮৯৮) লিখে প্রসিদ্ধ হন।
৫.প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় (১৮৫৫-১৯৪৭): বহু বছর দারোগার চাকরি করেছিলেন। নিজের পুলিশ-জীবনের নানান কাহিনী (সম্ভবতঃ কিছু কল্পিত) ‘দারোগার দপ্তর’ নাম দিয়ে এক কালে মাসে মাসে প্রকাশিত হত।
৬.ক্ষেত্রমোহন ঘোষ: প্রথম বই ‘আদরিণী’ ১২৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।‘জাল গোয়েন্দা’ ‘তিন খুন’ ইত্যাদি অনেকগুলি বই তিনি রচনা করেছিলেন।
৭.দেড়ে বাবাজী: লেখকের আসল নাম কী ছিল জানা নেই।
৮.‘উদাসিনী রাজকন্যার গুপ্তকথা (১২৯৪) বইটি বটতলার বই।
৯.হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘রাণী সুধামুখী’ (১৩০১)।
১০.শরচ্চন্দ্র দেব (সরকার): ‘তীর্থ বিভ্রাট’, ‘গুম খুন’ ইত্যাদি বইয়ের রচয়িতা। কিন্তু উনি বিখ্যাত হন ‘গোয়েন্দা কাহিনী’ নামে মাসিক পত্রিকাটি প্রকাশ করার জন্যে।
১১.কুসুমেষু মিত্র: ‘কামিনীকণ্টক’ (১৩০৮)।
১২.সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘রেলে চুরি’ (১৩১৯)।
১৩.মহিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়: চাঁদের হাট’ (১৩২৭, ৪র্থ সংস্করণ)। বইটির প্রথম প্রকাশকাল অজ্ঞাত।
১৪। পাঁচকড়ি দে: বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যের আদি-পর্বের অন্যতম শ্রেষ্ট লেখক। বাংলা গোয়েন্দা-সাহিত্যের জনক বলে অনেকে ওঁকে মর্যাদা দেন। ওঁর ‘মায়াবিনী’ (১৮৯৯), ‘মায়াবী (১৯০১) ও জীবস্মৃত রহস্য (১৯০৩, পরে নাম পাল্টে ‘সেলিনাসুন্দরী’) এককালে বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্য জগতে সাড়া এনেছিল।
১৫। অম্বিকাচরণ গুপ্ত: সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, কিন্তু ডিটেকটিভ উপন্যাসও লিখেছিলেন। ‘স্বর্ণবাঈ’ (১৩১৫) এবং ‘নথীর নকল’ (১৮৯৯) ওঁরই লেখা।
১৬। দীনেন্দ্রনাথ রায় (১৮৬৯ -১৯৪৩): প্রথম বই বাসন্তী (১৮৯৮)। বহু রহস্য ও গোয়েন্দাকাহিনী লিখেছেন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওঁর রহস্যলহরী সিরিজ-এর ডিটেকটিভ ব্লেক এবং সহকারী স্মিথ-এর গল্প। এগুলি অনুবাদকহিনী।
১৭। হরিসাধন মুখোপাধ্যায় (১৮৬২-১৯৩৮): ঐতিহাসিক প্রবন্ধ ও গল্প লিখে সাহিত্যসাধনা শুরু। পরে ডিটেকটিভ গল্প লিখতে শুরু করেন।
১৮। ‘কঙ্কণ-চোর’ (১৯১৬) , ‘লালচিঠি’ (১৯১৬), ‘মৃত্যু প্রহেলিকা’ (১৯১৭)। ওঁর কিছু লেখা ছিল অনুবাদ।
>>আধুনিক যুগ --ভারত
******************
১। অখিল নিয়োগী – তিব্বত ফেরত তান্ত্রিক (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ দেবসাহিত্য)
২। অজিতকুমার পুততুণ্ড – গোয়েন্দা কৌস্তভ (নবধারা)
৩। অদ্রীশ বর্ধন – গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্রসমগ্র (নাথ), গোয়েন্দারহস্য (মৌসুমী)
৪। অনীশ দেব -গোয়েন্দার নাম এ.সি.জি (করুণা), তীর বিদ্ধ (সুপ্রীম), পাঁচটি রহস্য উপন্যাস (পত্র ভারতী), ভয়ঙ্কর ভাইরাস (সুপ্রীম), হিমশীতল (পত্র ভারতী), শতবর্ষের সেরা রহস্য উপন্যাস (সম্পাদিত,
পত্র ভারতী)
৫। অভ্র রায় – গোয়েন্দা বৈজ্ঞানিক (এম.সি. সরকার, ২০০১)
৬। অমিতাভ ভট্টাচার্য – রহস্য গল্প (দে’জ. ২০০২)
৭। অরুণ চট্টোপাধ্যায় – সেরা রহস্য, সেরা গোয়েন্দা (সম্পাদিত, পুনশ্চ)
৮। অরুণকুমার দত্ত – সেরা রহস্য রোমাঞ্চ গোয়েন্দা কাহিনী (বসাক)
৯। অরুণ কুমার মুখোপাধ্যায় – রহস্য তদন্তে গোয়েন্দা (সম্পাদিত,
১০। টিচার্স বুক এজেন্সি, ২০০৩)
১১। অলোককৃষ্ণ চক্রবর্তী – সেরা গোয়েন্দা গল্প (সম্পাদিত, ময়না)
১২। অশোককুমার মিত্র – সবাই যখন অন্ধকারে (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
১৩। অশোক দাশগুপ্ত – হিন্দোল রহস্য (আজকাল)
১৪। অসীম চট্টোপাধ্যায় – গোয়েন্দা গোরাদা (মডার্ন কলাম)
১৫। আবীর গুপ্ত – রাজুর গোয়েন্দাগিরি (নিউ বেঙ্গল প্রেস)
১৬। কালকেতু – শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প (সুপ্রকাশনী), শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দাকাহিনী (নবকল্প)
১৭। কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায় – বাসব অমনিবাস (দে’জ), রহস্যভেদী বাসব (সাহিত্য প্রকাশ), লাশকাটা টেবিল (অনন্যা), শঙ্খচিলের কান্না (দে’জ)
১৮। খগেন্দ্রনাথ মিত্র – পূজনীয় দস্যু (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
১৯। গজেন্দ্রকুমার মিত্র – রেশমী ফাঁস, তৃতীয় রিপু, হায়নার দাঁত (মিত্র ও ঘোষ)
২০। গৌতম রায় – এক ডজন রহস্য (নাথ), কিশোর রহস্য অমনিবাস (দে’জ),
২১। নায়িকা নিখোঁজ (দে’জ), রত্নহার রহস্য (দে’জ), রহস্যভেদী নীল ব্যানার্জি (দে’জ)
২২। ঘনশ্যাম চৌধুরী – অন্ধকারের হাত (দে’জ), ভয়ঙ্কর দ্বীপের রহস্য (দে’জ), রহস্য জমজামাট (ন্যাশেনাল বুক এজেন্সি)
২৩। চিরঞ্জীব সেন – লালবাড়িতে খুন (শিবরানী), রাতের জোনাকি (দে’জ), দারোগার ডায়রী (সাহিত্যলোক), সাগরবেলায় খুন (সাহিত্যলোক), সুন্দরবাদ রহস্য (নন্দিতা)
২৪। তপন বন্দ্যোপাধ্যায় – গোয়েন্দা গার্গী (পত্র ভারতী), ধূসর মৃত্যুর মুখ (দে’জ), হলুদ খামের রহস্য (দে’জ), পাঁচটি রহস্য উপন্যাস (পত্র ভারতী)
২৫। তপনকুমার দাস – সেরা গোয়েন্দা গল্প (ভারতী)
২৬। তুলসী সেনগুপ্ত – ধারাগিরি রহস্য (অপর্ণা), রাজবাড়ি রহস্য (ভাষা ও সাহিত্য) তুষারকান্তি পাণ্ডে – বিশ্বের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প (গ্রন্থনা), বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রহস্য গল্প (সম্পাদিত, গ্রন্থনা), শতবর্ষের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা কাহিনী (সম্পাদিত, গ্রন্থনা)
২৭। ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় – জগুমামার চার রহস্য (পত্র ভারতী), মুখোশের আড়ালে (পত্র ভারতী), হেরে যাবেন জগুমামা (পত্র ভারতী)
২৮। দীনেন্দ্রকুমার রায় – রবার্ট ব্লেক রহস্য অমনিবাস (গ্রন্থ প্রকাশ), রবার্ট ব্লেক (মির্মল), রবার্ট ব্লেকের ছটি উপন্যাস (সাহিত্যম)
২৯। ধানসিড়ি রায়চৌধুরী – সেরা রহস্য গল্প (মডেল)
৩০। ধীরেন্দ্রলাল ধর – গোয়েন্দা গোবিন্দ (কিশোর ভারতী), রহস্য রোমাঞ্চ গল্প (কিশোর ভারতী) নটরাজন – শ্রেষ্ঠ রহস্যকাহিনী (দে’জ)
৩১। নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত – হারানো বই (দেব সাহিত্য)
৩২। নারায়ণ সান্যাল – কাঁটায় কাঁটায় (দে’জ), কাঁটা ৪ (দেবসাহিত্য), সোনার কাঁটা (মিত্র ও ঘোষ)
৩৩। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী – জোড়া ভাদুড়ী (দে’জ), ভাদুড়ী সমগ্র (দে’জ)
৩৪। নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় – রহস্য হিরের দুল (পুনশ্চ), হত্যাকাণ্ডের আড়ালে (পত্র ভারতী)
৩৫। নীহারঞ্জন গুপ্ত – ইস্কাবনের টেক্কা (মিত্র ও ঘোষ), এক ডজন রহস্য (নাথ), কালো হাত (মিত্র ও ঘোষ), বাছাই করা কিরীটির ,গোয়ন্দা গল্প (বসাক), কিরীটি অমনিবাস (মিত্র ও ঘোষ)
৩৬। নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় – জয়পরাজয় ( প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য), বিজয় অভিযান, উদাসী বাবার আখড়া (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
৩৮। প্রভাবতী দেবী সরস্বতী – কলঙ্কী চাঁদ, পেশোয়ারেরবিভিষিকা (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য), গুপ্ত ঘাতক (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
৩৯। প্রেমেন্দ্র মিত্র – পরাশর সমগ্র (আনন্দ), গোয়েন্দা পরাশর বর্মা (এ. মুখার্জি), হার মানলেন পরাশর বর্মা (মিত্র ও ঘোষ)
৪০। পাঁচকড়ি দে – নীল বসনা সুন্দরী (প্রয়াস), মায়াবী (পত্র ভারতী)
৪১। প্রভাবতী দেবী (সরস্বতী) – গুপ্তঘাতক, হত্যার প্রতিশোধ (দেব সাহিত্য)
৪২। বরেন গঙ্গোপাধ্যায় – টিকলিগড়ের হত্যারহস্য (দে’জ), অভিশপ্ত কঙ্কাল (রূপ)
৪৩। বিকাশ বসু – অ-য়ে অঘটন (আনন্দধারা), সত্যি ডিটেকটিভ (আই.এ.পি)
৪৪। বিভূতিভূষণ চক্রবর্তী – বাপি রহস্য (দে’জ), ভূত গোয়েন্দা আতঙ্ক (সূর্য পাব), রেশমী সুতোর ফাঁস (এ.সি.সরকার)
৪৫। বিমল কর – কিকিরা সমগ্র (আনন্দ), অভিশপ্ত পুঁথি ও অষ্টধাতু (আনন্দ), জাদুকরের রহস্যময় মৃত্যু(আনন্দ)
৪৬। বিশ্বনাথ দে – আরো গোয়েন্দা গল্প (নির্মল), গোয়েন্দা গল্প (নির্মল)
৪৭। বুদ্ধদেব বসু – ছায়া কালো কালো, ভূতের মতো অদ্ভুত (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেব সাহিত্য)
৪৮।মঞ্জিল সেন – অভিশপ্ত গুপ্তধন (উজ্জ্বল) রুহিতনের দশ (গ্রন্থলোক), সপ্তদশ রহস্য (বিভা), ছোটদের রহস্য রোমাঞ্চ (নাথ),গোয়েন্দা অমনিবাস (নন্দিতা)
৪৯। মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য – হুকাকাশির গল্প (এশিয়া), পদ্মরাগ(এশিয়া)
৫০।মহীন্দ্র বসু – সেরা গোয়েন্দা (সম্পাদিত, কিশোর সাহিত্য), পঁচিশ বছরের সেরা চিল্ড্রেন্স ডিটেকটিভ (সম্পাদিত, দে’জ)
৫১।মানবেন্দ্র পাল – গোয়েন্দা বাপ্পার কেরামতি (করুণা), বাপ্পার অ্যাডভেঞ্চার (নিউ বেঙ্গল প্রেস)
৫২।মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় – গোয়েন্দা অমনিবাস (দে’জ, ১৯৯৭)
৫৩।মৃণালকান্তি দত্ত – সোনার খনি (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
৫৪।যোগেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় – বি.এল.এ. ২০৫ , লাল দলিল (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
৫৫। রাজকুমার মৈত্র – রহস্য তিন দুই এক (নাথ, ২০০১)
৫৬। লীলা মজুমদার – রহস্যভেদী পাঁচ (বুলবুল প্রকাশন)
৫৭। শমীতা দাশ দাশগুপ্ত – দ্বন্দ্ব (আনন্দ)
৫৮। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যোমকেশ সমগ্র (আনন্দ)
৫৯।শশধর দত্ত – মোহন অমনিবাস (মডেল), কবন্ধের পশ্চাতে শ্রীমন্ত (মডেল), ব্রহ্মদেশে গুপ্তধন (ভারতী)
৬০। শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় – কঙ্কাল রহস্য (দেব সাহিত্য), গুপ্তধন রহস্য (দেব সাহিত্য), হীরক রহস্য (দেব সাহিত্য)
৬১। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – নীলু হাজরার হত্যা রহস্য (আনন্দ), শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প (আনন্দম), রক্তের বিষ (আনন্দম), হারানো মণি (সুপ্রীম)
৬২। শেখর বসু – রহস্যের জাল (উর্বশী), রহস্যের পাঁচ ঠিকানা (পুনশ্চ)
৬৩। শৈলবালা ঘোষজায়া – জয়পতাকা (দেব সাহিত্য)
৬৪।শ্যামলকান্তি দাস – সেরা গোয়েন্দা গল্প (সম্পাদিত, অঙ্কুর)
৬৫।ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – চতুর গোয়েন্দা চতুর অভিযান (আনন্দ), চিত্রকূট রহস্য (মিত্র ও ঘোষ), পাণ্ডব গোয়েন্দা সমগ্র (আনন্দ), লাল বাজারের রাহাজানি (মণ্ডল)
৬৬। সঙ্কর্ষণ রায় – রহস্য গল্প (সাহিত্যম, ২০০৫), রহস্যভেদী বিজ্ঞানী (নির্মল বিক)
৬৭।সত্যজিৎ রায় – ফেলুদা সমগ্র (আনন্দ), গ্যাংটকে গণ্ডগোল (আনন্দ), কৈলাসে কেলেঙ্কারি (আনন্দ), ফেলুদা এণ্ড কোং (আনন্দ), জয়বাবা ফেলুনাথ (আনন্দ)
৬৮। সমরেশ বসু – গোগোলের অভিযান (শৈব্যা), গোগোল চিক্কুসনাগাল্যাণ্ডে (আনন্দ), গোগোল অমনিবাস (জগদ্ধাত্রী)
৬৯। সমরেশ মজুমদার – অর্জুন সমগ্র (আনন্দ), অর্জুন এবার কলকাতায় (আনন্দ), অর্জুন হতভম্ব (পত্র ভারতী)
৭০।সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী – ডিটেকটিভ অমনিবাস (নবপ্রকাশ)
৭১। সুকুমার ভট্টাচার্য – চুড়িদার মুখোস (পত্র ভারতী), সোনার মূর্তি রহস্য (আদার বুক্স), সব গল্পই রহস্যের (সম্পাদিত, নির্মল)
৭২। সুখেন্দু মুখোপধ্যায় – রহস্য রোমাঞ্চ কাহিনী (সম্পাদিত, এ.সি.ই)
৭৩।সুজন দাশগুপ্ত – গোয়েন্দা একেনবাবু (সুপ্রীম), গোয়েন্দা একেনবাবু – হরপ্পার শিলালিপি (এ. মুখার্জি), শান্তিনিকেতনে অশান্তি (দাশগুপ্ত-অ্যালায়েন্স)
৭৪।সুজিতকুমার নাগ – গোয়েন্দা চক্রজালে (বসাক), গোয়েন্দা ও রহস্য গল্প (নন্দিতা)
৭৫। সুনীতি মুখোপাধ্যায় – সেরা গোয়েন্দা অমনিবাস (লোকনাথ)
৭৬। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – কাকাবাবুর অভিযান (শৈব্যা), কিশোর রহস্য গল্প (শৈব্যা), কাকাবাবু সমগ্র (আনন্দ), কাকাবাবু হেরে গেলেন (আনন্দ)
৭৭।সেকেন্দার আলি সেখ – সেরা গোয়েন্দা (সাহিত্য তারুণ্য)
৭৮। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – অদ্বিতীয় কর্ণেল (পত্র ভারতী), আরও এক ডজন কর্ণেল (পত্র ভারতী), কর্ণেল সমগ্র (দে’জ)
৭৯। সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় – বর্ম্মা ফেরত, জলটুঙ্গি (প্রহেলিকা সিরিজ, দেবসাহিত্য), জীবন্ত সমাধি (কাঞ্চনজঙ্ঘা সিরিজ, দেবসাহিত্য)
৮০।স্বপনকুমার – আঁধার রাতের পথিক (দেবসাহিত্য), এক গ্লাস সরবত (দেবসাহিত্য), মৃত্যু না হত্যা (তারা দাস), রহস্য রোমাঞ্চ অমনিবাস (শশধর)
৮১। স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় – রহস্যভেদী মেঘনাদ (আই.পি.পি), তিব্বতী গুম্ফার রহস্য (পত্র ভারতী), বিভীষিকা দ্বীপে স্যার সত্যপ্রকাশ (পত্র ভারতে)
৮২। হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় – গোয়েন্দা আর গোয়েন্দা ( রূপা প্রকাশনী, ১৯৯৮)
৮৩। হীরেন চট্টোপাধ্যায় – সেরা গোয়েন্দা গল্প (সম্পাদিত, সরোজ পাব)
৮৪।হেমেন্দ্রকুমার রায় – অন্ধকারের বন্ধু (দেব সাহিত্য), আবার যখের ধন (দেব সাহিত্য), যখের ধন (এম.সি.সরকার), গোয়েন্দাকাহিনী সংকলন (পত্রলেখা)
লেখক এবং ডিটেকটিভদের তালিকা
অজিতকুমার পুততুণ্ড – কৌস্তভ
অদ্রীশ বর্ধন – ইন্দ্রনাথ রুদ্র
অনীশ দেব – এ.সি.জি
অসীম চট্টোপাধ্যায় – গোরাদা
কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায় – বাসব
গৌতম রায় – নীল ব্যানার্জী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় – গার্গী
দীনেন্দ্রকুমার রায় – রবার্ট ব্লেক
ধীরেন্দ্রলাল ধর – গোবিন্দ
নলিনী দাস – গোণ্ডালু
নারায়ণ সান্যাল – পি.কে.বাসু
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী – ভাদুড়ীমশাই
নীহাররঞ্জন গুপ্ত – কিরীটি রায়
প্রণব রায় ও অন্যান্য – প্রতুল লাহিড়ী
প্রভাবতী দেবী (সরস্বতী) – কৃষ্ণা
প্রেমেন্দ্র মিত্র – পরাশর বর্মা
পাঁচকড়ি দে – দেবেন্দ্রবিজয় ও অরিন্দম
বিমল কর – কিকিরা
বুদ্ধদেব বসু – চঞ্চল
মানবেন্দ্র পাল – বাপ্পা
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য – হুকাকাশি
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যোমকেশ বক্সী
শিবরাম চক্রবর্তী – কল্কেকাশি (হুকাকাশির অনুকরণে)
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – বরদাচরণ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – পাণ্ডব গোয়েন্দা – বাবলু, বিলু, ভোম্বল,
বাচ্চু ও বিচ্ছু
সত্যজিৎ রায় – প্রদোষ মিত্র (ফেলু দা)
সমরেশ বসু – গোগোল
সমরেশ মজুমদার – অর্জুন
সুজন দাশগুপ্ত – একেনবাবু
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – কাকাবাবু , সন্তু
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – কর্ণেল নিলাদ্রী সরকার
স্বপনকুমার – দীপক চ্যাটার্জি
হিমানীশ গোস্বামী – গর্জন
হেমেন্দ্রকুমার রায় – জয়ন্ত, মানিক ও ইনস্পেক্টর সুন্দরবাবু
এবং হেমন্ত, রবিন ও ইন্সপেক্টর সতীশবাবু।
>> সূত্র: ক্রাইম কাহিনীর কালক্রান্তি – সুকুমার সেন; আনন্দ পাবলিশার্স, ২০০৮,
>>পত্রিকা , ব্লগ ও উইকি ।