গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, ইলেকট্রন, প্রোটন, অণ্ডকোষ ইত্যাদি শব্দগুলো আগে ছিল না। এগুলো নতুন শব্দ আর কিছুদিন আগে ডিকশনারীতে যোগ হয়েছে। তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রশ্ন হলো------ যেভাবে বর্তমানে আমরা প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা করে পড়ি, আলাদা অালাদা করে উল্লেখ করি হাজার বছর আগে কেনো আল্লাহ কুরআনে সেভাবে উল্লেখ করল না??? আল্লাহ কি তাহলে জানত না??? তাহলে এটা আল্লাহর বাণী হলো কি করে???
দেখছেন নি অবস্থা!!! আগের যুগের মানুষদের যদি বলা হতো বস্তু ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন পাওয়া যায়। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলে পানি উৎপন্ন হয়। হাইড্রোজেনের ভর এতো.......... অক্সিজেনের ভর এতো............। তাহলে কি সে যুগের মানুষ এসব বুঝত???
সেই যুগের কথা বাদই দিলাম। আজকের যুুগের মানুষকে যদি বলা হয় এসব কথা তাও তো অনেকেই বুঝবে না। আর কেউ বুঝল না তবে আল্লাহ সেরকম কথা বললো তাহলো কি কিছু হতো? এজন্য আল্লাহ সম্পূর্ণ কুরআনেই এমনভাবে কথা বলেছেন যেনো তা সেই যুগের মানুষরাও বুঝতে পারে আর বর্তমান যুগের মানুষরাও সেসব আয়াত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। তবে ইসলাম বিদ্বেষীদের একটাই কথা------- কুরআন যদি আল্লাহর বাণী হয় তাহলে কেনো বর্তমান যুগের মতো বৈজ্ঞানিকভাবে পার্ট পার্ট করে লিখল না????
তারা কখনোই চিন্তা করে না সে যুগের মানুষের কথা!!!
আল্লাহ কথা বলেছেন একেবারে সহজ ভাষায় যেনো সেই যুগের মানুষ তা বুঝতে পারে। আর কোনো অঞ্চলের মানুষকে বুঝানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ভাষা হলো প্রচলিত ভাষা। সে যুগের মানুষ যে শব্দ দ্বারা যে অর্থ বুঝত সেভাবেই আল্লাহ কুরআন নাযিল করেছেন। আর এটাই স্বাভাবিক কাউকে বুঝাতে হলে।
তাহলে আল্লাহর কি উচিত ছিল???---- সেই যুগের মানুষদের সেই যুগের প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা??????????????
নাকি বর্তমান যুগের মতো বৈজ্ঞানিক শব্দগুলো পার্ট পার্ট আকারে আলাদা আলাদা করে বলা?????
তাহলে তো সেই যুগের মানুষ কিছুই বুঝত না। উল্টো নবীজী (সা:) এর কথায় কোনো ভ্রুক্ষেপই করত না কেউই। এমনিতেই সেই যুগের অনেক মানুষ নবীজীকে পাগল বলেও ডাকত????
অথচ এসব বিষয় ইসলাম বিদ্বেষীরা জেনেও কখনো লক্ষ্য করবে না।
আপনি যদি মূর্খ একজনকে বলেন--------“ভাই, আমি মারা যাচ্ছি। আমার খুব পিপাসা লেগেছে। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর মাঝে বিক্রিয়া ঘটে যে খাদ্যবস্তু পাওয়া যায় তা আমাকে এনে দিন।”
ফলাফল কি হবে: আপনি মারা যাবেন মাগার মরার আগে পানি পাবেন না। তাই না? তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ বা সঠিক কাজ কোনটি???---- প্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা যে শব্দ মানুষ বুঝবে।
আল্লাহ সেই কাজই করেছেন।