সিরিয়ান দেবশিশু আয়লান, মা বাবা আর ভাই গালিবের
সাথে সুন্দর সুখি নিরাপদ সুনিশ্চিত জীবনের আশায় পাশাচাত্যে পাড়ি জমাতে যেয়ে
নৌদুর্ঘটনায় মা ও ভাই সহ নিহত হয়। তুরস্কের সমুদ্র তীরে তার নিস্প্রাণ,
নিথর দেহ ভেসে উঠার ছবি আলোড়িত করে বিশ্ব মানবতাকে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে
কেঁদে উঠে সমগ্র বিশ্ব! সিরিয়া সহ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বিভিন্ন দেশের
শরনার্থীদের পূণর্বাসনে নিজেদের দায়িত্বের কথা, আরো মানবিক হয়ে উঠার কথা
মনে করিয়ে দেয় সকলকে দেব শিশু আয়লানের নিথর দেহের ছবি।
শিশু আয়লানদের জন্য হত দরিদ্র এই দেশের মানুষ আমরা সরাসরি খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা রাখিনা। অল্প কিছুকাল আগেই ঠিক এই দেবশিশু আয়লানের মতো হাজার অসহায় রহিঙ্গা দেবশিশুদের আমরা নির্বিকার ভাবে এমন নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছি, আশ্রয় না দিয়ে অনেকটা নির্মম ভাবেই ফিরিয়ে দিয়েছি তাঁদের। তাই আজ শরনার্থী আয়লানদের জন্য আর যেই কাঁদুক আমাদের কান্না কতোখানি যৌক্তিক তা ভেবে দেখার বিষয়!
সুন্দর সময় আয়লান ও গালিব
স্ত্রী পুত্র হারিয়ে শোকার্ত পিতা স্মৃতি বিজরিত সিরিয়ার বাসায় ফিরেছেন
আয়লানদের পরিবার বেশ কয়েক বছর আগেও সুখে শান্তিতে নিজ দেশেই নিশ্চিত নিরাপদ জীবন যাপন করছিলো। হঠাৎ এক দুর্ঘটনার মতো যুদ্ধ শুরু হয়, এক পাল হায়নার নিয়ত হামলায় অনিশ্চিত আর অনিরাপদ হয়ে পড়ে তাঁদের জীবন আর তাই এমনি ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেবার চেষ্টা।
আমাদের দেব শিশু
যে দেব শিশুদের দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই প্রতিদিন
আমাদের দেশে প্রতিদিন উপরের এই ছবির মতো হাজার হাজার ছবির সৃষ্টি হয়। এসব শিশুর জীবনে তাঁদের জন্মটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা! সুন্দর সুনিশ্চিত আর সুনিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখার মতো অবস্থাও তাঁদের নেই। মাথার উপর ছাদের চেয়েও দু বেলা দুমুঠো অন্নের জোগান হওয়াটাই বড় স্বপ্ন। রোদ বৃষ্টি ঝড় ঝন্ঝা উপেক্ষা করে এই পথেই তাদের জন্ম, এই পথেই তাদের মৃত্যু। এক ভয়ংকর অন্ধকার সত্য তাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসে, তার চেয়েও ভয়ংকর ভবিষ্যত তাদের হাত ছানি দিয়ে ডাকে।
বিভিন্ন পত্রিকা আর সামাজিক মাধ্যমে দেবশিশু আয়লানের জন্য যতো বাংলাদেশি আজ আহাজারি করছেন, তাঁদের প্রত্যেকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রোহিঙ্গা নয়, এই আমাদের পাশেই পথে পড়ে থাকা এসব অসহায় শিশুদের দিকে যদি মমতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে কেমন পরিবর্তন সম্ভব ভেবে দেখুন!
জ্বি, আমি জানি হাতে কলম উঠিয়ে বা কী বোর্ডে ঝড় তুলে আয়লানের জন্য আহাজারীতে পয়সা খরচ করতে হয়না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে উপর্জিত হয়ে থাকে।
বলছিলাম আমাদের মানবিকতার কথা! যে বোধের কাছে অসহায় হয়ে এসব কলাম, কবিতা আর ব্লগের জন্ম, সেই জাগ্রত মানবিক বোধ বাস্তবে কাজে লাগিয়ে আলোর পথ নিয়ে আসা যায় এমন অগুনিত দেবশিশুদের। আর কিছু না হোক এসব শিশুদের পড়া লেখার দায়িত্ব নিয়ে সুনিশ্চিত অন্ধকার ভবিষ্যতের ছোবল থেকে রক্ষা করা যায়। একার পক্ষে সম্ভব না হলে পরিবার, আত্মীয় বন্ধু বান্ধবদের সাহায্য নিয়ে অন্তঃত একটি শিশুর শিক্ষা আর আহারের দায়িত্ব আমরা প্রত্যেকে গ্রহন করতে পারি।
খরচ খুব বেশি নয়। নিজের সিগারেটের খরচ, মেকাপ আর সাজ বিলাসিতার খরচটা বাঁচিয়ে আলোকিত করা যায় এদের জীবন।
দেব শিশু আয়লান কে দেখে লেখনির মাধ্যমে অশ্রু ঝরানোর আগে একবার আমরা ভেবে দেখি, আয়লানদের রক্ষায় বাস্তবে আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারে। শুধু হা-হুতাশ আর সমবেদনা না জানিয়ে বদলে দেই এসব অসহায় দেবশিশুর জীবন যাদের পীচঢালা পথের এমন ভয়ংকর জীবন দেখে আয়লানের মতো শরনার্থী দেবশিশুরাও শিউরে উঠে!
শিশু আয়লানদের জন্য হত দরিদ্র এই দেশের মানুষ আমরা সরাসরি খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা রাখিনা। অল্প কিছুকাল আগেই ঠিক এই দেবশিশু আয়লানের মতো হাজার অসহায় রহিঙ্গা দেবশিশুদের আমরা নির্বিকার ভাবে এমন নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছি, আশ্রয় না দিয়ে অনেকটা নির্মম ভাবেই ফিরিয়ে দিয়েছি তাঁদের। তাই আজ শরনার্থী আয়লানদের জন্য আর যেই কাঁদুক আমাদের কান্না কতোখানি যৌক্তিক তা ভেবে দেখার বিষয়!
সুন্দর সময় আয়লান ও গালিব
স্ত্রী পুত্র হারিয়ে শোকার্ত পিতা স্মৃতি বিজরিত সিরিয়ার বাসায় ফিরেছেন
আয়লানদের পরিবার বেশ কয়েক বছর আগেও সুখে শান্তিতে নিজ দেশেই নিশ্চিত নিরাপদ জীবন যাপন করছিলো। হঠাৎ এক দুর্ঘটনার মতো যুদ্ধ শুরু হয়, এক পাল হায়নার নিয়ত হামলায় অনিশ্চিত আর অনিরাপদ হয়ে পড়ে তাঁদের জীবন আর তাই এমনি ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেবার চেষ্টা।
আমাদের দেব শিশু
যে দেব শিশুদের দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাই প্রতিদিন
আমাদের দেশে প্রতিদিন উপরের এই ছবির মতো হাজার হাজার ছবির সৃষ্টি হয়। এসব শিশুর জীবনে তাঁদের জন্মটাই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা! সুন্দর সুনিশ্চিত আর সুনিরাপদ জীবনের স্বপ্ন দেখার মতো অবস্থাও তাঁদের নেই। মাথার উপর ছাদের চেয়েও দু বেলা দুমুঠো অন্নের জোগান হওয়াটাই বড় স্বপ্ন। রোদ বৃষ্টি ঝড় ঝন্ঝা উপেক্ষা করে এই পথেই তাদের জন্ম, এই পথেই তাদের মৃত্যু। এক ভয়ংকর অন্ধকার সত্য তাদের এই পৃথিবীতে নিয়ে আসে, তার চেয়েও ভয়ংকর ভবিষ্যত তাদের হাত ছানি দিয়ে ডাকে।
বিভিন্ন পত্রিকা আর সামাজিক মাধ্যমে দেবশিশু আয়লানের জন্য যতো বাংলাদেশি আজ আহাজারি করছেন, তাঁদের প্রত্যেকে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রোহিঙ্গা নয়, এই আমাদের পাশেই পথে পড়ে থাকা এসব অসহায় শিশুদের দিকে যদি মমতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে কেমন পরিবর্তন সম্ভব ভেবে দেখুন!
জ্বি, আমি জানি হাতে কলম উঠিয়ে বা কী বোর্ডে ঝড় তুলে আয়লানের জন্য আহাজারীতে পয়সা খরচ করতে হয়না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে উপর্জিত হয়ে থাকে।
বলছিলাম আমাদের মানবিকতার কথা! যে বোধের কাছে অসহায় হয়ে এসব কলাম, কবিতা আর ব্লগের জন্ম, সেই জাগ্রত মানবিক বোধ বাস্তবে কাজে লাগিয়ে আলোর পথ নিয়ে আসা যায় এমন অগুনিত দেবশিশুদের। আর কিছু না হোক এসব শিশুদের পড়া লেখার দায়িত্ব নিয়ে সুনিশ্চিত অন্ধকার ভবিষ্যতের ছোবল থেকে রক্ষা করা যায়। একার পক্ষে সম্ভব না হলে পরিবার, আত্মীয় বন্ধু বান্ধবদের সাহায্য নিয়ে অন্তঃত একটি শিশুর শিক্ষা আর আহারের দায়িত্ব আমরা প্রত্যেকে গ্রহন করতে পারি।
খরচ খুব বেশি নয়। নিজের সিগারেটের খরচ, মেকাপ আর সাজ বিলাসিতার খরচটা বাঁচিয়ে আলোকিত করা যায় এদের জীবন।
দেব শিশু আয়লান কে দেখে লেখনির মাধ্যমে অশ্রু ঝরানোর আগে একবার আমরা ভেবে দেখি, আয়লানদের রক্ষায় বাস্তবে আমরা কি পদক্ষেপ নিতে পারে। শুধু হা-হুতাশ আর সমবেদনা না জানিয়ে বদলে দেই এসব অসহায় দেবশিশুর জীবন যাদের পীচঢালা পথের এমন ভয়ংকর জীবন দেখে আয়লানের মতো শরনার্থী দেবশিশুরাও শিউরে উঠে!