(আমিতো মনে করি যেভাবে এদেশের মানুষেরা জৈবিক চাহিদাকে অবদমিত করে রাখে
সেই তুলনায় যৌন সংক্রান্ত অপরাধের মাত্রা অনেক কম হয়ে থাকে। প্রেম জনিত যৌন
সম্পর্ককে যেখানে চরম অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে সেই তুলনায় সত্যিকার
অর্থেই এদেশে যৌন সম্পর্কিত অপরাধের মাত্রা সন্দেহাতীতভাবে কম হয়ে থাকে।)
বিষয়টা নিয়ে অনেক অনেক লেখালেখি, অনেক কথা হয়েছে বরং যা হবার তার চেয়ে বেশি হয়েছে, কিন্তু যা লেখা দরকার ছিল, যা বলা দরকার ছিলা তা এখনও লেখা হয়নি বা বলা হয়নি। সেই তাগিদ থেকে কিছুটা লেখার প্রয়াস চালাচ্ছি।
পহেলা বৈশাখ এমন একটা উৎসব যা সম্পূর্ণরূপে ধর্মের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কিন্তু ধর্ম দ্বারা চরম ভাবে আক্রান্ত হয়ে পালন করা হয়ে থাকে। এটি ধর্ম দ্বারা কতটা আক্রান্ত যারা অন্ত:জালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত বিচরণ করে থাকেন তারা বিষয়টি ভালভাবে অবলোকন করেছেন।
এ দেশে পহেলা বৈশাখ বা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উৎযাপন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানান অঘটন ঘটতে দেখা গেছে। সে হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যা ঘটল তা নতুন নয়। ঘটনা বা অঘটন যাই বলি না কেন সেটা যেমন নতুন নয় তেমনি ভাবে এই ঘটনার যেভাবে প্রতিবাদ করা হল তাও তেমন নতুন নয়। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী; নারী পুরুষ নির্বিশেষে তাদের শাস্তির জন্য সকলে সমস্বরে প্রতিবাদ করেছে বা তাদের শাস্তি দাবী করেছে। লিটন দাশ বাদে সকলের প্রতিবাদের ভাষা ছিল প্রায় অভিন্ন রকম। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই প্রতিবাদের ভাষা ছিল পেশা ও পোশাকি নির্ভর। এটা হতে পারে এত বড় একটা পাপ কর্ম হয়ে গেলো তা থেকে নির্ভার থাকার তাগিদ থেকে এটা করতে হয়েছে।
এটা যারা ঘটিয়েছে সরাসরি তাদেরকে হয়তোবা দোষ দিয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে শাস্তি ও দোষের এই ধারনা বা চর্চার সাথে আমি কোন ভাবেই সহমত নই। সহমত না হওয়ার কারণ খুব সহজ, কারণ দোষী প্রমাণ করে শাস্তি দিয়ে ঘটনা ঘটার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা সম্ভব নয়। শাস্তির বিধান অপরাধের মাত্রা কমিয়েছে বলে এই রকম প্রমাণ আপনি খুব একটা দেখাতে পারবেন না। যেখানে অপরাধের শাস্তির বিধান থাকে সেখানে অপরাধের প্রমাণ লোপাট করার নানান বিধানও আবিষ্কৃত হয়ে থাকে। তাছাড়া শাস্তির বিধান একধরনের নৈতিক অপরাধ, যেটার মাত্রা যতই কমবে মানুষ তত সভ্য হয়েছে বলে প্রতীয়মান হবে।
কোথাও কোথাও পড়লাম এই ধরনের সমস্যা যাতে আর কোন সন্তান না ঘটায় তার জন্য প্রত্যেক মা বাবাকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই এই ধরনের পরামর্শ আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয়েছে। এই অপরাধের তাগিদ তাদের মধ্যে যখন সৃষ্টি হয়েছে তখনই কেবল তারা অপরাধটা করেতে পেরেছে। সুতরাং যে অর্থে এখানে অপরাধীদের মা-বাবাকে সচেতন হতে বলা হয়েছে সেই অর্থে মা-বাবা যতই সচেতন হওন না কেন এই অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব নয়। যে দেশে শুধুমাত্র লেখালেখির জন্য মানুষকে হত্যা করা হয় সে দেশে মা-বাবাকে সচেতন হতে বলা মানে মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া।
আমিতো মনে করি যেভাবে এদেশের মানুষেরা জৈবিক চাহিদাকে অবদমিত করে রাখে সেই তুলনায় যৌন সংক্রান্ত অপরাধের মাত্রা অনেক কম হয়ে থাকে। প্রেম জনিত যৌন সম্পর্ককে যেখানে চরম অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে সেই তুলনায় সত্যিকার অর্থেই এদেশে যৌন সম্পর্কিত অপরাধের মাত্রা সন্দেহাতীতভাবে কম হয়ে থাকে। যৌন সম্পর্কিত অপরাধের ধারনা বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। যে কারণে চরম ক্ষুধার্ত মানুষকে অন্নের ব্যবস্থা না করে খাবার চুরির অপরাধে শাস্তি দেওয়াটা চরম অপরাধ। সে কারণে অবদমিত যৌন চাহিদার কারণে যৌন বিষয়ক অপরাধের কারণে কাউকে শাস্তি দেওয়টা বাঞ্ছনিয় নয়। অবদমিত যৌন চাহিদায় যৌন অপরাধ করতে প্রোরোচিত করে বা বাধ্য করে। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে এগিয়ে থাকা এবং জৈবিক ক্ষমতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পুরুষেরা নারীদের উপর পেশি শক্তি আরোপের মাধ্যমে প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌন প্রথা চালুর মাধ্যমে নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করেছে মাত্র।
পুরুষদের এই হীনতা দূরীকরণে মাধ্যমে যখন প্রকৃতি সম্মত যৌন চর্চার প্রচলন হবে তখনই কেবল যৌন সম্পর্কিত অপরাধের মাত্রা কমবে। তাছাড়া মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বতঃস্ফূর্ত বিনোদন পালন উন্মুক্ত না করা হলে এহেন অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক।
উপরোক্ত অনুচ্ছেদের সাথে নানান অনুভূতির কারণে দ্বিমত করার সুযোগ রয়েছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটা সংবাদ যেখানে ওয়েব সাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে দু’টি পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে। যে পরিসংখ্যান দেখলে হয়তো আমার দেওয়া যুক্তির সাথে আপনার একমত হবার ইচ্ছে করবে যদি না আপনি এই সংবাদটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে না করেন। যা নিচে দেখানো হলো।
সংবাদটির লিংক : http://www.prothom-alo.com/technology/article/491026
সন্দেহ নেই মুসলিম দেশগুলোতে যৌন ইচ্ছাকে সবচেয়ে বেশী অবদমন করা হয়ে থাকে। সেই দীর্ঘ অবদমনের ফলেই পর্ণো সাইট পরিদর্শনের এই চিত্র।
বাংলাদেশে বা মুসলিম দেশে বা এই উপমহাদেশে শৈশব থেকে একজন শিশু বিভিন্ন উৎস থেকে যৌনতা বিষয়ে এই শিক্ষা পেয়ে থাকে যে, প্রকৃতি প্রদত্ত এই বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র বিশেষ অনুশাসনের মাধ্যমেই ভোগ করতে হয় এবং তার অন্যথা হলে মহাপাপ হয়। শুধু তাই নয় যৌনতা একটি গোপন বিষয় এবং বিবাহ ছাড়া কখনও ভোগ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিবাহ একটি জটিল বিষয়; বিবাহের সাথে কিছু সুন্দর/অসুন্দর চর্চা বা নীতি বা প্রথা বা শর্ত সহ নানান বিষয় জড়িত রয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই 12/14 বছর থেকে নারী/পুরুষ প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে শুরু হয় চরম যৌন ইচ্ছা দমন অভ্যাস। কখনও কখনও কেউ কেউ এই অবদমনের বিস্ফোরণ ঘটায় রাস্তা বা বাসে।
এই বিস্ফোরণকারীকে আমরা নানান ভাবে শাস্তি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। দলে দলে রাস্তায় নামি। কিন্তু আমরা খুব সহজে ভুলে যাই, এমনকি আমরা যারা ওদের বিস্ফোরকদের শাস্তির দাবীতে রাস্তায় নামি বা ছিঃ ছিঃ করি তারা প্রায় প্রত্যেকেই বা অনেকেই যৌবনে এই অবদমিত ইচ্ছাকে নানান পদ্ধতির কোন এক বা একাধিক পদ্ধতিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি।
সুতরাং এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য রাস্তায় নামা বা কোন একটি সংগঠনের নামে অনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করা স্ব-বিরোধি ভূমিকার রাখার মাধ্যমে সমস্যা ও প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার নামান্তর বই কিছু নয়।
ধন্যবাদ।
বিষয়টা নিয়ে অনেক অনেক লেখালেখি, অনেক কথা হয়েছে বরং যা হবার তার চেয়ে বেশি হয়েছে, কিন্তু যা লেখা দরকার ছিল, যা বলা দরকার ছিলা তা এখনও লেখা হয়নি বা বলা হয়নি। সেই তাগিদ থেকে কিছুটা লেখার প্রয়াস চালাচ্ছি।
পহেলা বৈশাখ এমন একটা উৎসব যা সম্পূর্ণরূপে ধর্মের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কিন্তু ধর্ম দ্বারা চরম ভাবে আক্রান্ত হয়ে পালন করা হয়ে থাকে। এটি ধর্ম দ্বারা কতটা আক্রান্ত যারা অন্ত:জালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত বিচরণ করে থাকেন তারা বিষয়টি ভালভাবে অবলোকন করেছেন।
এ দেশে পহেলা বৈশাখ বা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উৎযাপন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানান অঘটন ঘটতে দেখা গেছে। সে হিসাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যা ঘটল তা নতুন নয়। ঘটনা বা অঘটন যাই বলি না কেন সেটা যেমন নতুন নয় তেমনি ভাবে এই ঘটনার যেভাবে প্রতিবাদ করা হল তাও তেমন নতুন নয়। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী; নারী পুরুষ নির্বিশেষে তাদের শাস্তির জন্য সকলে সমস্বরে প্রতিবাদ করেছে বা তাদের শাস্তি দাবী করেছে। লিটন দাশ বাদে সকলের প্রতিবাদের ভাষা ছিল প্রায় অভিন্ন রকম। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই প্রতিবাদের ভাষা ছিল পেশা ও পোশাকি নির্ভর। এটা হতে পারে এত বড় একটা পাপ কর্ম হয়ে গেলো তা থেকে নির্ভার থাকার তাগিদ থেকে এটা করতে হয়েছে।
এটা যারা ঘটিয়েছে সরাসরি তাদেরকে হয়তোবা দোষ দিয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া যেতে পারে। তবে শাস্তি ও দোষের এই ধারনা বা চর্চার সাথে আমি কোন ভাবেই সহমত নই। সহমত না হওয়ার কারণ খুব সহজ, কারণ দোষী প্রমাণ করে শাস্তি দিয়ে ঘটনা ঘটার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা সম্ভব নয়। শাস্তির বিধান অপরাধের মাত্রা কমিয়েছে বলে এই রকম প্রমাণ আপনি খুব একটা দেখাতে পারবেন না। যেখানে অপরাধের শাস্তির বিধান থাকে সেখানে অপরাধের প্রমাণ লোপাট করার নানান বিধানও আবিষ্কৃত হয়ে থাকে। তাছাড়া শাস্তির বিধান একধরনের নৈতিক অপরাধ, যেটার মাত্রা যতই কমবে মানুষ তত সভ্য হয়েছে বলে প্রতীয়মান হবে।
কোথাও কোথাও পড়লাম এই ধরনের সমস্যা যাতে আর কোন সন্তান না ঘটায় তার জন্য প্রত্যেক মা বাবাকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই এই ধরনের পরামর্শ আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হয়েছে। এই অপরাধের তাগিদ তাদের মধ্যে যখন সৃষ্টি হয়েছে তখনই কেবল তারা অপরাধটা করেতে পেরেছে। সুতরাং যে অর্থে এখানে অপরাধীদের মা-বাবাকে সচেতন হতে বলা হয়েছে সেই অর্থে মা-বাবা যতই সচেতন হওন না কেন এই অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব নয়। যে দেশে শুধুমাত্র লেখালেখির জন্য মানুষকে হত্যা করা হয় সে দেশে মা-বাবাকে সচেতন হতে বলা মানে মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া।
আমিতো মনে করি যেভাবে এদেশের মানুষেরা জৈবিক চাহিদাকে অবদমিত করে রাখে সেই তুলনায় যৌন সংক্রান্ত অপরাধের মাত্রা অনেক কম হয়ে থাকে। প্রেম জনিত যৌন সম্পর্ককে যেখানে চরম অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে সেই তুলনায় সত্যিকার অর্থেই এদেশে যৌন সম্পর্কিত অপরাধের মাত্রা সন্দেহাতীতভাবে কম হয়ে থাকে। যৌন সম্পর্কিত অপরাধের ধারনা বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন। যে কারণে চরম ক্ষুধার্ত মানুষকে অন্নের ব্যবস্থা না করে খাবার চুরির অপরাধে শাস্তি দেওয়াটা চরম অপরাধ। সে কারণে অবদমিত যৌন চাহিদার কারণে যৌন বিষয়ক অপরাধের কারণে কাউকে শাস্তি দেওয়টা বাঞ্ছনিয় নয়। অবদমিত যৌন চাহিদায় যৌন অপরাধ করতে প্রোরোচিত করে বা বাধ্য করে। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে এগিয়ে থাকা এবং জৈবিক ক্ষমতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পুরুষেরা নারীদের উপর পেশি শক্তি আরোপের মাধ্যমে প্রকৃতি বিরুদ্ধ যৌন প্রথা চালুর মাধ্যমে নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল করেছে মাত্র।
পুরুষদের এই হীনতা দূরীকরণে মাধ্যমে যখন প্রকৃতি সম্মত যৌন চর্চার প্রচলন হবে তখনই কেবল যৌন সম্পর্কিত অপরাধের মাত্রা কমবে। তাছাড়া মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা, স্বতঃস্ফূর্ত বিনোদন পালন উন্মুক্ত না করা হলে এহেন অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক।
উপরোক্ত অনুচ্ছেদের সাথে নানান অনুভূতির কারণে দ্বিমত করার সুযোগ রয়েছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটা সংবাদ যেখানে ওয়েব সাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে দু’টি পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে। যে পরিসংখ্যান দেখলে হয়তো আমার দেওয়া যুক্তির সাথে আপনার একমত হবার ইচ্ছে করবে যদি না আপনি এই সংবাদটিকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে না করেন। যা নিচে দেখানো হলো।
সংবাদটির লিংক : http://www.prothom-alo.com/technology/article/491026
সন্দেহ নেই মুসলিম দেশগুলোতে যৌন ইচ্ছাকে সবচেয়ে বেশী অবদমন করা হয়ে থাকে। সেই দীর্ঘ অবদমনের ফলেই পর্ণো সাইট পরিদর্শনের এই চিত্র।
বাংলাদেশে বা মুসলিম দেশে বা এই উপমহাদেশে শৈশব থেকে একজন শিশু বিভিন্ন উৎস থেকে যৌনতা বিষয়ে এই শিক্ষা পেয়ে থাকে যে, প্রকৃতি প্রদত্ত এই বৈশিষ্ট্য শুধুমাত্র বিশেষ অনুশাসনের মাধ্যমেই ভোগ করতে হয় এবং তার অন্যথা হলে মহাপাপ হয়। শুধু তাই নয় যৌনতা একটি গোপন বিষয় এবং বিবাহ ছাড়া কখনও ভোগ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিবাহ একটি জটিল বিষয়; বিবাহের সাথে কিছু সুন্দর/অসুন্দর চর্চা বা নীতি বা প্রথা বা শর্ত সহ নানান বিষয় জড়িত রয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই 12/14 বছর থেকে নারী/পুরুষ প্রত্যেক মানুষেরই জীবনে শুরু হয় চরম যৌন ইচ্ছা দমন অভ্যাস। কখনও কখনও কেউ কেউ এই অবদমনের বিস্ফোরণ ঘটায় রাস্তা বা বাসে।
এই বিস্ফোরণকারীকে আমরা নানান ভাবে শাস্তি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। দলে দলে রাস্তায় নামি। কিন্তু আমরা খুব সহজে ভুলে যাই, এমনকি আমরা যারা ওদের বিস্ফোরকদের শাস্তির দাবীতে রাস্তায় নামি বা ছিঃ ছিঃ করি তারা প্রায় প্রত্যেকেই বা অনেকেই যৌবনে এই অবদমিত ইচ্ছাকে নানান পদ্ধতির কোন এক বা একাধিক পদ্ধতিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি।
সুতরাং এই ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য রাস্তায় নামা বা কোন একটি সংগঠনের নামে অনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করা স্ব-বিরোধি ভূমিকার রাখার মাধ্যমে সমস্যা ও প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখার নামান্তর বই কিছু নয়।
ধন্যবাদ।