Friday, September 11, 2015

সন্ধ্যার ছবি ---

এখন-
এখানে ধানের ক্ষেতে অন্ধকার নেমে আসে,
তখন নিঃস্ব হতে থাকে তপনের তাপদাহ।
তখন দখিনা বিক্ষিপ্ত বাতাস আর চন্দ্রালোক,
একাট্টা হয়ে উঠে পবিত্র যোনী জগতের উন্মত্ততায়।
এখানে নিন্দুকেরা ক্লান্ত হয়, হারিয়ে যায় দিব্যলোকের দিগন্তরে,
যারা ঈর্ষান্বীত হয় দক্ষিণা পবন আর চন্দ্রলোকের ভালবাসায়।
এখানে মাটির গন্ধে ঝিঁঝি পোকারা স্বরলিপি খুঁজে পায়-
মায়াবী সুরে মূর্ছনায় আত্মাহুতি দিতে।
অন্ধকারেরা দল বেঁধে ডুবে থাকে জোসনার সাগরে, তখন
শিশিরের দল মিলনের খেলা খেলে শীর্ণকায় দূর্বা ডগায়।
এখানে রিপুরা অস্তিত্ত্ব সংকটে অন্ধকারের পথ ধরে-
অন্ধকারে হারায়, সে অন্ধকারেই রয়ে যায়।
এখানে, জোসনারা নৃত্য করে গাছের পাতায়, ঘাসের ডগায়-
ফড়িং-এর পাখায়, শিশিরের কণায়।
এখানে বৃষ্টিরা খেলা করে কিষাণের স্বপ্নের সাথে।
আধারের খেলা করে বৃষ্টিদের কোলে বসে।
স্বপ্নরা ডানা মেলে কিষাণ বধুর চোখে ভাসে।
কিষাণ বধুর দৃষ্টি তখন দৃষ্টিহীনতায় অদৃষ্টের প্রতীক্ষমাণ।
এখানে এক সন্ধ্যার আলেখ্যর ছবি চিত্রিত হয় সহস্র অহর্নিশি,
এখানে কবিরা ছবি আঁকে যুগ হতে যুগান্তরে।
যে ছবির জলছবি কোটি প্রাণের স্বপ্ন ছবি।
যে ছবি কবির ছবি, সে কবি, সে কবি।