Wednesday, September 23, 2015

সৃষ্টিকর্তা কে ?

আইনইস্টাইন বলেন, " বিজ্ঞান ছাড়া যে ধর্ম তা অন্ধ আর ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান পঙ্গু "
ফ্রান্সিস বেকন বলেছেন, "বিজ্ঞান সম্পর্কে যে অল্প জানে সে হয় নাস্তিক আর যে বেশি জানে সে হয় আস্তিক"
"অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মিশেছিল ওত্যপ্রতভাবে , আমি ঊভয়কে পৃথক করে দিলাম।”
সূরা আম্বিয়াঃ ৩০
?“তার পর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা কিছু ধূঁম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবী বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল আমরা সেচ্ছায় আসলাম।
সূরা হা-মীম সাজদাহ- ১১
“আপনি কি দেখেন না আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান"
(সুরা লুকমানঃ ২৯)
(অর্থাৎ রাত আস্তে আস্তে এবং ক্রমান্বয়ে দিনে রূপান্তরিত হয়, অনুরূপভাবে দিন ও আস্তে আস্তে এবং ক্রমান্বয়ে রাতে পরিবর্তিত হয়। পৃথিবী গোলাকৃতির হলেই কেবল এ ঘটনা ঘটতে পারে ।নিম্নের আয়াত দ্বারাও পৃথিবী যে গোলাকার তা বুঝা যায়)
"তিনি আসমান ও জামিন কে সৃষ্টি করেছেন যথার্থভাবে। তিনি রাতকে দিন দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন।”
সূরা যোমর -৫
(আয়াতে ব্যবহৃত আরবী শব্দ
( কাউয়ারা) শব্দের অর্থ হলো কুন্ডলী পাকানো বা কোন জিনিসকে প্যাঁচানো । যেমন করে মাথায় পাগড়ী প্যাঁচানো হয়। রাত ও দিনের আবর্তন তখনই সম্ভব যখন পৃথিবী গোলাকার হয়।
পৃথিবী বলের মত গোলাকার নয়, বরং মেরুকেন্দ্রিক চেপ্টা।নিম্নের আয়াতে পৃথিবীর আকৃতির বর্ননা দেওয়া হয়েছে)
“তিনি পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।”
সূরা নাযিআত -৩০
আরবী শব্দ ( দাহায়া এর মুল শব্দ দুইয়া)এর অর্থ হলো উঠপাখির ডিম।উটপাখীর ডিমের আকৃতির মতই পৃথিবীর আকৃতি মেরুকেন্দ্রিক চেপ্টা । অন্য অর্থ হল ‘সম্প্রসারিত করা’। উভই অর্থই বিশুদ্ধ।
স্যার ফ্রনকিস ড্র্যাক প্রথম প্রমান করেন যে, পৃথিবী গোলাকার ।
 তিনি ১৫৯৭ সনে পৃথিবীর চারপাশে নৌভ্রমন করেন) সেখানে চাঁদকে রেখেছেন স্নিন্ধ আলোরূপে এবং সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে ”-
সুরা নূহ-১৫-১৬
সূর্যকে বলা হয়েছে (সিরাজ) চাঁদকে বলা হয়েছে ( কামার) চাঁদের আলোকে বলা হয়েছে (মুনির) অর্থ ধার করা আলো ( নুর) অর্থ প্রতিফলিত আলো
“তিনি সৃষ্টি করেছেন রাত ও দিন এবং চাঁদ-সূর্য। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।”
(সূরা আম্বিয়া -৩৩)
(ইয়াসবাউন) এই আরবী শব্দটি এসেছে মূল শব্দ (ছাবাহা)থেকে যার অর্থ চলন্ত কোন কিছুর গতিকে
(১৫১২ খৃঃ নিকোলাস কোপারনিকাস গ্রহের গতি আছে মর্মে- সূর্যকেন্দ্রিক তত্ব দেন।এই তত্বে বলা হয়,সৌরজগতের কেন্দবিন্দু- সূর্য গতিহীন)
"সূর্য নাগাড় পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত আগে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।” সূরা ইয়াসিন -৪০
(সূর্য প্রতি সেকেন্ডে মহাশূনে ২৪০ কিলোমিটার গতিতে চলে)
"যখন সূর্য নিষ্প্রভ হয়ে যাবে"
(সূরা তাকবীর-১)
(সূর্যের নিষ্প্রভ হওয়া কেয়ামতের লক্ষণ)
(১৯২৫খৃঃ জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবেল পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণের সাহায্যে বলেছেন,প্রতিটি ছায়াপথ অন্য ছায়াপথ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলে)
“আমি নিজ ক্ষমতা বলে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই এর সম্প্রসারণকারী।”
সূরা যারিয়াত-৪৭
বিজ্ঞানী অরগেহেন বলেন, ছায়াপথ একটা থেকে আরেকটা দূরে সরে যাচ্ছে ।
“কাফেররা বলে,আমাদের উপর কেয়ামত আসবে না।বলুন,কেন আসবেনা? আমার প্রতিপালকের শপথ,অবশ্যই আসবে।তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত।আসমান ও যমীনে অণু পরিমাণ কিংবা তা থেকে ক্ষুদ্র ও বড় কোন কিছুই তার অগোচরে নয়।সমস্তই আছে সুষ্পষ্ট কিতাবে।”
( সূরা সাবা-৩)
আরবী (জার্রা ) শব্দের অর্থ পরমানু
তুমি কি দেখনা যে, আল্লাহ মেঘমালাকে সঞ্চারিত করেন,তারপর তাকে পুঞ্জীভূত করেন,অতঃপর তাকে স্তরে স্তরে রাখেন,তারপর তুমি দেখ যে, তার মধ্য থেকে বারিধারা নির্গত হয়। তিনি আকাশস্থিত শিলাস্তুপ থেকে শিলা বর্ষণ করেন এবং তা দ্বারা যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা,তা অন্যদিকে ফিরিয়ে দেন।তার বিদ্যুত ঝলক দৃষ্টি শক্তিকে যেন বিলীন করে দিতে চায়।”
সূরা আননূর -৪৩
"আমরা কি করিনি ভূমিকে বিছানা এবং পর্বতমালাকে পেরেক?”
সূরা নাবা- ৬-৭
“আমি পৃথিবীতে ভারী বোঝা রেখে দিয়েছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে ।”
সূরা আল আম্বিয়া -৩১
“তিনি পাশাপাশি দু’সাগর প্রবাহিত করেছেন উভয়ের মাঝে রয়েছে অন্তরাল, যা তারা অতিক্রম করেনা।”
সূরা আর রাহমান -১৯-২০
অথবা (তাদের কর্ম) প্রমত্ত সমুদ্রের বুকে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে উদ্বেলিত করে তরঙ্গের উপর তরঙ্গ,যার উপরে ঘন কালো মেঘ আছে।একের উপর এক অন্ধকার।যখন সে তার হাত বের করে,তখন তাকে একেবারেই দেখতে পায় না।আল্লাহ যাকে জ্যোতি দেন না,তার কোন জ্যোতি নেই।
সূরা আন নূর-৪০
(অধ্যপক দুর্গা রাও একজন প্রখ্যাত সামুদ্রিক ভূতত্ববিদ এবং জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ছিলেন।তাঁকে কোরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের উপর মন্তব্য করতে বলা হয়ঃ
। আলোক রশ্মির সাতটি রং রংধনুতে দেখতে পাওয়া যায়। স