Wednesday, September 23, 2015

অন্য ভূবন...!



মৃত মাছের চোঁখে চোঁখ রাখি। আরো একটু গভীরে- যতটি গভীরে গেলে দৃষ্টিসীমানায় একটি গোলাকার চোঁখ শুধু। বিভ্রম নয় বরং বিশ্বাস রাখি আত্মমগ্নতায়। কাল্পনিক ধারণার অস্তিত্বহীনতাকে অস্বীকার করে বিচ্ছিন্ন একটি পৃথিবী বয়ে বেড়াচ্ছি মাথার ভেতর। বাস্তব মহাবিশ্বের পৃথিবীর মতো নিজস্ব কক্ষপথে চলমান বিচ্ছিন্ন সেই পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল কোনো এক শরতের রাতে। তারপর থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের মতো শুধু নিজ কক্ষপথে ধাবমান। এই পৃথিবীতে আগমনের পর থেকেই জেনেছি বিছিন্ন সেই পৃথিবীর বুকে আমার আদি পদচ্ছাপ অস্বীকার করবার নয়।

স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন যাপনের অলস কোনো দুপুরে সেখানে অবারিত নদীর ধারে ছিপ ফেলে বসে ছিল কেউ। মৃত মাছের চোঁখে আরো একটু গভীর এবং স্বচ্ছ দৃষ্টি দেয়া যাক, যতটি গভীরে তাকালে বিচ্ছিন্ন পৃথিবীকে মনে হবে ছবির মতো। শৈশবের বায়োস্কোপের রীল নিয়ন্ত্রিত ভাবে ঘুরছে পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাথে সাথে।

মাছ ধরতে ছিপ ফেলে বসে থাকা প্রাণসম্পন্ন সৃষ্টিটি একজন অপেক্ষমাণ যাত্রী। অবশ্যই সে তার নিজস্ব পৃথিবী সম্পর্কে অবগত। মেঘ আর রোদের খেলায় সময় পার হতে হতে উদ্বেলিত পানির তরঙ্গে নড়ে ওঠে ছিপ। মাছের চোঁখটি কাঁপুনি দিয়ে ওঠে। অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার কারণ মূলতঃ একজন পরম প্রার্থিত যাত্রাসঙ্গী। কাঙ্ক্ষিত কোনো যন্ত্রণার।

বাস্তবিক পৃথিবীর যন্ত্রণাসমুহ কেবল অসহনীয় নয়, আত্মহত্যার প্ররোচনায় উদ্ভাসিত। আয়নাতে ভাঁসে অচেনা কোনো প্রতিবিম্ব। সেই প্রতিচ্ছবি আমার নয়।

কাঙ্ক্ষিত যন্ত্রণা বা পরম প্রার্থনার যাত্রাসঙ্গী নির্দ্বিধায় সৌন্দর্যের স্বীয় সংজ্ঞায় নিজেকে মেলে ধরা কোনো এক সুন্দর। প্রাণের সঞ্চারনে তাহলে নারীকেই প্রেম দিয়ে সাজানো হোক। সৃষ্টিশীলতার উৎকর্ষ সাধনে এর চাইতে সর্বোত্তম আর কিছুই হতে পারে না।

নদীতে ছিপ ফেলে বসে থাকা যাত্রাসঙ্গিনীর অপেক্ষায় থাকার অর্থ অপেক্ষার সময়টুকু অযথা সময়ের গর্ভে বিলীন হতে না দেয়ার প্রয়াস।
সময়ের সাথে সাথে মৃত মাছের চোঁখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোঁখ ঘোলাটে হয়ে আসে। পাতাঝরা গাছ থেকে শেষ পাতাটি ঝরে গেছে। শুন্যে দুলতে দুলতে পাতাটি ছুঁয়ে ফেলল স্বচ্ছ নদীর প্রবাহকে। যেন হলুদ বিকেলের খামে সবুজ চিঠি এসে পৌঁচেছে প্রাণের সংবাদ নিয়ে। সন্ধ্যার আয়োজনে আকাশ ধারণ করেছে তার চিরায়তো রূপ। সকল নক্ষত্ররাজি জেঁগে উঠেছে একই সাথে। তারা সাক্ষী হবে নতুন একটি জীবনের, নতুন একটি বাঁধনের।

অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার সময় শেষ হয়ে আসবে। সৃষ্টিশীলতার যন্ত্রণাকে বয়ে বেড়াতে বিচ্ছিন্ন নক্ষত্রগুলোকে যৌথ আকাশে নিজেদের মত সাজিয়ে নিবে একজন নর ও একজন নারী।
মৃত মাছের চোঁখে চোঁখ রাখি। আরো একটু গভীরে- যতটি গভীরে গেলে দৃষ্টিসীমানায় একটি গোলাকার চোঁখ শুধু। বিভ্রম নয় বরং বিশ্বাস রাখি আত্মমগ্নতায়। কাল্পনিক ধারণার অস্তিত্বহীনতাকে অস্বীকার করে বিচ্ছিন্ন একটি পৃথিবী বয়ে বেড়াচ্ছি মাথার ভেতর। বাস্তব মহাবিশ্বের পৃথিবীর মতো নিজস্ব কক্ষপথে চলমান বিচ্ছিন্ন সেই পৃথিবীর জন্ম হয়েছিল কোনো এক শরতের রাতে। তারপর থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষকের মতো শুধু নিজ কক্ষপথে ধাবমান। এই পৃথিবীতে আগমনের পর থেকেই জেনেছি বিছিন্ন সেই পৃথিবীর বুকে আমার আদি পদচ্ছাপ অস্বীকার করবার নয়।

স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন যাপনের অলস কোনো দুপুরে সেখানে অবারিত নদীর ধারে ছিপ ফেলে বসে ছিল কেউ। মৃত মাছের চোঁখে আরো একটু গভীর এবং স্বচ্ছ দৃষ্টি দেয়া যাক, যতটি গভীরে তাকালে বিচ্ছিন্ন পৃথিবীকে মনে হবে ছবির মতো। শৈশবের বায়োস্কোপের রীল নিয়ন্ত্রিত ভাবে ঘুরছে পৃথিবীর আহ্নিক গতির সাথে সাথে।

মাছ ধরতে ছিপ ফেলে বসে থাকা প্রাণসম্পন্ন সৃষ্টিটি একজন অপেক্ষমাণ যাত্রী। অবশ্যই সে তার নিজস্ব পৃথিবী সম্পর্কে অবগত। মেঘ আর রোদের খেলায় সময় পার হতে হতে উদ্বেলিত পানির তরঙ্গে নড়ে ওঠে ছিপ। মাছের চোঁখটি কাঁপুনি দিয়ে ওঠে। অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার কারণ মূলতঃ একজন পরম প্রার্থিত যাত্রাসঙ্গী। কাঙ্ক্ষিত কোনো যন্ত্রণার।

বাস্তবিক পৃথিবীর যন্ত্রণাসমুহ কেবল অসহনীয় নয়, আত্মহত্যার প্ররোচনায় উদ্ভাসিত। আয়নাতে ভাঁসে অচেনা কোনো প্রতিবিম্ব। সেই প্রতিচ্ছবি আমার নয়।

কাঙ্ক্ষিত যন্ত্রণা বা পরম প্রার্থনার যাত্রাসঙ্গী নির্দ্বিধায় সৌন্দর্যের স্বীয় সংজ্ঞায় নিজেকে মেলে ধরা কোনো এক সুন্দর। প্রাণের সঞ্চারনে তাহলে নারীকেই প্রেম দিয়ে সাজানো হোক। সৃষ্টিশীলতার উৎকর্ষ সাধনে এর চাইতে সর্বোত্তম আর কিছুই হতে পারে না।

নদীতে ছিপ ফেলে বসে থাকা যাত্রাসঙ্গিনীর অপেক্ষায় থাকার অর্থ অপেক্ষার সময়টুকু অযথা সময়ের গর্ভে বিলীন হতে না দেয়ার প্রয়াস।
সময়ের সাথে সাথে মৃত মাছের চোঁখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোঁখ ঘোলাটে হয়ে আসে। পাতাঝরা গাছ থেকে শেষ পাতাটি ঝরে গেছে। শুন্যে দুলতে দুলতে পাতাটি ছুঁয়ে ফেলল স্বচ্ছ নদীর প্রবাহকে। যেন হলুদ বিকেলের খামে সবুজ চিঠি এসে পৌঁচেছে প্রাণের সংবাদ নিয়ে। সন্ধ্যার আয়োজনে আকাশ ধারণ করেছে তার চিরায়ত রূপ। সকল নক্ষত্ররাজি জেগে উঠেছে একই সাথে। তারা সাক্ষী হবে নতুন একটি জীবনের, নতুন একটি বাঁধনের।

অপেক্ষমাণ যাত্রীর অপেক্ষার সময় শেষ হয়ে আসবে। সৃষ্টিশীলতার যন্ত্রণাকে বয়ে বেড়াতে বিচ্ছিন্ন নক্ষত্রগুলোকে যৌথ আকাশে নিজেদের মতো সাজিয়ে নিবে একজন নর ও একজন নারী।