ভাষায় ব্যবহার্য বিবর্তক অব্যয়সূচক শব্দাংশই উপসর্গ।
উপসর্গের কাজ:
☼ নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করা,
☼ শব্দের অর্থের পূর্ণতা সাধন করা,
☼ অর্থের প্রসারণ ঘটানো,
☼ অর্থের সঙ্কোচন ঘটানো ও
☼ অর্থের বিবর্তন সাধন করা।
যেমন: ‘বৃষ্টি’-র আগে ‘অনা’ যুক্ত করায় ‘অনাবৃষ্টি’ (অভাব অর্থে)। তেমনি অনাচার, অনাদর, অনামুখো। ‘উপ’ কণ্ঠের আগে যুক্ত করে ‘উপকণ্ঠ’ (সামীপ্য অর্থে), বনের আগে যুক্ত করে ‘উপবন’ (সাদৃশ্য অর্থে), গ্রহের আগে যুক্ত করে ‘উপগ্রহ’ (ক্ষুদ্রার্থে), ভোগের আগে লাগালে হয় ‘উপভোগ’ (বিশেষ অর্থে) ইত্যাদি।
উপসর্গ ৩ প্রকার:
☼ খাঁটি বাঙলা,
☼ তৎসম বা সংস্কৃত ও
☼ বিদেশি।
○ খাঁটি বাঙলা উপসর্গ: ২১টি; অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
ক্রমানুসারে প্রতিটির একটি করে উদাহরণ: অস্থির, অঘাচণ্ডী, অজপাড়াগাঁ, অনাসৃষ্টি, আকাঠা, আড়চোখ, আনমনা, আবডাল, ইতিহাস, উনপাঁজুরে, কদাকার, কুকথা, নিরেট, পাতিহাঁস, বিশ্রী, ভরদুপুর, রামছাগল, সশ্রম, সাজোয়ান, সুখবর, হা-ভাত।
○ তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ: ২০টি; অতি, অধি, অনু, অপ, অপি, অব, অভি, আ, উপ, উৎ, দুঃ, নি, নির, পরা, পরি, প্র, প্রতি, বি, সম্ִ, সু।
একটি করে উদাহরণ: অতিপ্রাকৃত, অধিকার, অনুশীলন, অপযশ, অপিচ, অবমাননা, অভিযান, আগমন, উপকূল, উৎপাদন, দুর্দশা, নিবৃত্তি, নিরহঙ্কার, পরাজয়, পরিবর্তন, প্রবেশ, প্রতিধ্বনি, বিবর্ণ, সমৃদ্ধ, সুলভ।
○ বিদেশি: বিদেশি উপসর্গ নির্দিষ্ট নয়। আরবি, ইংরেজি, উর্দু, ফার্সি ও অন্যান্য ভাষার বহু শব্দ বাঙলাভাষায় দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত বলে বাঙলায় এগুলি একেবারে মিশে গেছে।
কিছু উদাহরণ:
আরবি— আম, খয়ের, খাস, গর, বাজে, লা; আমজনতা, খয়ের খাঁ, খাসমহল, গরমিল, বাজে খরচ, লাপাত্তা।
ইংরেজি— ফুল, হাফ, হেড, সাব; ফুলহাতা, হাফ-স্কুল, হেড-পণ্ডিত, সাব-এডিটর।
উর্দু/হিন্দি— হর; হররোজ, হরেক রকম।
ফার্সি— কম, কার, দর, না, নিম, ফি, ব, বদ, বর, বে; কমজোর, কারবার, দরখাস্ত, নালায়েক, নিমমোল্লা, ফি বছর, ব-কলম, বজ্জাত, বরখাস্ত, বেগতিক।
লক্ষণীয়: কিছু বিদেশি উপসর্গ খাঁটি বাঙলা বা তৎসমের মতো মূলশব্দের সঙ্গে সেঁটে বসে না, সরে বসে।
বাক্যে প্রয়োগ করে বিস্তারিত দেখালে স্ট্যাটাস্ বেশি লম্বা হয়ে যাবে, পাঠক হয়ে পড়বেন ধৈর্যহারা। তাই সঙ্কুচিতভাবে উপস্থাপন করলাম।
উপসর্গের কাজ:
☼ নতুন অর্থবোধক শব্দ তৈরি করা,
☼ শব্দের অর্থের পূর্ণতা সাধন করা,
☼ অর্থের প্রসারণ ঘটানো,
☼ অর্থের সঙ্কোচন ঘটানো ও
☼ অর্থের বিবর্তন সাধন করা।
যেমন: ‘বৃষ্টি’-র আগে ‘অনা’ যুক্ত করায় ‘অনাবৃষ্টি’ (অভাব অর্থে)। তেমনি অনাচার, অনাদর, অনামুখো। ‘উপ’ কণ্ঠের আগে যুক্ত করে ‘উপকণ্ঠ’ (সামীপ্য অর্থে), বনের আগে যুক্ত করে ‘উপবন’ (সাদৃশ্য অর্থে), গ্রহের আগে যুক্ত করে ‘উপগ্রহ’ (ক্ষুদ্রার্থে),
উপসর্গ ৩ প্রকার:
☼ খাঁটি বাঙলা,
☼ তৎসম বা সংস্কৃত ও
☼ বিদেশি।
○ খাঁটি বাঙলা উপসর্গ: ২১টি; অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
ক্রমানুসারে প্রতিটির একটি করে উদাহরণ: অস্থির, অঘাচণ্ডী, অজপাড়াগাঁ, অনাসৃষ্টি, আকাঠা, আড়চোখ, আনমনা, আবডাল, ইতিহাস, উনপাঁজুরে, কদাকার, কুকথা, নিরেট, পাতিহাঁস, বিশ্রী, ভরদুপুর, রামছাগল, সশ্রম, সাজোয়ান, সুখবর, হা-ভাত।
○ তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ: ২০টি; অতি, অধি, অনু, অপ, অপি, অব, অভি, আ, উপ, উৎ, দুঃ, নি, নির, পরা, পরি, প্র, প্রতি, বি, সম্ִ, সু।
একটি করে উদাহরণ: অতিপ্রাকৃত, অধিকার, অনুশীলন, অপযশ, অপিচ, অবমাননা, অভিযান, আগমন, উপকূল, উৎপাদন, দুর্দশা, নিবৃত্তি, নিরহঙ্কার, পরাজয়, পরিবর্তন, প্রবেশ, প্রতিধ্বনি, বিবর্ণ, সমৃদ্ধ, সুলভ।
○ বিদেশি: বিদেশি উপসর্গ নির্দিষ্ট নয়। আরবি, ইংরেজি, উর্দু, ফার্সি ও অন্যান্য ভাষার বহু শব্দ বাঙলাভাষায় দীর্ঘকাল ধরে প্রচলিত বলে বাঙলায় এগুলি একেবারে মিশে গেছে।
কিছু উদাহরণ:
আরবি— আম, খয়ের, খাস, গর, বাজে, লা; আমজনতা, খয়ের খাঁ, খাসমহল, গরমিল, বাজে খরচ, লাপাত্তা।
ইংরেজি— ফুল, হাফ, হেড, সাব; ফুলহাতা, হাফ-স্কুল, হেড-পণ্ডিত, সাব-এডিটর।
উর্দু/হিন্দি— হর; হররোজ, হরেক রকম।
ফার্সি— কম, কার, দর, না, নিম, ফি, ব, বদ, বর, বে; কমজোর, কারবার, দরখাস্ত, নালায়েক, নিমমোল্লা, ফি বছর, ব-কলম, বজ্জাত, বরখাস্ত, বেগতিক।
লক্ষণীয়: কিছু বিদেশি উপসর্গ খাঁটি বাঙলা বা তৎসমের মতো মূলশব্দের সঙ্গে সেঁটে বসে না, সরে বসে।
বাক্যে প্রয়োগ করে বিস্তারিত দেখালে স্ট্যাটাস্ বেশি লম্বা হয়ে যাবে, পাঠক হয়ে পড়বেন ধৈর্যহারা। তাই সঙ্কুচিতভাবে উপস্থাপন করলাম।