দিনকে দিন আপনার দাঁতগুলো হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? হাসতে পারছেননা আর আগের মতন মনখুলে? কোন সমস্যা নেই। ঘরে বসেই ব্যবহার করে দেখুন দাঁতকে আরো সাদা করে তোলার এই পদ্ধতিগুলোঃ
১. বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ- বেকিং সোডার সোডিয়াম বায়োকার্বোনেট আপনার দাওতের উজ্জ্বলতাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি লেবুর ভেতরে থাকা অ্যসিড আপনার দাঁতকে করে তুলবে আরো সাদা। আর তাই এই দুটোর মিশ্রন ব্যবহার করুন সপ্তাহের তিনটি দিন। আর বাকি চারদিন ব্যবহার করুন বেকিং সোডা আর পানি। দেখুন কেমন ঝকঝকে তকতকে আরে প্রানোচ্ছল হয়ে যায় আপনার দাঁত আর হাসি।
২. স্ট্রেবেরী, লবন আর বেকিং সোডার মিশ্রন- স্ট্রবেরীতে রয়েছে ভিটামিন সি, যেটা কিনা আপনার দাঁতের প্লাক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আর এই প্লাককেই দাঁত হলদেটে হবার প্রধান কারন হিসেবে মনে করা হয়। তবে ভিটামিন সি ছাড়ার স্ট্রবেরীতে রয়েছে ম্যালিক এসিড। আর এই এসিডের সাথে লবনের মিম্রন আপনার মিশ্রণটিকে করে তুলবে দাঁত সাদা করার পক্ষে আরো সহায়ক। তবে আরো ভালো ফলাফলের জন্যে এই দুইটি মিশ্রনের সাথে যোগ করতে পারেন খানিকটা বেকিং পাউডার।
৩. নারকেল তেল- শুনতে খানিকটা অদ্ভূত লাগলেও নারকেল তেল কিন্তু দাঁতকে সাদা করার জন্যে যথেষ্ট কাজের। আর তাই মাঝে মাঝেই খানিকটা নারকেল তেল দিয়ে ঘষে নিন আপনার দাঁতগুলো। স্বাদ অতটা ভালো না হলেও এটি বেশ উপকারী।
৪. খারাপ অভ্যাস- আপনার যদি থেকে থাকে সিগারেট, মদ, তামাক বা এই ধরনের কোন বদভ্যাস তাহলে এক্ষুনি সেগুলো পরিহার করুন। কারন এগুলো খুব দ্রুতই দাঁতের ওপর ফেলে দেয় বাজে কিছু ছাপ যা কিনা হতে পারে আপনার দাঁত এমনকি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
৫. চা-কফি পান- চা বা কফিও দাঁতকে হলদেটে করে তোলে। আর তাই দিনে দুই বারের বেশি চা বা কফি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। সতর্ক থাকুন কোমল পানীয় থেকেও।
৬. তিলের তেল- দাঁত সাদা করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন তিলের তেল। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের ভেতরে ২০ মিনিট তেল রেখে দিন। কেবল দাঁতকে সাদা করাই নয়, তিলের তেলের এই ব্যবহারটি আপনাকে উপহার দেবে ব্যথাহীন, ব্যকটেরিয়াহীন একটি সুস্থ মুখ।
৭. খাবার- অনেকে জানেন যে গাজর চোখের জন্যে ভালো। কিন্তু গাজর কেবল চোখের জন্যেই ভালোনা। নিয়মিত গাজর খেলে ভালো থাকে দাঁতও। এছাড়াও অনেকে চকোলেটকে দাঁতের জন্যে ক্ষতিকর বললেও, দাঁতকে আরো সাদা করে তোলার জন্যে ডার্ক চকোলেট অনেক বেশি কাজে আসে।
৮. চুইংগাম ও নিমের ডাল- চুইংগাম দাঁতের জন্যে খারাপ হলেও সুগার ফ্রি চুইংগাম আপনার দাঁতকে করে তুলবে সাদাটে। এবং এর সাথে সাথে আপনি দাঁতকে আরো উজ্জ্বল আর সাদা করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের ডালও। নিমের ডাল দিয়ে প্রতিদিন দাঁত মাজুন। ব্যাকটেরিয়া ও হলদেটে ভাবসহ আরো অনেক বাজে ব্যাপারই বিদায় নেবে আপনার মুখ থেকে।
**
তেজপাতা দিয়ে দাঁত ঝকঝকে!
দাঁতকে ঝকঝকে সুন্দর করার জন্য কত কিছুই না করেন আপনি। দামী টুথপেস্ট থেকে শুরু করে ডেন্টিস্টের কাছে দামী ট্রিটমেন্ট, সবই কেবল হলদে দাঁতগুলোকে সাদা করার জন্য। না, আজ থেকে আর কিছুই করতে হবে না, সাধারণ তেজপাতা দিয়েই প্রাকৃতিক উপায়ে সুন্দর করে নিতে পারবেন আপনি আপনার দাঁতগুলো? কীভাবে? চলুন, জেনে নিন দাঁত সুন্দর করতে তেজপাতা ব্যবহারের প্রণালি।
দাঁত সাদা করতে তেজপাতা দারুণ উপকারী, তবে এই তেজপাতাকে মেশাতে হবে কোন টক ফলের সাথে। যেমন ধরুন কমলা বা লেবুর খোসা।
যা যা লাগবে
তেজপাতা ৪টি (কাঁচা বা শুকনো সব রকমেই হবে)
কমলা ও লেবুর খোসা (তেজপাতার সম পরিমাণ)
মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা বা মাড়িতে ব্যথা থাকলে লবঙ্গ ২/৩ টি
প্রণালি
-তেজপাতা বেটে নিন বা মিহি গুঁড়ো করে নিন।
-কমলা বা লেবুর খোসা শুকিয়ে লবঙ্গের সাথে মিশিয়ে গুঁড়ো করে নিন।
-সব উপকরণ সামান্য লবণ সহযোগে একত্রে মিশিয়ে নিন।
-ফলের খোসা শুকিয়ে নেয়া জরুরী। কাঁচা অবস্থায় দাঁতের ক্ষতি করবে।
ব্যবহার বিধি
এই গুঁড়োটি সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন দাঁত মাজুন। রোজ মাজার প্রয়োজন নেই, এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের হলদে ভাবের ওপর নির্ভর করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
**
ব্যস্ততাময় ও কর্মমুখর এই জীবনে নিজের শরীরের জন্য হয়তো খুব একটা সময় রাখাই হয় না আপনার। যত্ন নেয়া হয় না দাঁত ও মুখেরও। কিন্তু এই সামান্য অযত্নের ফলে বাড়তে থাকা মুখের দুর্গন্ধ আপনার সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ফেলতে পারে অনেক খারাপ প্রভাব। আর তাই খুব কম কষ্টে কী করে স্বাস্থ্যকর নিঃশ্বাসের অধিকারী হওয়া যায় জেনে নিন।
মুখের দুর্গন্ধ দু’রকমের হতে পারে। স্বল্পস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী। স্বল্প সময় ধরে থাকা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এসময় সামান্য কষ্ট করলেই আপনি দূর করতে পারেন এই ঝামেলাটাকে। সেগুলো হলো—
— খানিকটি পানি পান করা।
— দাঁত ব্রাশ করা।
— চিনিবিহীন মিন্ট চকোলেট অথবা চুইঙ্গাম খাওয়া। কিন্তু এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সমস্যায় পরিণত হয়ে থাকে তাহলে নিচের কাজগুলো আপনাকে ভালো ফল দিতে পারে। যেমন—
— দিনে দু’বার (সকালে ও রাতে) কমপক্ষে দুই মিনিটের জন্য ব্রাশ করা। ব্রাশ করার সময় কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
যেমন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রাশ ব্যবহার করা, প্রতি তিন-চার মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলা, মুখের প্রতিটি কোনায়, বিশেষ করে মাড়িতে ভালোভাবে ব্রাশ করা, জুস খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্রাশ না করা, প্রয়োজন পড়লে জিহ্বা পরিষ্কার করার জন্য টাঙ ক্লিনার ব্যবহার করা ইত্যাদি।
— যেসব খাবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া উত্পাদন করে সেগুলোকে এড়িয়ে চলা। যেমন—অ্যালকোহল, সিগারেট, পেঁয়াজ, রসুন, মাছ ইত্যাদি।
— নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
— দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা। পানি জিহ্বাকে নরম হতে এবং এর ওপর খাবার থেকে জন্ম নেয়া ব্যাকটেরিয়াগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে।
— মুখকে শুষ্ক করে দেয় এমন খাবার যেমন—কফি, চা ইত্যাদি পরিহার করা।
— ডেইরি পণ্য, যেমন ডিম, দুধ এবং স্নেহজাতীয় খাবার মুখের এসিডিটির পরিমাণ পরিবর্তন করে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই এগুলোও এড়িয়ে চলা।
— পানি ছাড়া অন্য কিছু পান করার পর কুলি করে নেয়া।
— জোরে না কাশা। জোরে কাশলে জিহ্বার পেছনে থাকা টনসিল স্টোনের কিছু অংশ, যেগুলো মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে, সামনে চলে আসতে পারে।
— পেয়ারা এবং এই জাতীয় শক্ত খাবার খাওয়া। এগুলো মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
— অন্তত প্রতি দু’বছরে একবার ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া।
১. বেকিং সোডা ও লেবুর রসের মিশ্রণ- বেকিং সোডার সোডিয়াম বায়োকার্বোনেট আপনার দাওতের উজ্জ্বলতাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে। এর পাশাপাশি লেবুর ভেতরে থাকা অ্যসিড আপনার দাঁতকে করে তুলবে আরো সাদা। আর তাই এই দুটোর মিশ্রন ব্যবহার করুন সপ্তাহের তিনটি দিন। আর বাকি চারদিন ব্যবহার করুন বেকিং সোডা আর পানি। দেখুন কেমন ঝকঝকে তকতকে আরে প্রানোচ্ছল হয়ে যায় আপনার দাঁত আর হাসি।
২. স্ট্রেবেরী, লবন আর বেকিং সোডার মিশ্রন- স্ট্রবেরীতে রয়েছে ভিটামিন সি, যেটা কিনা আপনার দাঁতের প্লাক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আর এই প্লাককেই দাঁত হলদেটে হবার প্রধান কারন হিসেবে মনে করা হয়। তবে ভিটামিন সি ছাড়ার স্ট্রবেরীতে রয়েছে ম্যালিক এসিড। আর এই এসিডের সাথে লবনের মিম্রন আপনার মিশ্রণটিকে করে তুলবে দাঁত সাদা করার পক্ষে আরো সহায়ক। তবে আরো ভালো ফলাফলের জন্যে এই দুইটি মিশ্রনের সাথে যোগ করতে পারেন খানিকটা বেকিং পাউডার।
৩. নারকেল তেল- শুনতে খানিকটা অদ্ভূত লাগলেও নারকেল তেল কিন্তু দাঁতকে সাদা করার জন্যে যথেষ্ট কাজের। আর তাই মাঝে মাঝেই খানিকটা নারকেল তেল দিয়ে ঘষে নিন আপনার দাঁতগুলো। স্বাদ অতটা ভালো না হলেও এটি বেশ উপকারী।
৪. খারাপ অভ্যাস- আপনার যদি থেকে থাকে সিগারেট, মদ, তামাক বা এই ধরনের কোন বদভ্যাস তাহলে এক্ষুনি সেগুলো পরিহার করুন। কারন এগুলো খুব দ্রুতই দাঁতের ওপর ফেলে দেয় বাজে কিছু ছাপ যা কিনা হতে পারে আপনার দাঁত এমনকি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
৫. চা-কফি পান- চা বা কফিও দাঁতকে হলদেটে করে তোলে। আর তাই দিনে দুই বারের বেশি চা বা কফি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। সতর্ক থাকুন কোমল পানীয় থেকেও।
৬. তিলের তেল- দাঁত সাদা করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন তিলের তেল। প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পর মুখের ভেতরে ২০ মিনিট তেল রেখে দিন। কেবল দাঁতকে সাদা করাই নয়, তিলের তেলের এই ব্যবহারটি আপনাকে উপহার দেবে ব্যথাহীন, ব্যকটেরিয়াহীন একটি সুস্থ মুখ।
৭. খাবার- অনেকে জানেন যে গাজর চোখের জন্যে ভালো। কিন্তু গাজর কেবল চোখের জন্যেই ভালোনা। নিয়মিত গাজর খেলে ভালো থাকে দাঁতও। এছাড়াও অনেকে চকোলেটকে দাঁতের জন্যে ক্ষতিকর বললেও, দাঁতকে আরো সাদা করে তোলার জন্যে ডার্ক চকোলেট অনেক বেশি কাজে আসে।
৮. চুইংগাম ও নিমের ডাল- চুইংগাম দাঁতের জন্যে খারাপ হলেও সুগার ফ্রি চুইংগাম আপনার দাঁতকে করে তুলবে সাদাটে। এবং এর সাথে সাথে আপনি দাঁতকে আরো উজ্জ্বল আর সাদা করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের ডালও। নিমের ডাল দিয়ে প্রতিদিন দাঁত মাজুন। ব্যাকটেরিয়া ও হলদেটে ভাবসহ আরো অনেক বাজে ব্যাপারই বিদায় নেবে আপনার মুখ থেকে।
**
তেজপাতা দিয়ে দাঁত ঝকঝকে!
দাঁতকে ঝকঝকে সুন্দর করার জন্য কত কিছুই না করেন আপনি। দামী টুথপেস্ট থেকে শুরু করে ডেন্টিস্টের কাছে দামী ট্রিটমেন্ট, সবই কেবল হলদে দাঁতগুলোকে সাদা করার জন্য। না, আজ থেকে আর কিছুই করতে হবে না, সাধারণ তেজপাতা দিয়েই প্রাকৃতিক উপায়ে সুন্দর করে নিতে পারবেন আপনি আপনার দাঁতগুলো? কীভাবে? চলুন, জেনে নিন দাঁত সুন্দর করতে তেজপাতা ব্যবহারের প্রণালি।
দাঁত সাদা করতে তেজপাতা দারুণ উপকারী, তবে এই তেজপাতাকে মেশাতে হবে কোন টক ফলের সাথে। যেমন ধরুন কমলা বা লেবুর খোসা।
যা যা লাগবে
তেজপাতা ৪টি (কাঁচা বা শুকনো সব রকমেই হবে)
কমলা ও লেবুর খোসা (তেজপাতার সম পরিমাণ)
মুখে দুর্গন্ধের সমস্যা বা মাড়িতে ব্যথা থাকলে লবঙ্গ ২/৩ টি
প্রণালি
-তেজপাতা বেটে নিন বা মিহি গুঁড়ো করে নিন।
-কমলা বা লেবুর খোসা শুকিয়ে লবঙ্গের সাথে মিশিয়ে গুঁড়ো করে নিন।
-সব উপকরণ সামান্য লবণ সহযোগে একত্রে মিশিয়ে নিন।
-ফলের খোসা শুকিয়ে নেয়া জরুরী। কাঁচা অবস্থায় দাঁতের ক্ষতি করবে।
ব্যবহার বিধি
এই গুঁড়োটি সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে সপ্তাহে ৩ দিন দাঁত মাজুন। রোজ মাজার প্রয়োজন নেই, এতে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের হলদে ভাবের ওপর নির্ভর করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
**
ব্যস্ততাময় ও কর্মমুখর এই জীবনে নিজের শরীরের জন্য হয়তো খুব একটা সময় রাখাই হয় না আপনার। যত্ন নেয়া হয় না দাঁত ও মুখেরও। কিন্তু এই সামান্য অযত্নের ফলে বাড়তে থাকা মুখের দুর্গন্ধ আপনার সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ফেলতে পারে অনেক খারাপ প্রভাব। আর তাই খুব কম কষ্টে কী করে স্বাস্থ্যকর নিঃশ্বাসের অধিকারী হওয়া যায় জেনে নিন।
মুখের দুর্গন্ধ দু’রকমের হতে পারে। স্বল্পস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী। স্বল্প সময় ধরে থাকা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। এসময় সামান্য কষ্ট করলেই আপনি দূর করতে পারেন এই ঝামেলাটাকে। সেগুলো হলো—
— খানিকটি পানি পান করা।
— দাঁত ব্রাশ করা।
— চিনিবিহীন মিন্ট চকোলেট অথবা চুইঙ্গাম খাওয়া। কিন্তু এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সমস্যায় পরিণত হয়ে থাকে তাহলে নিচের কাজগুলো আপনাকে ভালো ফল দিতে পারে। যেমন—
— দিনে দু’বার (সকালে ও রাতে) কমপক্ষে দুই মিনিটের জন্য ব্রাশ করা। ব্রাশ করার সময় কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।
যেমন, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রাশ ব্যবহার করা, প্রতি তিন-চার মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলা, মুখের প্রতিটি কোনায়, বিশেষ করে মাড়িতে ভালোভাবে ব্রাশ করা, জুস খাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে ব্রাশ না করা, প্রয়োজন পড়লে জিহ্বা পরিষ্কার করার জন্য টাঙ ক্লিনার ব্যবহার করা ইত্যাদি।
— যেসব খাবার মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া উত্পাদন করে সেগুলোকে এড়িয়ে চলা। যেমন—অ্যালকোহল, সিগারেট, পেঁয়াজ, রসুন, মাছ ইত্যাদি।
— নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত।
— দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা। পানি জিহ্বাকে নরম হতে এবং এর ওপর খাবার থেকে জন্ম নেয়া ব্যাকটেরিয়াগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে।
— মুখকে শুষ্ক করে দেয় এমন খাবার যেমন—কফি, চা ইত্যাদি পরিহার করা।
— ডেইরি পণ্য, যেমন ডিম, দুধ এবং স্নেহজাতীয় খাবার মুখের এসিডিটির পরিমাণ পরিবর্তন করে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই এগুলোও এড়িয়ে চলা।
— পানি ছাড়া অন্য কিছু পান করার পর কুলি করে নেয়া।
— জোরে না কাশা। জোরে কাশলে জিহ্বার পেছনে থাকা টনসিল স্টোনের কিছু অংশ, যেগুলো মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে, সামনে চলে আসতে পারে।
— পেয়ারা এবং এই জাতীয় শক্ত খাবার খাওয়া। এগুলো মুখ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
— অন্তত প্রতি দু’বছরে একবার ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়া।