নারী কে?
নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝায়- Wikipedia.
বিশ্বাব্যাপী নারীদের ব্যাপারে ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা
ঐতিহাসিকভাবেই নারীদেরকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিবার থেকেই তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ কিংবা উদ্বুদ্ধ করা হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৩ সালে সমান অধিকার আইন আকারে গৃহীত হবার পর নারীদেরকে উল্লেখযোগ্য হারে বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কিছু ধর্ম বা সংস্কৃতিতে নারীদের জন্য কঠোরভাবে অন্ত:পুরে আবদ্ধ রাখার বিধান তৈরী করা হয়েছে যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। যারপরানই নারীরা শৈশব থেকেই অবরুদ্ধবাদ মানষিকতা নিয়ে বেড়ে উঠে। এরফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মনন বিকাশের স্বাভাবিক বিষয়গুলো অস্বাভাবিকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। এমনকি কিছু সংষ্কৃতিতে, যেখানে নারীদের কুমারীত্বের সাথে পারিবারিক সম্মান জড়িত। সেখানে যদি বিবাহের পূর্বেই নারী যৌনসম্পর্ক করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তা পরিবারের জন্য অসম্মানকর হিসেবে বিবেচিত। এক্ষেত্রেও যদি নারীদের তথাকথিক কুমারীত্ব নষ্ট হয়েই থাকে তাহলে সেখানে একজন পুরুষেরও সমান ভূমিকা থাকে।অথচ সম্মান নষ্ট হয় শুধুমাত্র নারী পরিবারে পুরুষ পরিবারে নয়। বড়ই হাস্যকর প্রথা।
বিভিন সময় ধর্ম প্রবর্তকগণ (সকল ধর্মের ধর্ম প্রবর্তকই পুরুষ) সেক্স (Human sexual activity has sociological, cognitive, emotional, behavioral and biological aspects)বিষয় প্রকৃতিবিরুদ্ধমতবাদ প্রবর্তন করে গেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর স্বীকার হয়েছেন নারীরা। তথাকথিক Feminist-গণও তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় এসবের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক বা বিবর্তনবাদ সত্যকে তুলে ধরা থেকে নিজেদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন। শুধু অব্যাহতিই দেননি এমনকি তারাও আবার নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে নতুন এমন কিছু শব্দের প্রচলন করেছে যা সেক্স বিষয়ক দমননীতি মনোভাব চালু করেছে যে নীতি সেক্স সংক্রান্ত অপরাধ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রে নারীবিষয়ক প্রচলিত ধারনা :
প্রকৃতির কিছু অ-লঙ্ঘনিয় বিধান প্রতিপালন করতে গিয়ে নারীদেরকে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় একটু বেশি অনুপস্থিত থাকতে হয় সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই অলঙ্ঘনিয় বিধানগুলো কখনই নারীদের দূর্বলতা নয় বরং ঐগুলোই তাদের সর্বাপেক্ষা গৌরবজনক বিষয়। নারীদের সেই গৌরবান্বিত অনুপস্থিতির কারণেই একজন পুরুষ সন্তান সে নিজেকে পুরুষ হিসাবে গর্ববোধ করে। যদিও আপনি পুরুষ এইটা নিয়ে গর্ব করার পেছনে তার তিল পরিমাণ অবদান নেই বা গর্ব করারও কিছু নেই। এটা মূলত প্রকৃতির ভারসাম্য নীতির কারণেই হয়ে থাকে।
সাধারণ ভাবে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে থাকে বা কম কাজ করে থাকে। আপাতত কথাটা বিশ্বাস করতে থাকি। শেষতক কি ফলাফল পাওয়া যায় তার জন্য অপেক্ষা করি। উল্লেখ্য যে, আন্ডার লাইন করা বাক্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করার পরিসাংখ্যিক তথ্য থাকলেও আপাতত সেই পথে না হেটে বাক্যটা সত্য মনে করে নারীরা পুরুষদের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এবং কেন আছে তা বিশ্লেষণ করা যাক।
প্রয়োজনেও নারীরা অফিস সময়ের একটু আগে অফিসে যেতে পারেনা বা অফিস সময়ের একটু পরে অফিস ছাড়তে পারেনা। কিন্তু কেন? এই ঘটনার জন্য কি সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ি নাকি নাকি অন্য কেউ? অবশ্যই, খুব কম ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ী, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা দায়ী। একজন নারী যখন অফিসে আসেন তখন তাকে অনেক ঘর গৃহস্থালীর কাজ সেরে অফিসে আসতে হয় আবার অফিস থেকে ফিরেও সেই একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটাতে হয়। ঘরে ফিরে স্বামী যদি তার স্ত্রীকে দেখতে না পায় তাহলে বিরাট সমস্যার বিষয় হয়ে থাকে কিন্তু স্ত্রী ঘরে ফিরে তার স্বামীকে দেখতে পাবেনা সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে এক্ষেত্রে নারীদের সমস্যার মূল কারণ মূলত: পুরুষদের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রথা।
কর্মী যদি নারী হয়ে থাকে কাজের প্রয়োজনে বাইরে রাত্রিযাপন করা সমস্যাপূর্ণ একটা বিষয়ই বটে। কাজের প্রয়োজনে এটা সত্যিকার অর্থেই একটি সমস্যাপূর্ণ ব্যাপার। কাজের প্রয়োজনে সহকর্মীদেরকে বাইরে যাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে আমাকেও অনুরোধ করতে হয়। কিন্ত নারী কর্মী হলে যে কাজ করার জন্য বাইরে রাত্রি যাপন করত হয় সেই ধরনের কাজের জন্য তাদেরকে পাঠানো হয়না। এটা সত্যিই সমস্যাপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু এই সমস্যার জন্য সত্যিই কি সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ী? আদৌ তা নয়। একজন নারী কর্মী বাইরে নিরাপদ রাত্রি যাপন করতে পারবেনা বলেই তাকে বাইরে এইরূপ কাজে বাইরে পাঠানো হয়না, সেটাতো পুরুষদের জন্যই। একই সমস্যার কারণে তাদের ফিরতে সন্ধ্যা বা রাত হয়ে যাবে সেই রকম দূরুত্বে কাজ করতে যাওয়াটাও সমস্যা। নারীদের কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যাকে সঙ্গী করে কাজ করতে হয়। বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তার কোনটির জন্যই নারী নিজে দায়ী নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ দায়ী।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ আছে কিন্তু সেটা করতে গেলে পাঠকদের বিরক্তির উদ্রেগ হবে তাই এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংক্ষিপ্ত করা হলো।
নারী বনাম পুরুষ -একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মানসিক পরিপক্বতা দ্রুত হয়—এ ধারণা সমাজে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, মস্তিষ্কের পরিপক্বতার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রায় ১০ বছর এগিয়ে থাকে।
গবেষণার পর যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কে জমা হওয়া তথ্য থেকে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ, তা বাছাই করতে পারার সক্ষমতা তৈরি হওয়ার পর থেকে মানসিক পরিপক্বতা আসতে শুরু করে। মেয়েদের বয়স মোটামুটি ১০ বছর হওয়ার পর থেকে তাদের এই সক্ষমতা তৈরি হয়। এ জন্য ছেলেদের ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে সেরিব্রাল কর্টেক্স সাময়িকীতে। ৪ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২১ জন নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষক সল লিম বলেন, ‘দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে মেয়েদের মস্তিষ্ক তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারছে। অর্থাৎ, তাদের মানসিক পরিপক্বতা আসতে শুরু করে। আর ছেলেদের মধ্যে এটা ঘটে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে।’ টেলিগ্রাফ। Link : http://www.prothom-alo.com/technology/article/105310
উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে এটা বুঝতে সমস্যা হয়না যে, যেসকল কারণে নারীদেরকে অযোগ্য মনে করি বা অপরাধী করি তার জন্য নারীরা দায়ী নয়। সকল ক্ষেত্রেই প্রায় পুরুষগণ এককভাবে দায়ী অথবা যৌথভাবে দায়ী। তাহলে পুরুষদের অপরাধে দায়-ভার নারীগণ কেন শতকের পর শতক বহন করে যাবেন?
নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝায়- Wikipedia.
বিশ্বাব্যাপী নারীদের ব্যাপারে ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা
ঐতিহাসিকভাবেই নারীদেরকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিবার থেকেই তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ কিংবা উদ্বুদ্ধ করা হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৩ সালে সমান অধিকার আইন আকারে গৃহীত হবার পর নারীদেরকে উল্লেখযোগ্য হারে বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কিছু ধর্ম বা সংস্কৃতিতে নারীদের জন্য কঠোরভাবে অন্ত:পুরে আবদ্ধ রাখার বিধান তৈরী করা হয়েছে যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। যারপরানই নারীরা শৈশব থেকেই অবরুদ্ধবাদ মানষিকতা নিয়ে বেড়ে উঠে। এরফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মনন বিকাশের স্বাভাবিক বিষয়গুলো অস্বাভাবিকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। এমনকি কিছু সংষ্কৃতিতে, যেখানে নারীদের কুমারীত্বের সাথে পারিবারিক সম্মান জড়িত। সেখানে যদি বিবাহের পূর্বেই নারী যৌনসম্পর্ক করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তা পরিবারের জন্য অসম্মানকর হিসেবে বিবেচিত। এক্ষেত্রেও যদি নারীদের তথাকথিক কুমারীত্ব নষ্ট হয়েই থাকে তাহলে সেখানে একজন পুরুষেরও সমান ভূমিকা থাকে।অথচ সম্মান নষ্ট হয় শুধুমাত্র নারী পরিবারে পুরুষ পরিবারে নয়। বড়ই হাস্যকর প্রথা।
বিভিন সময় ধর্ম প্রবর্তকগণ (সকল ধর্মের ধর্ম প্রবর্তকই পুরুষ) সেক্স (Human sexual activity has sociological, cognitive, emotional, behavioral and biological aspects)বিষয় প্রকৃতিবিরুদ্ধমতবাদ প্রবর্তন করে গেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর স্বীকার হয়েছেন নারীরা। তথাকথিক Feminist-গণও তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় এসবের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক বা বিবর্তনবাদ সত্যকে তুলে ধরা থেকে নিজেদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন। শুধু অব্যাহতিই দেননি এমনকি তারাও আবার নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে নতুন এমন কিছু শব্দের প্রচলন করেছে যা সেক্স বিষয়ক দমননীতি মনোভাব চালু করেছে যে নীতি সেক্স সংক্রান্ত অপরাধ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রে নারীবিষয়ক প্রচলিত ধারনা :
প্রকৃতির কিছু অ-লঙ্ঘনিয় বিধান প্রতিপালন করতে গিয়ে নারীদেরকে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় একটু বেশি অনুপস্থিত থাকতে হয় সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই অলঙ্ঘনিয় বিধানগুলো কখনই নারীদের দূর্বলতা নয় বরং ঐগুলোই তাদের সর্বাপেক্ষা গৌরবজনক বিষয়। নারীদের সেই গৌরবান্বিত অনুপস্থিতির কারণেই একজন পুরুষ সন্তান সে নিজেকে পুরুষ হিসাবে গর্ববোধ করে। যদিও আপনি পুরুষ এইটা নিয়ে গর্ব করার পেছনে তার তিল পরিমাণ অবদান নেই বা গর্ব করারও কিছু নেই। এটা মূলত প্রকৃতির ভারসাম্য নীতির কারণেই হয়ে থাকে।
সাধারণ ভাবে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে থাকে বা কম কাজ করে থাকে। আপাতত কথাটা বিশ্বাস করতে থাকি। শেষতক কি ফলাফল পাওয়া যায় তার জন্য অপেক্ষা করি। উল্লেখ্য যে, আন্ডার লাইন করা বাক্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করার পরিসাংখ্যিক তথ্য থাকলেও আপাতত সেই পথে না হেটে বাক্যটা সত্য মনে করে নারীরা পুরুষদের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এবং কেন আছে তা বিশ্লেষণ করা যাক।
প্রয়োজনেও নারীরা অফিস সময়ের একটু আগে অফিসে যেতে পারেনা বা অফিস সময়ের একটু পরে অফিস ছাড়তে পারেনা। কিন্তু কেন? এই ঘটনার জন্য কি সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ি নাকি নাকি অন্য কেউ? অবশ্যই, খুব কম ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ী, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা দায়ী। একজন নারী যখন অফিসে আসেন তখন তাকে অনেক ঘর গৃহস্থালীর কাজ সেরে অফিসে আসতে হয় আবার অফিস থেকে ফিরেও সেই একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটাতে হয়। ঘরে ফিরে স্বামী যদি তার স্ত্রীকে দেখতে না পায় তাহলে বিরাট সমস্যার বিষয় হয়ে থাকে কিন্তু স্ত্রী ঘরে ফিরে তার স্বামীকে দেখতে পাবেনা সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে এক্ষেত্রে নারীদের সমস্যার মূল কারণ মূলত: পুরুষদের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রথা।
কর্মী যদি নারী হয়ে থাকে কাজের প্রয়োজনে বাইরে রাত্রিযাপন করা সমস্যাপূর্ণ একটা বিষয়ই বটে। কাজের প্রয়োজনে এটা সত্যিকার অর্থেই একটি সমস্যাপূর্ণ ব্যাপার। কাজের প্রয়োজনে সহকর্মীদেরকে বাইরে যাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে আমাকেও অনুরোধ করতে হয়। কিন্ত নারী কর্মী হলে যে কাজ করার জন্য বাইরে রাত্রি যাপন করত হয় সেই ধরনের কাজের জন্য তাদেরকে পাঠানো হয়না। এটা সত্যিই সমস্যাপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু এই সমস্যার জন্য সত্যিই কি সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ী? আদৌ তা নয়। একজন নারী কর্মী বাইরে নিরাপদ রাত্রি যাপন করতে পারবেনা বলেই তাকে বাইরে এইরূপ কাজে বাইরে পাঠানো হয়না, সেটাতো পুরুষদের জন্যই। একই সমস্যার কারণে তাদের ফিরতে সন্ধ্যা বা রাত হয়ে যাবে সেই রকম দূরুত্বে কাজ করতে যাওয়াটাও সমস্যা। নারীদের কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যাকে সঙ্গী করে কাজ করতে হয়। বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তার কোনটির জন্যই নারী নিজে দায়ী নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ দায়ী।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ আছে কিন্তু সেটা করতে গেলে পাঠকদের বিরক্তির উদ্রেগ হবে তাই এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংক্ষিপ্ত করা হলো।
নারী বনাম পুরুষ -একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মানসিক পরিপক্বতা দ্রুত হয়—এ ধারণা সমাজে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, মস্তিষ্কের পরিপক্বতার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রায় ১০ বছর এগিয়ে থাকে।
গবেষণার পর যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কে জমা হওয়া তথ্য থেকে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ, তা বাছাই করতে পারার সক্ষমতা তৈরি হওয়ার পর থেকে মানসিক পরিপক্বতা আসতে শুরু করে। মেয়েদের বয়স মোটামুটি ১০ বছর হওয়ার পর থেকে তাদের এই সক্ষমতা তৈরি হয়। এ জন্য ছেলেদের ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে সেরিব্রাল কর্টেক্স সাময়িকীতে। ৪ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২১ জন নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়।
গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষক সল লিম বলেন, ‘দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে মেয়েদের মস্তিষ্ক তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারছে। অর্থাৎ, তাদের মানসিক পরিপক্বতা আসতে শুরু করে। আর ছেলেদের মধ্যে এটা ঘটে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে।’ টেলিগ্রাফ। Link : http://www.prothom-alo.com/technology/article/105310
উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে এটা বুঝতে সমস্যা হয়না যে, যেসকল কারণে নারীদেরকে অযোগ্য মনে করি বা অপরাধী করি তার জন্য নারীরা দায়ী নয়। সকল ক্ষেত্রেই প্রায় পুরুষগণ এককভাবে দায়ী অথবা যৌথভাবে দায়ী। তাহলে পুরুষদের অপরাধে দায়-ভার নারীগণ কেন শতকের পর শতক বহন করে যাবেন?