Thursday, September 10, 2015

ঈশ্বর আছেন না নেই?

'ঈশ্বর আছেন না নাই ?' বিষয়টা পুরনো বিতর্ক । নতুন করে আসুন না ঝালিয়ে নেওয়া যাক ।
বিংশ শতাব্দির অন্যতম শ্রেষ্ঠ পদার্থবিজ্ঞানী, আপেক্ষিকতাবাদের জনক আইনস্টাইনের ঈশ্বরবিশ্বাস প্রসঙ্গ ।
আইনস্টাইন মোটেও আস্তিক ছিলেন না । অথচ এই বিজ্ঞানীর দু-একটি খণ্ডিত মন্তব্য বিচ্ছিন্নভাবে তুলে ধরে নিজেদের সমর্থনে তা ব্যবহার করে থাকেন । প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রচলিত ধর্ম ও তথখকথিত ঈশ্বরে আদৌ বিশ্বাসী ছিলেন না । তিনি বরাবর বলেছেন,' স্পিনোজার ঈশ্বরই আমার ঈশ্বর ।' স্পিনোজা ছিলেন কার্যকারণ সম্পর্কে বিশ্বাসী , আইনস্টাইনও তাই ।তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন,'আমি বৈজ্ঞানীক সত্যকেই বুঝি ,কিন্তু ধর্মীয় সত্য কি তা বুঝিনা ।'স্পষ্টভাবে বলেছেন,'যদি এই ঈশ্বর সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান হন,তবে প্রতিটি ঘটনা , প্রতি কাজ , প্রতি চিন্তা, প্রতি অনুভূতি ও আশা-আকাঙ্খাও সেই ঈশ্বরের কাজ, অর্থাৎ ঈশ্বর যা করাচ্ছেন প্রতিটি মানুষও তাই করছেন ।তা হলে একি ভাবে কোনও মানুষকে তার কাজের জন্য বা চিন্তার জন্যদায়ী করতে পারেন । মানুষের কাজের বিচার করার অর্থ তা হলে দাঁড়ায় ঈশ্বরের নিজের কাজেরবিচার করা ।'
কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াই তাঁর মৃতদেহ সৎকার করার কথা নিজের ইচ্ছাপত্রে লিখেছিলেন ।
মার্কিন মুলুকে আইনস্টাইনের বেশ কিছু বিরল ও দুষ্প্রাপ্য চিঠি, নথিপত্র নিলামে উঠতে চলেছে । এর মধ্যে দুটি চিঠিতে ঈশ্বর ও ধর্ম প্রসঙ্গে তাঁর সুস্পষ্ট মতের প্রতিফলন ঘটেছে । ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন,'একজন ধর্মযাজকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিচার করলে আমি একজন নাস্তিক এবং সর্বদাই তাই থাকব ।'
১৯৪৯সালের দ্বিতীয় চিঠিতে তিনি লিখেছেন,'ঈশ্বরের চিন্তা শিশুসুলভ।'
যে শাস্ত্র মানুষকে শুধু বিশ্বাস করতে শেখায়, যুক্তির সত্যতা বর্জনীয় ,তারসঙ্গে বিজ্ঞানের বিরোধ চিরকালীন ।
হকিংকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, 'আপনি কি প্রমান করতে পারেন ঈশ্বর নেই?'
হকিং উত্তরে বলেছিলেন,'বিজ্ঞানে ঈশ্বর অপ্রয়োজনীয়,বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে ।'