Monday, September 7, 2015

"শেকরের সন্ধানে - আমরা বরাবরই অটুট থাকবো--- মাত্রা "০" হলেই কেবল নিরাকার হওয়া সম্ভব।

আস্তিক-নাস্তিক সবাই স্রষ্টাকে মানুষের মতো কিন্তু অতি পাওয়ারফুল কেউ বলে কল্পনা করি। এটা মানতে না পেরে অনেকেই স্রষ্টাকে অস্বিকার করে, নাস্তিক হয়। স্রষ্টা কি মানুষ বা বস্তুর মতো না হয়ে অন্যরকম কিছু হতে পারের না?
আমার মতে স্রষ্টা বা আল্লাহ হচ্ছেন স্বয়ং ০ মাত্রা। ১ মাত্রার “সময়” হচ্ছে স্রষ্টার চেতনা। ফলে সব কিছুই স্রষ্টার জানা থাকে। শক্তি/বিকিরণ হচ্ছে ২ মাত্রার। আর বস্তুর মাত্রা ৩। তাই প্রত্যেকটা অনু-পরমানুকে স্রষ্টার অনুমতি নিয়েই নরা-চরা করতে হয়।
মানুষের বিশেষত্য কি? মানুষের বিশেষত্য হল স্বাধীন মন! মানুষ নিয়ত বা ইচ্ছা করতে পারে। আর মানুষের কাছ থেকে তার নিয়তেরই হিসাব নেয়া হবে, কাজ বা সাফল্যের নয়।
ডাইমেনশন বা মাত্রা -এর প্রচলিত অর্থ "ডিরেকশন", যার ডাইমেনশন যতো বেশি তার বিস্তৃতি ততো বেশি। আমাদের পক্ষে চতুর্মাত্রিক কিছু কল্পনা করা খুব কঠিন নয়, আর চেষ্টা করলে আমদের ত্রিমাত্রিক জগতে চতুর্মাত্রিক কিছু বানানোও জেতে পারে। কিন্তু দ্বিমাত্রিক কিছু বানানো কি সম্ভব? আমরা কি আসলে কোন দ্বিমাত্রিক কিছু কল্পনা করতে পারি? কাগজের তলে আকা ছবি কি আসলে দ্বিমাত্রিক? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছি যে, "মাত্রা অর্থ ডিরেকশন বা বিস্তৃতি না হয়ে মাত্রা মানে হওয়া উচিৎ সীমানা। মাত্রা যতো বেশি, ততো বেশি সীমানা। আপনি ১টা ঘরে আছেন যার ২টি দেয়াল, এই ঘরের ভেতরে আরও কয়েকটি দেয়াল তুললে মনে হবে ঘর বড় হয়ে গেছে, যদিও বাস্তবে তা হয়নাই।
আমাদের মতে ডাইমেনশন মানে হচ্ছে সীমানা/প্রতিবন্ধকাত। যার ডাইমেনশন যতো বেশি, সে আসলে ততো সীমাবদ্ধ। ১ মাত্রার উপাদান ১টি মাত্র সীমানা, দৈর্ঘ্য, দ্বারা আবদ্ধ, যেমন সময়। ২ মাত্রার উপাদান দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ এই ২টি সীমানায় আবদ্ধ, যেমন শক্তি/বিকিরন। ৩ মাত্রার উপাদান দৈর্ঘ্য, প্রস্থ আর উচ্চতা এই ৩টি সীমানায় আবদ্ধ, যেমন বস্তু। অর্থাৎ মাত্রা যত বৃদ্ধি পায়, ততোই তার পরিমাপযোগ্য প্যারামিটার বাড়তে থাকে। আমরা ৪ মাত্রার বস্তুর প্রজেকশন করতে পারি, কিন্তু ১/২ মাত্রার কিছু কখনওই বানাতে পারি না। কারন ২ মাত্রার কিছু বানাতে হলে উচ্চতার সীমানা অতিক্রম করতে হবে। অপরদিকে ২ মাত্রার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের সাথে উচ্চতা যোগ করে ৩য় মাত্রায় পৌছান সম্ভব।
আমরা শক্তিকে ২ মাত্রার বলছি কারন অতি বিক্ষ্যাত ঝালর পরীক্ষায় দেখা যায় শক্তি বা আলো একই সাথে একাধিক ছিদ্র দিয়ে যেতে পারে। ত্রিমাত্রিক জগতে ঝালরের ছিদ্রগুলি আলাদা-আলাদা তলে অবস্থান করলেও দ্বিমাত্রিক জগতে ঝালরের ছিদ্রগুলি একই তলে অবস্থান করে, ফলে আলো একসাথে একাধিক ছিদ্র দিয়ে যেতে পারে।
সময়ের মাত্রা ১, দৈর্ঘ্য। সময় চলছে তো চলছেই। এর শুরু বা শেষ নেই, কারন শুরু বা শেষ করতে হলে আরেকটা ডাইমেনশন দরকার হবে। সময়ের দৈর্ঘের গায়ে প্রস্থ বসিয়ে তাতে শক্তি/বিকিরন আশ্রয় নেয়, আর বিকিরনের গায়ে উচ্চতা বসিয়ে বস্তু জন্ম লাভ করে।
বস্তু ভাঙ্গতে থাকলে শেষ প্রযন্ত কোয়ার্ক/ক্লার্ক পাওয়া যায়। কোয়ার্কের ভেতরে পাওয়া যায় তরঙ্গ। অর্থাৎ ২ মাত্রার শক্তি পুঞ্জীভূত হয়ে ৩ মাত্রার বস্তু গঠন করে। কিন্তু বস্তু পরস্পর যুক্ত হয়ে শক্তি গঠন করার কোন উদাহরণ পাওয়া যায় না।
বিজ্ঞানীরা অনেক বছর ধরে শক্তি/বিকিরনের প্রবাহের ১টি মাধ্যম খুঁজেছে। কিন্তু পায় নাই, ফলে সিদ্ধান্ত নিয়াছে যে বিকিরনের সঞ্চারনের জন্য মাধ্যম দরকার না। আসলে মাধ্যম দরকার হয়। সময় হচ্ছে সেই মাধ্যম। ১ মাত্রার সময় হচ্ছে সৃস্টি জগতের প্লাটফর্ম, সময়ের একক মাত্রার উপরে মহাবিশ্ব/স্পেস গড়ে উঠেছে। আমরা বলি স্পেস, আসলে স্পেস হলো সময়ের ১ মাত্রার উপর বস্তু ও শক্তির শয্যা। বস্তু যত গতি লাভ করতে থাকে ততো তা ৩য় মাত্রা থেকে মুক্ত হতে থাকে, এবং আলোর গতিতে বস্তু ৩য় মাত্রা থেকে পুরোপুরি মুক্তি লাভ করে ২য় মাত্রার শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তখন ১টি মজার ঘটনা ঘটে, সময় থেমে যায়। হ্যাঁ, শক্তির কোন বয়স থাকে না।
যেমন:- গ্যাভিট্রনের কথা ধরা যাক। যে গ্র্যাভিট্রন সুর্য ও পৃথিবির আকর্ষনের জন্য দ্বায়ী, আমাদের দৃষ্টিতে তার সুর্য থেকে পৃথিবিতে আসতে ৮ মিনিট, কিন্তু গ্র্যাভিট্রনের নিজের কাছে মনে হবে যে সে সুর্য ও পৃথিবিকে একই সাথে ধরে রেখেছে।
সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করলে আপনি ১ টা প্রশ্নে এসে আটকে যাবেন। প্রশ্নটা হচ্ছে, তার আগে কি? স্রস্টাকে কে সৃষ্টি করেছে?
এখন মাত্রা যদি ০ হয়? "০" ডাইমেনশন বিবেচনা করলে দেখবেন মাত্রা "০" বলে এর আগে বা পরে কিছু হতে পারে না। আবার এর কোন আকার থাকতে পারে না এটি নিরাকার। এবং এর কোন সীমানাও থকে না। অর্থাৎ এটা অসীম হয়ে যায়। ধর্মে সৃস্টিকর্তাকে নিরাকার বলা হয়েছে। কিন্তু মাত্রা "০" হলেই কেবল নিরাকার হওয়া সম্ভব।