আমি কতো গর্ব করে
বলি আমি মুসলমান! মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়েছে বলে সব সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করি মহান আল্লাহ তাআলার নিকট। আজ মনে প্রশ্ন কেন মুসলমান হয়ে মানুষ খুন
করার মতো জঘন্য পাপ কাজে লিপ্ত? কেন ধর্ষণের মতো জঘন্য চরিত্র মুসলমানের
থাকবে? আমি কোন মহাজ্ঞানী বা ধর্ম বিশেষজ্ঞ নই। তবে জেনে আসছি আমাদের
ইসলাম ধর্ম সকল ধর্মের সেরা , কারন একমাত্র ইসলামই পারে শান্তির পথ দেখাতে।
আজ কিছু বিকৃত ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠি মানবতার নিকৃষ্টতম ব্যবহারে সমগ্র ইসলামকেই প্রশ্নের সম্মুখীন করছে! ইসলামে খুন নেই, ইসলামে ধর্ষণ নেই, ইসলাম সমগ্র পাপাচার থেকে মুক্ত সর্বস্বীকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম। তবে কেন এতো অশান্তিজনক আচরণ। এরা মানুষ খুন করে কোন ইসলামের জন্ম দিতে চায়। আমাদের গুনাবলি দেখে অন্যান্য ধর্মের মানুষগুলো শ্রদ্ধায় সম্মান প্রদর্শন করবে, অথচ আজ মানুষ ইসলামের কথা শুনলেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়। টুপি পড়া সুন্নতি সাজে কাওকে দেখলেই মানুষের মনের ভিতর কি যেন খেলা করে, কিছু ভয় কিছু কৌতূহলী হয়ে এড়িয়ে যেতে চায়। ইসলামের লক্ষ্য তো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ভয়ে ভীতু করা নয় , ইসলামের লক্ষ্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ভয়ে ভীতু করা। আর সে পন্থা তো কাউকে কুপিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা নয়। ইসলাম যুদ্ধ করেছে কিন্তু সেটি তো ছিল টিকে থাকার জন্য, কাউকে মৃত্যু ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করানোর কোন ইতিহাস আছে বলে তো আমার জানা নেই।
কতো গর্ব আমাদের, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর মতো মহান সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত আমরা। তাঁর মহান জীবনাদর্শ অনুসরণ করে গঠন করবো জীবন। যা দেখে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা হবে মুগ্ধ আর বলবে সত্যিই ইসলাম ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, শান্তি ও সুশৃঙ্খল ধর্ম। ধর্মের নামে চলছে অধর্মের চর্চা। ইসলাম রক্ষার নামে জন্মদিচ্ছে ইসলামের প্রতি ঘৃণা, আতঙ্ক!
মানবতার বিরুদ্ধে কাজ কোন ধর্মের হতে পারে না, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে তো প্রশ্নই ওঠে না। ইসলাম মানবতা রক্ষা করে দেখায় আলোর পথ, সেজন্যই পৃথিবীতে ইসলামের স্থান সবার উপরে। যারা আল্লাহ তাআলার ভয় মনে নিয়ে নামাজ পড়ে তাঁদের মন পরিস্কার হয়, যারা পবিত্র কোরআন শরিফকে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ মনে করে তাঁদের মনে কোন প্রতিহিংসা থাকতে পারে না।
এখনকার সমাজে রাজনৈতিক মাঠে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ধর্ম, অন্যান্য ধর্মের সংখ্যালঘুদের প্রতি দেখানো হচ্ছে নিষ্ঠুরতা। ধর্মের আড়ালে করে যাচ্ছে ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ। করছে খুন, জনো-মনে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক ভয়, দেখাচ্ছে প্রতিহিংসা! দিন দিন কোথায় যাচ্ছে আমাদের মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা! ভাবতেও অবাক হই, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের সংবাদ শুনে!
মসজিদের ইমাম কর্তৃক মাদক ব্যবসা! বোমা মেরে শত শত মানুষের প্রাণ নেয়া, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা, দেশের সম্পদ নষ্ট করা, দেশের স্বাধীনতার প্রতি বৈরী আচরণ, মানবতার নিকৃষ্টতম ব্যবহারে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে মুসলমানদের!
বর্তমান বিভিন্ন অপকর্মে আমি শুধু সরকারের উপর দায়ভার দিয়ে দায়মুক্ত হতে রাজি নই। সামাজিক অবক্ষয়ের দায়ভার সরকারের কাঁধে এককভাবে চাপানোর মাঝে কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। আমাদের ঘুনেধরা সমাজকেও নিতে হবে এই সামাজিক অবক্ষয়ের দায়ভার। আমাদের সামাজিক সচেতনতার অভাবকে খাটো করে কেন দেখবো? অপরাধীরা আমাদের দেশে থেকেই অপরাধ করছে। আমরা কে কখণ সমাজের বা নিজ মহল্লার অন্যান্য লোকদের খবর রেখেছি?
,
বর্তমানে আমরা এমন যুগে এসে পৌছেছি যে যুগে মহল্লায় তো দূরের কথা নিজের পাশের পরিবারটির খবরও রাখার মতো মানসিকতা দেখাই না। আমাদের সবার ভিতর নিজেকে বড় করে প্রমাণ করার প্রবণতাই বেশি লক্ষণীয়। মানুষ যদিও আমরা সমাজবদ্ধজীব বলেই জানি, কিন্তু সমাজের কোন খবর রাখতে রাজি না, যতক্ষণ না সমাজের কোন ঘটে যাওয়া অপরাধ কানে আসে। আমাদের প্রতিবাদ শুধু কাগজে আর মঞ্চে সীমাবদ্ধ না রেখে, সমাজের মানুষকে সচেতন হয়ে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর উৎসাহ বাড়ানোর কাজেও এগিয়ে আসতে হবে। সম্মেলিত সততার প্রতিবাদের কাছে অপরাধীর ভীতু মনের শক্তি বেশি নয়। জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে সমাজে একে অপরের সহযোগীতার মানসিকতা দেখাতে হবে। আর বাদবাকি আইনের কঠোরতম ব্যবহারেই সম্ভব সমাজকে সুন্দর সুস্থ রাখা। আমাদের বাঙালিদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছে।
(আমার লেখা সম্পূর্ণই মনগড়া মন্তব্য, কাউকে বিভ্রান্ত করা আমার লক্ষ্য নয়,)
আজ কিছু বিকৃত ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠি মানবতার নিকৃষ্টতম ব্যবহারে সমগ্র ইসলামকেই প্রশ্নের সম্মুখীন করছে! ইসলামে খুন নেই, ইসলামে ধর্ষণ নেই, ইসলাম সমগ্র পাপাচার থেকে মুক্ত সর্বস্বীকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম। তবে কেন এতো অশান্তিজনক আচরণ। এরা মানুষ খুন করে কোন ইসলামের জন্ম দিতে চায়। আমাদের গুনাবলি দেখে অন্যান্য ধর্মের মানুষগুলো শ্রদ্ধায় সম্মান প্রদর্শন করবে, অথচ আজ মানুষ ইসলামের কথা শুনলেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়। টুপি পড়া সুন্নতি সাজে কাওকে দেখলেই মানুষের মনের ভিতর কি যেন খেলা করে, কিছু ভয় কিছু কৌতূহলী হয়ে এড়িয়ে যেতে চায়। ইসলামের লক্ষ্য তো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ভয়ে ভীতু করা নয় , ইসলামের লক্ষ্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ভয়ে ভীতু করা। আর সে পন্থা তো কাউকে কুপিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা নয়। ইসলাম যুদ্ধ করেছে কিন্তু সেটি তো ছিল টিকে থাকার জন্য, কাউকে মৃত্যু ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করানোর কোন ইতিহাস আছে বলে তো আমার জানা নেই।
কতো গর্ব আমাদের, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর মতো মহান সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মত আমরা। তাঁর মহান জীবনাদর্শ অনুসরণ করে গঠন করবো জীবন। যা দেখে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা হবে মুগ্ধ আর বলবে সত্যিই ইসলাম ধর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম, শান্তি ও সুশৃঙ্খল ধর্ম। ধর্মের নামে চলছে অধর্মের চর্চা। ইসলাম রক্ষার নামে জন্মদিচ্ছে ইসলামের প্রতি ঘৃণা, আতঙ্ক!
মানবতার বিরুদ্ধে কাজ কোন ধর্মের হতে পারে না, বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে তো প্রশ্নই ওঠে না। ইসলাম মানবতা রক্ষা করে দেখায় আলোর পথ, সেজন্যই পৃথিবীতে ইসলামের স্থান সবার উপরে। যারা আল্লাহ তাআলার ভয় মনে নিয়ে নামাজ পড়ে তাঁদের মন পরিস্কার হয়, যারা পবিত্র কোরআন শরিফকে সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ মনে করে তাঁদের মনে কোন প্রতিহিংসা থাকতে পারে না।
এখনকার সমাজে রাজনৈতিক মাঠে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ধর্ম, অন্যান্য ধর্মের সংখ্যালঘুদের প্রতি দেখানো হচ্ছে নিষ্ঠুরতা। ধর্মের আড়ালে করে যাচ্ছে ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ। করছে খুন, জনো-মনে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক ভয়, দেখাচ্ছে প্রতিহিংসা! দিন দিন কোথায় যাচ্ছে আমাদের মুসলিম সমাজ ব্যবস্থা! ভাবতেও অবাক হই, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের সংবাদ শুনে!
মসজিদের ইমাম কর্তৃক মাদক ব্যবসা! বোমা মেরে শত শত মানুষের প্রাণ নেয়া, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা, দেশের সম্পদ নষ্ট করা, দেশের স্বাধীনতার প্রতি বৈরী আচরণ, মানবতার নিকৃষ্টতম ব্যবহারে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে মুসলমানদের!
বর্তমান বিভিন্ন অপকর্মে আমি শুধু সরকারের উপর দায়ভার দিয়ে দায়মুক্ত হতে রাজি নই। সামাজিক অবক্ষয়ের দায়ভার সরকারের কাঁধে এককভাবে চাপানোর মাঝে কোন যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। আমাদের ঘুনেধরা সমাজকেও নিতে হবে এই সামাজিক অবক্ষয়ের দায়ভার। আমাদের সামাজিক সচেতনতার অভাবকে খাটো করে কেন দেখবো? অপরাধীরা আমাদের দেশে থেকেই অপরাধ করছে। আমরা কে কখণ সমাজের বা নিজ মহল্লার অন্যান্য লোকদের খবর রেখেছি?
,
বর্তমানে আমরা এমন যুগে এসে পৌছেছি যে যুগে মহল্লায় তো দূরের কথা নিজের পাশের পরিবারটির খবরও রাখার মতো মানসিকতা দেখাই না। আমাদের সবার ভিতর নিজেকে বড় করে প্রমাণ করার প্রবণতাই বেশি লক্ষণীয়। মানুষ যদিও আমরা সমাজবদ্ধজীব বলেই জানি, কিন্তু সমাজের কোন খবর রাখতে রাজি না, যতক্ষণ না সমাজের কোন ঘটে যাওয়া অপরাধ কানে আসে। আমাদের প্রতিবাদ শুধু কাগজে আর মঞ্চে সীমাবদ্ধ না রেখে, সমাজের মানুষকে সচেতন হয়ে অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর উৎসাহ বাড়ানোর কাজেও এগিয়ে আসতে হবে। সম্মেলিত সততার প্রতিবাদের কাছে অপরাধীর ভীতু মনের শক্তি বেশি নয়। জাতিগত ভেদাভেদ ভুলে সমাজে একে অপরের সহযোগীতার মানসিকতা দেখাতে হবে। আর বাদবাকি আইনের কঠোরতম ব্যবহারেই সম্ভব সমাজকে সুন্দর সুস্থ রাখা। আমাদের বাঙালিদের মনোবল দুর্বল হয়ে পড়েছে।
(আমার লেখা সম্পূর্ণই মনগড়া মন্তব্য, কাউকে বিভ্রান্ত করা আমার লক্ষ্য নয়,)