Wednesday, September 9, 2015

ক'ফোঁটা চোখের জল ফেলেছো যে..

(মাসে দুটো করে লিখব বলে দু'মাস কেটে গেল। মে মাসের এক তারিখে লিখব বলে হয়ে গেল ছাব্বিশ। কবিগুরুর জন্মদিন পেরিয়ে হাতে রইল পেনসিল। তবু, বেটার লেট দ্যান নেভার..)
পয়লা মে সকালে দুরুদুরু বুকে ফোন করেছিলাম তাঁকে।
-আপনার জন্মদিনের প্রণাম নেবেন। কেমন আছেন?
-কেমন আছেন মানে? এতো বাজে বকো না তোমরা...
-না না মানে, (আমি খাবি খাই)...আপনি ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
একেবারে গ্রিটিংস কার্ডের লাইন তুলে দিই ইমপ্রেস করবার জন্য।
-উফফ...ভাল থাকব কেমন করে। সকাল থেকে কম ফোন আসছে, মাথা খারাপ হয়ে গেল.. আর কী বলার আছে তাড়াতাড়ি বলো।
-না মানে, ওই আর কী জন্মদিনে...
-ছাড়ছি।
জন্মদিনের এমন অপূর্ব মিষ্টি কথোপকথন জীবনে এই প্রথম!
ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া যাক।
বেঙ্গালুরুর কল্যাণনগরের এই বাড়িটা খুঁজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হল। গোল-গোল ঘুরছি, কিছুতেই পৌঁছতে পারছি না। তিন বার বেল বাজানোর পর ফোন করলাম-
-কী ব্যাপার বলো তো? দশটায় আসার কথা, দশটা কুড়ি বাজে...
-আমি তো আপনার বাড়ির কলিং বেল টিপছি।
-এত বাজে কথা বলো না... আমি বাড়িতে বসে আছি, আওয়াজ শুনতে পাব না?
কেমন সন্দেহ হল।
-আপনার বাড়ির রং কী গোলাপি? নাম অমুক নিকেতন?
-কী উল্টোপাল্টা বলো! রাস্তাঘাট চেনো না ব্যাঙ্গালোরে চলে এসেছো ইন্টারভিউ নিতে? আর দশ মিনিটের মধ্যে না এসে পৌঁছলে আমি ইন্টারভিউ দেব না।
কাঁদো কাঁদো গলায় বলি,
-আপনি প্লিজ রেগে যাবেন না। আসলে এতগুলো লেন... গুলিয়ে ফেলছি। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব..
-সঙ্গে কেউ আছে না একলা? ঠিকানাটা আমি আবার বললেও তো চিনে উঠতে পারবে না।
-না, না, আমি ড্রাইভারকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
-তুমি নিজেই কিছু বোঝো না, লোককে বোঝাবে কী করে? দাও ফোনটা ড্রাইভারকে, সে কী লোক্যাল?
-না না এখানকার...
-বুঝেছি বুঝেছি, দাও ফোনটা। আমি আর বসতে পারছি না।
বড় একা লাগে এই আঁধারে... আমি যামিনী, তুমি শশী হে.. হয়ত তোমারই জন্য... অ্যায় মেরি জোহরা জোবিন। কানে ইয়ারফোন আর গাড়ির কাঁচে চলতে থাকা বেঙ্গালুরু শহর। যতই শুনছি গান, সুরের সঙ্গে প্রশ্নের বন্যাও বয়ে যাচ্ছে মনে মনে। একগুচ্ছ সাদা পাতায় খুটখুট করে লিখছি।
ক্যামেরাম্যান চাঁদু আর আমি এসে পৌঁছলাম। সুদৃশ্য উঠোন পেরিয়ে বড়সড় বসার ঘর। প্রতিটি কোণে-কোণে ঠাসা নানা জিনিসে। সামনের টি-টেবিলও ভরে আছে শোপিস আর উপহার সামগ্রীতে। টিভির ওপরে হরেক ফুলদানি। বাঁদিকের দেওয়ালে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ভর্তি নানা অ্যাওয়ার্ডে। একটি সোফায় চুপ করে বসে আছেন। জীবন্ত কিংবদন্তি। মাথায় সেই টুপি। চশমার কাঁচের আড়ালে প্রায় বুজে যাওয়া চোখ। পা ছুঁয়ে প্রণাম করে কাঁপা-কাঁপা হাতে ফুলের বুকেটা বাড়িয়ে দিই।
-উঃ, আর বসতে পারছি না... থাক থাক, হয়েছে। যা যা জিজ্ঞেস করার তাড়াতাড়ি বল।
সবই তো জানা কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শীতের অনুভূতিতে হাঁটু দুটো ঠকঠক করছে। এমন বিজনে এত অসুস্থ এক ভুবনজয়ী কণ্ঠ... মেনে নিতে পারছিলাম না। কেমন যেন ধাঁধা লেগে গিয়েছিল। দেখছিলাম পাঞ্জাবির আড়ালের পিঞ্জরে অবসন্ন হৃদয়। ঈষত্‍ কম্পমান পা দুখানি যেন অবহেলায় এলিয়ে আছে। জীবনে কী পাব না, ভুলেছি সে ভাবনা। গানটা কি এই মুহূর্তে উনি গেয়ে উঠবেন... একেবারে অন্যরকম সুরে?
প্রায় শয্যাশায়ী এই সঙ্গীত মহীরুহের বাড়ির দরজা তখন বহুদিনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সাংবাদিকদের জন্য। অত্যুত্সাহী কেউ এলে দরজার বাইরে থেকেই পত্রপাঠ বিদেয় করেন। আমার এক সিনিয়র দাদাপ্রতিম সাংবাদিক বলেছিলেন যে, 'না' শোনার জন্য তৈরি থেকো। ব্যাঙ্গালোরে গিয়েও। তাও সাহসে ভর করে কলকাতা থেকেই ফোন করেছিলাম-
আমি আপনার অন্ধ ভক্ত। চ্যানেলে কাজ করি। ইন্টারভিউ নিতে যাব।
কথাকটি বলবার সময়ে নার্ভাস হয়ে ভুলে যেতে পারি বলে কাগজে লিখে নিয়েছিলাম। বহুদিন আগে এক জলসায় অল্প কিছুক্ষণের আলাপ। সেই আলাপই সম্বল করে এক পা এগিয়ে ফোনটা করেছিলাম।
-আমি আপনার অন্ধ ভক্ত। চ্যানেলে কাজ করি। ইন্টারভিউ নিতে যাব।
-কে বলছেন আপনি?
-আমি ফুলকলি। আমি আপনার অন্ধ ভক্ত। চ্যানেলে কাজ করি। ইন্টারভিউ নিতে যাব। (আবার কেঁচে গন্ডুষ)
-কী বিপদ। এখানে এসে তুমি থাকবে কোথায়? অত দূর থেকে আসবে যে..
বুকে বল পেলাম। তাহলে একেবারে 'না' নয়! অল্প আশার আলো দেখেই নাছোড়বান্দা হয়ে গেলাম।
-ও নিয়ে আপনি একেবারে ভাববেন না। আমি ব্যবস্থা করে নেব।
-না না, অতদূর থেকে এসে তুমি একলা মেয়ে থাকবে কোথায়? আর আমার ইন্টারভিউ নিয়ে তুমি আর কী নতুন পাবে। সারা জীবনে অনেক বলেছি, সেগুলো জোগাড় করে নাও।
এইরে গেছি!
-আপনি যা বলবেন তা-ই আমাদের কাছে নতুন। পুরনোগুলো নিশ্চয়ই আমি দেখে যাব, কিন্তু সেগুলো রেফারেন্স।
-ভেবে দেখি। কাল ফোন করো।...
-হ্যালো, ফুলকলি বলছি!
-তুমি আবার! কী হল কাল তো বলে দিলাম ইন্টারভিউ দেব না।
-না না, আপনি বলেছিলেন ভেবে দেখবেন।
-ভেবে দেখলাম ইন্টারভিউ দেব না। কঠিন গলা ভেসে আসে ওপার থেকে।
-দেবেন না! গলাটা যতটা সম্ভব মিঠেল হতাশায় ভরে দিই। আপনি আমায় ভরসা দিলেন বলে আমি ব্যাঙ্গালুরুর টিকিটও কাটতে বলে দিলাম অফিসে।
-ভরসা আমি কাকে দেব বলত? বাথরুমে পড়ে গেছি, কপাল ফুলে আলু হয়ে গিয়েছে...
-অ্যাঁ!
-আমার নিজেরই কোনও ভরসা নেই। কী করে তোমাকে ভরসা দিই। ডাক্তার এসে আমাকে একেবারে বেডরেস্টে থাকতে বলে গিয়েছে।
-না না আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আমার যেতে আরও তিনচার দিন বাকি। তার মধ্যে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। তাড়াতাড়ি বলে উঠি।
-ভগবান জানেন। শুতে পারছি না, বসতে পারছি না। আমার কী কষ্ট তা তো কেউ বোঝে না। ইন্টারভিউ, ইন্টারভিউ! তোমাদের আমার উপর দয়া হয় না?
আমি বেশ ঘাবড়ে গেলাম। বুঝলাম আজ কিছু হবে না... কফি হাউসের আড্ডাটা আর আগের মতো নেই!
-হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমি বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারি না। যা নেওয়ার নিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাও।
ধমক খেয়ে টনক নড়ে।
-না না, ক্যামেরাটা সেট করেই..
-ওফ, তোমাদের আবার ক্যামেরা। আমি একটুও পছন্দ করি না। আচ্ছা, আমাকে এভাবে দেখানোটা কি ঠিক? একটা মানুষ এত অসুস্থ, তোমার দয়া হচ্ছে না..
কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। যা যা রেফারেন্স পড়ে এসেছিলাম, সব ভুলতে শুরু করি।
-তাড়াতাড়ি করো। তোমার প্রশ্ন লিখে এনেছ? কোথায় দেখি?
-আছে... তবে আমি তো..মানে আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই.. মানে, প্রশ্ন কিছু কিছু আছে, তবে আপনার সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমেই অনেক কথা উঠে আসবে..
-তুমি আবার কথা বলবে কী? এইটুকু মেয়ে.. ঠিক করে পড়াশুনো করেছ? আমার গানগুলো সব শুনেছ? আমার সম্পর্কে ভাল করে পড়াশুনো করেছো? সেই তো একই প্রশ্ন করবে... সব বলা হয়ে গিয়েছে আমার। এবার আমাকে তোমরা রেহাই দাও।
-এই যে... কয়েকটা কাগজ বাড়িয়ে দিই। প্রশ্ন লেখা।
-এতগুলো প্রশ্ন করবে? না না আমি এতক্ষণ বসে থাকতে পারব না। আমি কী সাংঘাতিক অসুস্থ বুঝতে পারছ না?
বোধহয় ইন্টারভিউটা আর হল না! আমি প্রায় কেঁদে ফেলি মনে মনে। মুখে বলি,
-আপনার পক্ষে যতটা সময় দিতে পারা সম্ভব, ততটাই দিন। তাতেই হবে। আমি জোর করব না।
একটু নরম হলেন।
-বসো, প্রথম প্রশ্নটা কি?
আমি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পিটুসি দিই। প্রথম প্রশ্নটা করি।
-এটা কি তোমার প্রথম প্রশ্ন হল? এটা তো অনেক পরে আসবে...
টের পেলাম আমার জিভ জড়াচ্ছে। শাড়ি পরে সেজেগুজেও প্রচুর ঘেমে যাচ্ছি।
-যাকগে যাকগে, যা খুশি করো... এই এদেরকে একটু ঠান্ডা জুস দিয়ে যাও। জুসটা খেয়ে নাও তারপর ইন্টারভিউ নেবে। ওফ, আর বসে থাকতে পারছি না।
পরিচারিকা দু গ্লাস আমের জুস এনে দেয়।
কয়েক চুমক খাওয়ার পরে বিষম কাশতে শুরু করি। উনিও বেদম কাশতে শুরু করলেন। নাঃ, জুসে কিছু মেশানো ছিল না। রান্নাঘর থেকে লঙ্কাফোড়নের দুঃসহ বাস..
-আরে, কিছু পুড়ে যাচ্ছে...এ্যাই বাসন্তী, কী বসিয়েছ গ্যাসে?
চেঁচিয়ে বলি,
-দিদি, রান্নাঘরের দরজাটা একটু বন্ধ করে দিন।
- রান্নাঘরে দরজাই নেই, বন্ধ করবে কী? পর্দাটা টেনে দাও আর জানালা খুলে দাও। ওফ আর পারছি না, একে শরীরে ব্যথা, তার ওপর কাশি! উফ, তোমার জুস খাওয়া শেষ হল? (উনি এবার ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলেন)
-ফুলকলি আমার বাড়িতে এসেছে আমার জন্মদিনে, ও যদি আমায় কিছু কিছু জিজ্ঞেস করে, আমি উত্তর দিতে চেষ্টা করব।
হাসব না কাঁদব ভেবে পাই না‌! আজ অবধি কারওর ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে এত বেকায়দায় পড়িনি। পনের মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারলাম না ওঁকে। কোমরের যন্ত্রণায় সোফাতেই কাত হয়ে পড়লেন। বড় বেদনা। প্রয়াত স্ত্রীর কথা বলতে বলতে দুচোখ বেয়ে জলের ধারা নামছে। ফোরলেগড ওয়াকারটা কোনওমতে ধরে বললেন, ক্যামেরাটা বন্ধ কর এবার। তোমরা এসো।
হোটেলে ফিরে ক্যাসেট চালিয়ে বুঝলাম, আমার বাজারটা ঠিকঠাক হয়নি। আরও কিছু ফুটেজ চাই। বাড়ির ভেতরের, ওর জিনিসপত্রের। পারলে আরও দুয়েকটা কিন্তু ওঁকে তো এখন ডিসটার্ব করা ঠিক হবে না। হোটেলে লাঞ্চ সেরে আবার চলে গেলাম ওঁর বাড়ি। যেভাবেই হোক জোগাড় করতে হবে। গেটের কাছেই পেলাম বাসন্তীকে।
-এই যে দিদি, আমরা একটু বাড়ির ভেতরের ছবি তুলব, কাউকে ডিসটার্ব করব না।
-না, না, উনি শুনলে আমাকে তাড়িয়ে দেবেন। আপনাদের ঢুকতে দিতে পারব না।
গেটটা বন্ধ করতে যান উনি। আমি ঠেলে ধরে বলি,
-শুনুন দিদি, আমরা কলকাতা থেকে এসেছি। আপনি একটু হেল্প না করলে হবে না। ওঁকে একটু বুঝিয়ে বলুন।
একটু ভেবে বাসন্তী বলে।
-উনি ঘুমোচ্ছেন এখন। আপনারা ছবি তুলে নিন। একটুও আওয়াজ করবেন না কিন্তু!
ভেতরে ঢুকি। ঘরের আনাচকানাচের ছবি। সারি সারি পুরস্কার। দাদাসাহেব ফালকে, ফিল্মফেয়ার, জাতীয় পুরস্কার, দেশ বিদেশের সম্মান...মনে হল যেন এক সাফল্যের সৌধে দাঁড়িয়ে আছি। ভেতরের ঘরে ঝোলানো তাঁর আলখাল্লা। জহরকোট। ছুঁলেই যেন রিনরিন করে শুরু হবে কোনও গান। পুছো না ক্যায়সে ম্যায় রৈন বিতায়ি... নাকি, কতটা চোখের জল ফেলেছো যে আমায় ভালবাসবে।
স্কেলচেঞ্জিং হারমোনিয়ামের ওপরে রাখা রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপি। আঁকাবাঁকা হাতের লেখায় কারেকশন। তাঁর গলায় অত বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যায়নি এতদিন। এখন তিনি ডুবে রয়েছেন রবীন্দ্রসঙ্গীতে...
পাশের ঘর থেকে হঠাত্‍ খুটখুট আওয়াজ। বাসন্তী ঘরে ঢুকে বলে। -উনি উঠে পড়েছেন। আপনারা দরজা দিয়ে পালান। বাইরে দাঁড়ান। আমি বললে বেল বাজাবেন। ঘুম থেকে উঠলে ওঁর মনমেজাজ ভাল থাকে সাধারণত। উনি কথা বলবেন।
তাই করি। ক্যামেরা গুটিয়ে সুড়ুত্‍ করে পালাই।
কী জানি কী কারণে। উনি আমাদের প্রতি সদয় হলেন...
বাসন্তী জানালা দিয়ে ইশারায় বলল, আপনারা আসুন। উনি কথা বলবেন।
ফোরলেগড ওয়াকারে অত্যন্ত ধীরপায়ে বসার ঘরে এলেন তিনি। বহু কষ্টে সোফায় বসলেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ইশারায় না বললেন। পরিচিত টুপিটা পরে নিলেন মাথায়।
-কী যে করো না তোমরা! এত সময় দেওয়া সম্ভব এই শরীরে?
অনেক নরম এখন। আমি সাহস করে হেসে বলি,
-আসলে কয়েকটা প্রশ্ন বাকি থেকে গেল...
ঠান্ডা মাথায় কাজ সেরে নিলাম এবার। ক্যামেরা গুটিয়ে নিচ্ছি। উনি বললেন।
-তোমার সঙ্গে কত খারাপ ব্যবহার করে ফেললাম। শরীরটা এত খারাপ..
- আপনি ভাল মানুষ বলেই তা সত্ত্বেও এতখানি সময় দিলেন!
বিদায়ের আগে সেই মুহূর্তটি এল। চলে আসার আগে একদমক মেঘলা বাতাস। কোনও সাংবাদিকই এমনভাবে দেখতে পাবে না হয়ত। শুনতে পাবে না এমন এক বিষণ্ণ সন্ধ্যায়, এমনই এক ক্লান্ত কণ্ঠ...
-বেশিদিন বেঁচে থাকাটা একটা কার্স, ফুলকলি। এত কিছু চোখে দেখে যেতে হয়...ভেতরটা পাথর হয়ে গিয়েছে। আর বাঁচতে চাই না। শান্তিতে মরতে চাই। আমি সত্যিই দিন গুনছি...
আঁখিজলে ধরে রাখো... দেখনি কি পাথরেও ফোটে ফুল!
"ফুলকলি"...!