Monday, September 7, 2015

যে ছাত্রটি মেসে থাকেনি, সে কখনো জানবে না সুখ আর দুঃখটি কি অদ্ভুত ভাবে যমজ বোনের মতো থাকে! ছাত্রাবাসের জীবনটা আনন্দ বেদনার এক বিস্ময়কর কেমেস্ট্রি---

যেদিন বুয়া আসে না সেদিন সব ছেলেরা দুনিয়ার টেনশনে পড়ে যায়; যার একমাত্র সমাধান ডিম!
ডিম নাথাকলে মেস জীবনটায় ক্যাওড়া লেগে যেতো!
,
মেসের সবাই মাসের শুরুর দিকে স্রমাট হুমায়ুন হয়ে ওঠে, পকেটে টাকা থাকলে হাব ভাবই পাল্টে যায়। রাস্তার পাশের টঙ দোকানে চা আর দামী ব্র্যান্ডের সিগারেটের আসর জমে। সে আসর সন্ধ্যে থেকে রাত একটা দুইটা পর্যন্ত হতে পারে। মাসের শেষের দিকে শুরু হয় টানাটানি! সিগারেটের ব্র্যান্ডে আসে পরিবর্তন। মামাদের দোকানে বাকীর হিসাব বেড়ে চলে!
,
প্রতিটি মেসেই অন্তত একজন পাওয়া যাবে যে মিলের টাকা বাঁচানোর জন্য দিনের পর দিন বাড়ীতে থাকে। মাসের প্রথম দিকে এসে রুম
ভাড়া, বুয়া বিল, পত্রিকা বিল দিয়ে আবার উধাও! এই মানুষটার সাথে অন্যদের আন্তরিকতা সখ্যতা হয়ে ওঠেনা কখনো!
,
কয়েক জনকে দেখেছি যারা দুই সপ্তাহে একদিন ময়লা হওয়া কাপড় জার্নি ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে মা-বোনদের হাতে ছেড়ে দেয়। ধোয়া কাপড়
নিয়ে আবার মেসে ফিরে!
,
মেসের কেউ তাঁর গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেলে নতুন নতুন কাপড়ের অভাব থাকেনা। যে কারও কাপড় পড়ে বান্ধবীর সাথে দেখা করতে
যাওয়াটি ডাল-ভাত।
,
পড়াশুনা যতো হয়, তারচে' বেশি হয় কার্ড খেলা। মাঝে মাঝে পাশের মেসের ছাত্রদের সাথে ক্রিকেট, ফুটবল!
,
সবাই মিলে একসাথে খেতে বসলে সেইই রকমের গল্প জমে। হাঁসতে হাঁসতে ডেকচি ভর্তি পাতলা ঝোল শেষ হয়ে যায়!
,
টুকটাক ঝামেলা যে হয়না তা নয়। তবে সব কিছুর পরও, মেস জীবন হলো সুন্দর এক অভিজ্ঞতার নাম!