Friday, September 4, 2015

জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা স্বীকার

তুমি যা চিন্তা কর, কল্পনা কর ও ভাব তা-ই সত্য নয়। চিন্তায় বাস্তবতার প্রতিফলন এবং চূড়ান্ত বিশ্লেষণে কর্মের মাধ্যমে তা যাচাই_ইহাই সত্যের মানদন্ড।
সত্য অবশ্যই যৌক্তিক। যা যৌক্তিক তাই সত্য নহে। যৌক্তিক এবং সংবেদন-প্রত্যক্ষণ-অন্তর্দর্শন-অভিজ্ঞতায় প্রাপ্ত বিষয়ই সত্য।
আর, তাই হাতের কাছের বিষয় গুলোকেই আপনি সত্য বলে জানেন। শূন্য ও অসীম কত দূরে তা আপনি জানেন না_এ দুটি বিষয়কে আপনি কখনও পরমভাবে অভিজ্ঞতায় আনতে পারেন না। অথচ এ দুটি বিষয়কে আপনি সত্য বলে জানেন।

আপনার অবস্থান শূন্য ও অসীমের মাঝে। আপনার অবস্থান প্রান্তিকতায় নয়। আর তাই আপনি বাস্তব। বাস্তব হয়ে অবাস্তবকে জানতে চাচ্ছেন? তা কি করে সম্ভব?
বাস্তবতা ও অবাস্তবতার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। দৈশিক-কালিক ভিন্ন ভিন্ন মাত্রাই বাস্তবতা ও অবাস্তবতার নির্নায়ক। সত্তার চরম স্থৈতিকতায়ই অবাস্তব। আবার সত্তার গতিশীলতায়ই বাস্তব।
দৈশিক-কালিক ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় স্থিতি ও গতিই বাস্তবতা ও অবাস্ততার নির্ধারক।
মানুষ স্থিতি নয়, গতির অংশ। আর এই গতিই গতিকে পরিমাপ করতে চায়। আর তাই মানুষ যে সত্য জানে তা আপেক্ষিক _চরম বা পরম নয়।
স্থিতিতেই পরম সত্যের অবস্থান। গতির পক্ষে কখনও স্থিতিকে জানা সম্ভব নয়। _ ইহাই অজ্ঞেয়বাদীতা। অজ্ঞেয়বাদীতা মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে।