তাদের বিয়ে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনা বিয়েতে তার মত
আছে কি না, ছেলে পছন্দ কি না। কেউ যদি মুখ ফুটে বলেও ফেলে তাহলে তাকে বলা
হয় "বেহায়া"। মেয়েদের আবার পছন্দ অপছন্দ কি? সে নিজের ভালমন্দের কি বোঝে?
আমরা বাবা-মা কি সন্তানের খারাপ চাই? ইত্যাদি অযৌক্তিক দায়সারা জবাব দিয়ে
পার পেতে চান তারা।
অথচ ছেলেদের কখনোই বিয়ে হয় না---
কারণ তারা নিজেরাই বিয়ে করে। কোনো মেয়ে যদি কোনো ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাহলে সবাই ধরে নেয় মেয়েটা চরম "বেহায়া"। অথচ আমরা জানি, এক মহিলা সাহাবী নিজেই রাসুল সাঃ এর সামনে গিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এই বিষয়ের উপর "বুখারী শরীফে" একটি অধ্যায়ও রয়েছে।
বিয়েতে মেয়ের মত না নেয়ায় কত হাজার সংসারে- অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে তা চারদিকে একটু চোখ বুলালেই দেখতে পাবেন আপনি। এমনকি হতে পারে আপনার নিজেরই পরিবার, প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও এমন রয়েছে।
বাবারা নিজেদের স্ট্যাটাসের দিকে তাকিয়ে মেয়েদের পছন্দকে বলি দেন। আর মায়েরা মেয়ের দুঃখ বুঝেও স্বামীর ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। তাদেরও মত নেয়ার দরকার হয় না কারণ তারাও মেয়ে।
এখনো এমন হয় যে বাসর রাতেই দুজনের প্রথম সরাসরি দেখা বা কথা হয়। প্রথম রাতেই অনেক পুরুষ হামলে পড়েন সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মেয়ের উপর। কেউ কাউকে না চিনল, না জানল। এভাবে বছরের পর বছর দুটি শরীর হাজারো বার মিশে একাকার হয় কিন্তু মন থাকে যোজন যোজন দূরে। কেউ কাউকে জানার সুযোগ পায় না। বছর বছর ঘরের বালিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
মেয়েটি তার শরীরের শক্তি শেষ করে তেলাপিয়া মাছের মত মাথাটা দিনদিন মোটা আর শরীরটা চিকন হতে থাকে।
মেয়েটি জানেনা ভালবাসা কি জিনিস। তার স্বামী তাকে ভালবাসে কি না। অথবা সেও তার স্বামীকে ভালবাসে কি না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় মেয়ের চেয়ে স্বামী পাঁচ, দশ, পনের এমন কি বিশ পচিশ বছরের বিপত্মীক বা সপত্নীক ব্যাটাও থাকে। পার্বতীর স্বামীর মত। তার পক্ষে কেউ নেই। না বাবা, না ভাই না বন্ধু।
সবাই ভাবে তার আবার ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছা কি? স্বামীর সেবা করবে, সোজা স্বর্গে যাবে। তা যেতেও পারে। কিন্তু এই অসম সম্পর্কের কর্তা পুরুষ যে জুলুম করার কারণে নরকে যাবেন তা কি ভেবে দেখেছেন?
মুখের উপর কাঁদা ছোড়ার অভ্যাসের কারণে অনেকেই আমাকে নারীবাদী বলে গালি দেন। আসলে এতে আমি মোটেও কষ্ট পাই না। আরে ভাই! ধর্মের দোহাই দেন কেন? ধর্মে নারীদের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা কি একবার পড়ে দেখেছেন? মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া যাবে না। হাদীস খুলে দেখুন। মেয়ে জন্ম হলেই মন খারাপ হয় না? অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন মেয়েদের লালন পালন করলে জান্নাতে যাওয়ার সহজ সুযোগ রয়েছে। কারণ নারীবাদী আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজেই। রাসুল সাঃ ও প্রচণ্ড রকমের নারীবাদি ছিলেন। অথচ আমরা ইসলামের শিক্ষাকে বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত ব্যবহার করছি।
ইসলামই নারীদেরকে সবচেয়ে সম্মানিত স্থানে দাঁড় করিয়েছে যা ইসলামের উৎস, ইতিহাস দেখলে বুঝা যায়। অথচ বর্তমানে ইসলামপন্থীরা সে অবস্থান থেকে সরে এসে নিজেদের মনগড়া শরীয়ত তৈরি করে নারীদের উপর জুলুম নির্যাতনের যে পরাকাষ্ঠা চাপিয়ে দিয়েছে তাতে ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলো তাদের সমালোচনা করার এই সুযোগ লুফে নিয়েছে। ফলে তারা ইসলামকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বিশ্বে উপস্থাপন করছে। এর সমাপ্তি হওয়া প্রয়োজন।
অথচ ছেলেদের কখনোই বিয়ে হয় না---
কারণ তারা নিজেরাই বিয়ে করে। কোনো মেয়ে যদি কোনো ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় তাহলে সবাই ধরে নেয় মেয়েটা চরম "বেহায়া"। অথচ আমরা জানি, এক মহিলা সাহাবী নিজেই রাসুল সাঃ এর সামনে গিয়ে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। এই বিষয়ের উপর "বুখারী শরীফে" একটি অধ্যায়ও রয়েছে।
বিয়েতে মেয়ের মত না নেয়ায় কত হাজার সংসারে- অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠে তা চারদিকে একটু চোখ বুলালেই দেখতে পাবেন আপনি। এমনকি হতে পারে আপনার নিজেরই পরিবার, প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনদের মধ্যেও এমন রয়েছে।
বাবারা নিজেদের স্ট্যাটাসের দিকে তাকিয়ে মেয়েদের পছন্দকে বলি দেন। আর মায়েরা মেয়ের দুঃখ বুঝেও স্বামীর ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। তাদেরও মত নেয়ার দরকার হয় না কারণ তারাও মেয়ে।
এখনো এমন হয় যে বাসর রাতেই দুজনের প্রথম সরাসরি দেখা বা কথা হয়। প্রথম রাতেই অনেক পুরুষ হামলে পড়েন সম্পূর্ণ অপরিচিত একটি মেয়ের উপর। কেউ কাউকে না চিনল, না জানল। এভাবে বছরের পর বছর দুটি শরীর হাজারো বার মিশে একাকার হয় কিন্তু মন থাকে যোজন যোজন দূরে। কেউ কাউকে জানার সুযোগ পায় না। বছর বছর ঘরের বালিশের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
মেয়েটি তার শরীরের শক্তি শেষ করে তেলাপিয়া মাছের মত মাথাটা দিনদিন মোটা আর শরীরটা চিকন হতে থাকে।
মেয়েটি জানেনা ভালবাসা কি জিনিস। তার স্বামী তাকে ভালবাসে কি না। অথবা সেও তার স্বামীকে ভালবাসে কি না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় মেয়ের চেয়ে স্বামী পাঁচ, দশ, পনের এমন কি বিশ পচিশ বছরের বিপত্মীক বা সপত্নীক ব্যাটাও থাকে। পার্বতীর স্বামীর মত। তার পক্ষে কেউ নেই। না বাবা, না ভাই না বন্ধু।
সবাই ভাবে তার আবার ব্যক্তিগত ইচ্ছা অনিচ্ছা কি? স্বামীর সেবা করবে, সোজা স্বর্গে যাবে। তা যেতেও পারে। কিন্তু এই অসম সম্পর্কের কর্তা পুরুষ যে জুলুম করার কারণে নরকে যাবেন তা কি ভেবে দেখেছেন?
মুখের উপর কাঁদা ছোড়ার অভ্যাসের কারণে অনেকেই আমাকে নারীবাদী বলে গালি দেন। আসলে এতে আমি মোটেও কষ্ট পাই না। আরে ভাই! ধর্মের দোহাই দেন কেন? ধর্মে নারীদের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তা কি একবার পড়ে দেখেছেন? মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া যাবে না। হাদীস খুলে দেখুন। মেয়ে জন্ম হলেই মন খারাপ হয় না? অথচ রাসুল সাঃ বলেছেন মেয়েদের লালন পালন করলে জান্নাতে যাওয়ার সহজ সুযোগ রয়েছে। কারণ নারীবাদী আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ নিজেই। রাসুল সাঃ ও প্রচণ্ড রকমের নারীবাদি ছিলেন। অথচ আমরা ইসলামের শিক্ষাকে বিকৃত করে নিজেদের সুবিধামত ব্যবহার করছি।
ইসলামই নারীদেরকে সবচেয়ে সম্মানিত স্থানে দাঁড় করিয়েছে যা ইসলামের উৎস, ইতিহাস দেখলে বুঝা যায়। অথচ বর্তমানে ইসলামপন্থীরা সে অবস্থান থেকে সরে এসে নিজেদের মনগড়া শরীয়ত তৈরি করে নারীদের উপর জুলুম নির্যাতনের যে পরাকাষ্ঠা চাপিয়ে দিয়েছে তাতে ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠীগুলো তাদের সমালোচনা করার এই সুযোগ লুফে নিয়েছে। ফলে তারা ইসলামকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বিশ্বে উপস্থাপন করছে। এর সমাপ্তি হওয়া প্রয়োজন।