আমাদের সমাজের অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, অনেক প্রগতিশীল লেখক, এমনকি অনেক নারীবাদীরাও
পতিতাবৃত্তিকে নগ্নভাবে সমর্থন দিয়ে থাকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু
চলচ্চিত্রে পতিতাবৃত্তিকে আরও ভয়ঙ্করভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। যেমন ‘কাল’,
‘চলো পাল্টাই’ ইত্যাদি। অনেকের কাছে আমি জিজ্ঞাসা করেছি, একটি সমাজে
পতিতাবৃত্তি থাকা উচিৎ কিনা। বেশিরভাগেরই মন্তব্য থাকা উচিৎ। অনেক সময়
তাদের সাথে তর্কও করেছি।
আমার অভিমত একটি সমাজে কোনভাবেই পতিতাবৃত্তি থাকা উচিৎ নয়। এমনকি পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বরং যেসব পতিতা এখন আছে তাদের রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। কেননা পতিতাবৃত্তি তা বৈধ বা অবৈধ যাই হোক না কেন তা মৌলিক মানবাধিকারের চরম পরিপন্থী। এজন্য ১৯৭৯ সালে গৃহীত নারীর জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন CEDAW ( Convention on Elimination of All Forms of Discrimination Against Women) এর ৬নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে State will combat against prostitution.
পতিতাবৃত্তির পক্ষে কথা বলাকে আমি পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রেখে নারীর অধিকারের পক্ষে ওকালতি করা বলে মনে করি। প্রকৃতপক্ষে নারী পতিতা হয় যতটা না নারীর কারনে তার চেয়ে বেশি পুরুষের প্রয়োজনে। অর্থাৎ পুরুষ তার ভোগ বিলাসিতার জন্যই নারীকে পতিতাবৃত্তি করা থেকে ফেরাবে না। আবার অন্যদিকে নারীর অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলবে।
পতিতা পুরুষের জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থার একটি বিশেষ উপঢৌকন। যা বিভিন্ন মোড়কে রেখে পুরুষ ভোগ করে যাচ্ছে।
নারীর কাজের সুযোগ নেই তাই নারী জীবিকার জন্য পতিতাবৃত্তির পথকে বেছে নেয়। যেহেতু নারীর জন্য এখন কাজের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে সেহেতু জীবিকার দোহাই দিয়ে নারীকে এই পেশা অবলম্বন করানো উচিৎ হবে না।
অনেকে বলে থাকে এটি পৃথিবীর আদিমতম পেশা, তাই এটি টিকে থাকা উচিৎ বা টিকে থাকবে। আমার মনে হয় আদিম বলেই এটি বর্জন করা উচিৎ। কারন অনেক আদিম কাজ এখন আমরা আর করি না সমাজের বা রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য। যেমন আদিমকালে আমরা উলঙ্গ হয়ে থাকতাম এখনো যদি আদিমকালের দোহাই দিয়ে উলঙ্গ হয়ে থাকি তা কখনোই ভাল ফল বয়ে আনবে না। যে আদিম বর্বর, যা মানুষকে মর্যাদা দেয় না, সে ধরনের আদিম পেশা গ্রহণ করা কিম্বা সমাজে কাউকে গ্রহণ করতে দেয়া অবশ্যই সুবিবেচনার পরিচয় দিবে না।
কেউ কেউ বলতে পারেন অনেক উন্নত দেশে এই পেশা স্বীকৃত এবং তাদের জি ডি পি তে বিশাল অবদান রাখে। আমার কথা, শুধু অর্থে উন্নত হলেই কোন দেশ উন্নত হয় না। অর্থের উন্নতির সাথে মানবাধিকারের উন্নতিও গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়াও যে পেশাতে আমরা আমাদের মা, বোন কিম্বা অন্য নিকট আত্মীয়দের মেনে নিতে পারিনা সে পেশা কেন সমাজের অন্য কোন নারীর জন্য হবে। আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ সামাজিক আচার আচরন কোনটাই এর পক্ষে না। তাহলে কেন এই করুন নিগৃহীত সামাজিক ব্যাধি থাকবে।
যদি পতিতাবৃত্তি না থাকে তাহলে, অনেকের মতে, সমাজে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে। কথাটি আমার কাছে নিষ্ঠুর মনে হয়েছে। কেননা এখানে সেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যৌনতা শুধু যে পুরুষের জন্যই তারই পুনরাবৃত্তি। যে স্ত্রীর স্বামী বাইরে থাকে তাঁকে আমরা অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক করতে দিবনা, কিন্তু তার স্বামী ঘরের বাইরে থাকবে তাই তার দুস্চরিত্রের বৈধতা দিতে হবে। বাহবা! পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।
প্রকৃতপক্ষে, যৌনতা পুরুষের যেমন অধিকার, নারীরও তেমনি। প্রকৃতির এই বিশেষ দান যার প্রতি নারী পুরুষের উভয়েরই সমান অধিকার আছে তা কখনোই কোন একটি পক্ষের ভোগের এবং কোন একটি পক্ষের জীবিকার উৎস হতে পারেনা। এটা প্রকৃতির আইনেরও পরিপন্থী। তাই পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে এই পথকে সম্পূর্ণ রুদ্ধ করে দেওয়া উচিৎ। এবং যারা বর্তমানে এই পেশায় আছে তাদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসন করে এই সমস্যার নির্মূল আমি কাম্য করি। কেননা পতিতাবৃত্তিও এক প্রকার দাস প্রথা। এতে যদি পুরুষের সমস্যা হয় তো হোক। কেননা নারীও ওই একই সমস্যা মুখ বুজে সহ্য করে আসছে সেই সভ্যতার সুচনালগ্ন থেকেই।
আমার অভিমত একটি সমাজে কোনভাবেই পতিতাবৃত্তি থাকা উচিৎ নয়। এমনকি পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। বরং যেসব পতিতা এখন আছে তাদের রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। কেননা পতিতাবৃত্তি তা বৈধ বা অবৈধ যাই হোক না কেন তা মৌলিক মানবাধিকারের চরম পরিপন্থী। এজন্য ১৯৭৯ সালে গৃহীত নারীর জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন CEDAW ( Convention on Elimination of All Forms of Discrimination Against Women) এর ৬নং অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে State will combat against prostitution.
পতিতাবৃত্তির পক্ষে কথা বলাকে আমি পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রেখে নারীর অধিকারের পক্ষে ওকালতি করা বলে মনে করি। প্রকৃতপক্ষে নারী পতিতা হয় যতটা না নারীর কারনে তার চেয়ে বেশি পুরুষের প্রয়োজনে। অর্থাৎ পুরুষ তার ভোগ বিলাসিতার জন্যই নারীকে পতিতাবৃত্তি করা থেকে ফেরাবে না। আবার অন্যদিকে নারীর অধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলবে।
পতিতা পুরুষের জন্য পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থার একটি বিশেষ উপঢৌকন। যা বিভিন্ন মোড়কে রেখে পুরুষ ভোগ করে যাচ্ছে।
নারীর কাজের সুযোগ নেই তাই নারী জীবিকার জন্য পতিতাবৃত্তির পথকে বেছে নেয়। যেহেতু নারীর জন্য এখন কাজের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হয়েছে সেহেতু জীবিকার দোহাই দিয়ে নারীকে এই পেশা অবলম্বন করানো উচিৎ হবে না।
অনেকে বলে থাকে এটি পৃথিবীর আদিমতম পেশা, তাই এটি টিকে থাকা উচিৎ বা টিকে থাকবে। আমার মনে হয় আদিম বলেই এটি বর্জন করা উচিৎ। কারন অনেক আদিম কাজ এখন আমরা আর করি না সমাজের বা রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য। যেমন আদিমকালে আমরা উলঙ্গ হয়ে থাকতাম এখনো যদি আদিমকালের দোহাই দিয়ে উলঙ্গ হয়ে থাকি তা কখনোই ভাল ফল বয়ে আনবে না। যে আদিম বর্বর, যা মানুষকে মর্যাদা দেয় না, সে ধরনের আদিম পেশা গ্রহণ করা কিম্বা সমাজে কাউকে গ্রহণ করতে দেয়া অবশ্যই সুবিবেচনার পরিচয় দিবে না।
কেউ কেউ বলতে পারেন অনেক উন্নত দেশে এই পেশা স্বীকৃত এবং তাদের জি ডি পি তে বিশাল অবদান রাখে। আমার কথা, শুধু অর্থে উন্নত হলেই কোন দেশ উন্নত হয় না। অর্থের উন্নতির সাথে মানবাধিকারের উন্নতিও গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়াও যে পেশাতে আমরা আমাদের মা, বোন কিম্বা অন্য নিকট আত্মীয়দের মেনে নিতে পারিনা সে পেশা কেন সমাজের অন্য কোন নারীর জন্য হবে। আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ সামাজিক আচার আচরন কোনটাই এর পক্ষে না। তাহলে কেন এই করুন নিগৃহীত সামাজিক ব্যাধি থাকবে।
যদি পতিতাবৃত্তি না থাকে তাহলে, অনেকের মতে, সমাজে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে। কথাটি আমার কাছে নিষ্ঠুর মনে হয়েছে। কেননা এখানে সেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যৌনতা শুধু যে পুরুষের জন্যই তারই পুনরাবৃত্তি। যে স্ত্রীর স্বামী বাইরে থাকে তাঁকে আমরা অন্য কারো সাথে যৌন সম্পর্ক করতে দিবনা, কিন্তু তার স্বামী ঘরের বাইরে থাকবে তাই তার দুস্চরিত্রের বৈধতা দিতে হবে। বাহবা! পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা।
প্রকৃতপক্ষে, যৌনতা পুরুষের যেমন অধিকার, নারীরও তেমনি। প্রকৃতির এই বিশেষ দান যার প্রতি নারী পুরুষের উভয়েরই সমান অধিকার আছে তা কখনোই কোন একটি পক্ষের ভোগের এবং কোন একটি পক্ষের জীবিকার উৎস হতে পারেনা। এটা প্রকৃতির আইনেরও পরিপন্থী। তাই পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে এই পথকে সম্পূর্ণ রুদ্ধ করে দেওয়া উচিৎ। এবং যারা বর্তমানে এই পেশায় আছে তাদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসন করে এই সমস্যার নির্মূল আমি কাম্য করি। কেননা পতিতাবৃত্তিও এক প্রকার দাস প্রথা। এতে যদি পুরুষের সমস্যা হয় তো হোক। কেননা নারীও ওই একই সমস্যা মুখ বুজে সহ্য করে আসছে সেই সভ্যতার সুচনালগ্ন থেকেই।