আরব ধনী রাষ্ট্রগুলোর কি কোন দায়িত্ব নেই?
সিরিয়ানদের আশ্রয় দেওয়ার দায় কেনো শুধু ইউরোপিয়ানদের হবে?
আমরা তো জানি "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই"
মুসলমান দেশগুলো এখন কোথায়?
তথাকথিত আরব বিশ্ব কোথায়?
ওআইসি এখন কোথায়?
কেউ এগিয়ে আসে নাই, কিন্তু-
বিপদে ঠিকই এগিয়ে এসেছে সারাদিন বিধর্মী বলে গালি দেয়া মানুষগুলো।
সৌদিআরব, বাহরাইন, কুয়েত, আরব আমিরাত এই ধনী রাষ্ট্রগুলো একজন সিরিয়ানকেও আশ্রয় দেয়নি।
সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ, ব্যাক্তিগত সম্পদ ১৭ বিলিয়ন ডলার। মেয়ের বিয়েতে উপহার দিয়েছেন খাঁটি সোনার টয়লেট। মেয়ে আমার বাঁকি জীবন সুখে শান্তিতে টয়লেট করুক । বিয়ে তো আর দশবার হবে না, তাই ওয়েডিং গ্রাউন দিয়েছেন ৩ মিলিয়ন ডলারের।
বাবা না ছেলে, ছেলে না বাবা। কেউ কারো থেকে কম না। যুবরাজ কিম কারদিশিয়ানের সাথে রাত কাটানোর জন্য ব্যয় করেন ১ মিলিয়ন ডলার। সো এক্সপেন্সিভ ফাকিং নাইট। আরেক যুবরাজ দুবাই নাইট ক্লাবে মাইয়ার বুকের উপর ছিটিয়ে দেন ১.৫ মিলিয়ন ডলার।
রাজায় তো আরেক কাঠি সরেস। ফ্রান্সের বিচও ফাঁকা করে দিতে হয় তার জন্য। আরেক যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালাত, ব্যাক্তিগত সম্পদ ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বউ আমেরিকান জিউ। সব ইয়াহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র। ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনেছেন ডায়ামন্ড খচিত মারসিডিচ। আকাশে উড়বেন সোনা না থাকলে কি চলে? ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনেছেন ব্যাক্তিগত সোনার বোয়িং AA -330 ।
উনাদের কেচ্ছা কাহিনী বলতে গেলে শেষ হবে না।
এখন প্রশ্ন হইলো এতো টাকা উনারা কোথা থেকে পান? সবই কি তেল বা সোনা বেচা টাকা? ৫০ লাখ হাজি প্রতি বছর হজ করার জন্য সৌদি সরকারকে দেয় প্রায় ২০-২৫ বিলিয়ন ডলার। সোনার টয়লেট, হিরের গাড়ি, সোনার বিমান, কিম কারদিশিয়ান এখন আসে কোথা থেকে আসে নিশ্চয় বুঝেছেন?
আরবদের চরম সেচ্ছাচারিতার মধ্যে সিরিয়ান শিশুরা ভেঁসে ওঠে ইউরোপের বিচে।
খাবারের জন্য লাইন ধরতে হয় হাঙ্গেরী বা অষ্ট্রিয়ার শরণার্থী শিবিরে। একটু আশ্রয়ের জন্য হাত পাততে হয় জার্মানির কাছে, যখন সৌদি সরকার ১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার ঘোষণা দেয়। যখন সার্বিয়ার রাস্তায় সিরিয়ান শিশু খাবারের অভাবে মারা যায় তখন ইংল্যান্ডের ঘোড়ার দৌড়ে তারা এক রাতে বাজি খেলে মিলিয়ন ডলার। এই টাকা দিয়ে কতো হাজার সিরিয়ানকে সাহায্য করা যেতো?
হে সিরিয়ান শিশু,
তুমি যখন মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ভুমধ্যসাগরের লবনাক্ত জল গিলছিলে, তখন তোমার প্রভু সৌদি প্রিন্সকে নিয়ে হলিউডের অর্ধনগ্ন নায়িকার সাথে রক্তিম মদ ভর্তি সরু গেলাসের কোমর ধরে চেয়ারস করছিল। তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো।
ইউরোপের একটি দেশ আইসল্যান্ডের ১০ হাজার নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে ১ জন করে সিরিয়ানকে আশ্রয় দিতে চেয়েছেন। তারা নিজের খরচে ১০ হাজার সিরিয়ানের দায়িত্ব নিতে রাজি। জার্মানী ঘোষনা দিয়েছে তারা ৮ লক্ষ শরর্ণার্থী গ্রহন করবে।
সিরিয়ায়, মিশরে, ইরাকে, লিবিয়ায় সবখানে আজ মুসলমানেরা মুসলমানদের মারছে, আর মানবতার বাক্স পেটরা নিয়ে বসে থাকতে হবে ইউরোপিয়ানদের!
সব পরিচয়ের উর্ধে মুসলমানিত্বকেই যারা মূল পরিচয় মনে করেন, তাদের ইউরোপের বিধর্মী মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখার আছে, আগে মানুষ পরিচয় ধারণ করতে হবে, এরপরে ধর্ম বর্ণের পরিচয় ধারন করতে হবে। মানুষই যদি হওয়া না যায় তাহলে ধর্ম পরিচয় দিয়ে কি হবে !
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস রোববার প্রার্থনার পর ঘোষণা করেছেন, ইউরোপের সকল ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গির্জাতে হলেও যেনো মুসলমান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হয়। তিনি ইউরোপবাসীকে শরণার্থীদের ভালো চোঁখে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপের সকল ধর্মের মানুষ, সকল ধর্মের উপাসনালয়ের উচিত হবে এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়া।
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো না হয় বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। কয়দিন পরতো মুসলিমদের সবচেয়ে বড় জমায়েত পবিত্র হজ্জ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান জমায়েত হবেন। ধর্মীয় নেতারা সেখানে বয়ান রাখবেন। পুরো পৃথিবীর মঙ্গল কামনা করবেন!
এই যে ক্যাথলিক ধর্মীয় গুরু যেমন বলেছেন-- শরণার্থীদের দরকার হয় গির্জা’তে হলেও জায়গা দেয়া দরকার; হজ্জের সময় ধর্মীয় নেতারা বয়ান দেয়ার সময় আমরা কি আশা করতে পারি না যে মানবতার দিকে তাকিয়ে মুসলমান ধর্মীয় নেতারা আহ্বান জানাবেন-- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে হলেও যেনো এই শরণার্থীরা জায়গা পান।...
(তথ্য সংগ্রহ)
সিরিয়ানদের আশ্রয় দেওয়ার দায় কেনো শুধু ইউরোপিয়ানদের হবে?
আমরা তো জানি "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই"
মুসলমান দেশগুলো এখন কোথায়?
তথাকথিত আরব বিশ্ব কোথায়?
ওআইসি এখন কোথায়?
কেউ এগিয়ে আসে নাই, কিন্তু-
বিপদে ঠিকই এগিয়ে এসেছে সারাদিন বিধর্মী বলে গালি দেয়া মানুষগুলো।
সৌদিআরব, বাহরাইন, কুয়েত, আরব আমিরাত এই ধনী রাষ্ট্রগুলো একজন সিরিয়ানকেও আশ্রয় দেয়নি।
সৌদি বাদশা আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ, ব্যাক্তিগত সম্পদ ১৭ বিলিয়ন ডলার। মেয়ের বিয়েতে উপহার দিয়েছেন খাঁটি সোনার টয়লেট। মেয়ে আমার বাঁকি জীবন সুখে শান্তিতে টয়লেট করুক । বিয়ে তো আর দশবার হবে না, তাই ওয়েডিং গ্রাউন দিয়েছেন ৩ মিলিয়ন ডলারের।
বাবা না ছেলে, ছেলে না বাবা। কেউ কারো থেকে কম না। যুবরাজ কিম কারদিশিয়ানের সাথে রাত কাটানোর জন্য ব্যয় করেন ১ মিলিয়ন ডলার। সো এক্সপেন্সিভ ফাকিং নাইট। আরেক যুবরাজ দুবাই নাইট ক্লাবে মাইয়ার বুকের উপর ছিটিয়ে দেন ১.৫ মিলিয়ন ডলার।
রাজায় তো আরেক কাঠি সরেস। ফ্রান্সের বিচও ফাঁকা করে দিতে হয় তার জন্য। আরেক যুবরাজ আলওয়ালিদ বিন তালাত, ব্যাক্তিগত সম্পদ ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বউ আমেরিকান জিউ। সব ইয়াহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র। ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনেছেন ডায়ামন্ড খচিত মারসিডিচ। আকাশে উড়বেন সোনা না থাকলে কি চলে? ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনেছেন ব্যাক্তিগত সোনার বোয়িং AA -330 ।
উনাদের কেচ্ছা কাহিনী বলতে গেলে শেষ হবে না।
এখন প্রশ্ন হইলো এতো টাকা উনারা কোথা থেকে পান? সবই কি তেল বা সোনা বেচা টাকা? ৫০ লাখ হাজি প্রতি বছর হজ করার জন্য সৌদি সরকারকে দেয় প্রায় ২০-২৫ বিলিয়ন ডলার। সোনার টয়লেট, হিরের গাড়ি, সোনার বিমান, কিম কারদিশিয়ান এখন আসে কোথা থেকে আসে নিশ্চয় বুঝেছেন?
আরবদের চরম সেচ্ছাচারিতার মধ্যে সিরিয়ান শিশুরা ভেঁসে ওঠে ইউরোপের বিচে।
খাবারের জন্য লাইন ধরতে হয় হাঙ্গেরী বা অষ্ট্রিয়ার শরণার্থী শিবিরে। একটু আশ্রয়ের জন্য হাত পাততে হয় জার্মানির কাছে, যখন সৌদি সরকার ১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কেনার ঘোষণা দেয়। যখন সার্বিয়ার রাস্তায় সিরিয়ান শিশু খাবারের অভাবে মারা যায় তখন ইংল্যান্ডের ঘোড়ার দৌড়ে তারা এক রাতে বাজি খেলে মিলিয়ন ডলার। এই টাকা দিয়ে কতো হাজার সিরিয়ানকে সাহায্য করা যেতো?
হে সিরিয়ান শিশু,
তুমি যখন মৃত্যুর আগ মুহূর্তে ভুমধ্যসাগরের লবনাক্ত জল গিলছিলে, তখন তোমার প্রভু সৌদি প্রিন্সকে নিয়ে হলিউডের অর্ধনগ্ন নায়িকার সাথে রক্তিম মদ ভর্তি সরু গেলাসের কোমর ধরে চেয়ারস করছিল। তুমি যেখানেই থাকো ভালো থেকো।
ইউরোপের একটি দেশ আইসল্যান্ডের ১০ হাজার নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে ১ জন করে সিরিয়ানকে আশ্রয় দিতে চেয়েছেন। তারা নিজের খরচে ১০ হাজার সিরিয়ানের দায়িত্ব নিতে রাজি। জার্মানী ঘোষনা দিয়েছে তারা ৮ লক্ষ শরর্ণার্থী গ্রহন করবে।
সিরিয়ায়, মিশরে, ইরাকে, লিবিয়ায় সবখানে আজ মুসলমানেরা মুসলমানদের মারছে, আর মানবতার বাক্স পেটরা নিয়ে বসে থাকতে হবে ইউরোপিয়ানদের!
সব পরিচয়ের উর্ধে মুসলমানিত্বকেই যারা মূল পরিচয় মনে করেন, তাদের ইউরোপের বিধর্মী মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখার আছে, আগে মানুষ পরিচয় ধারণ করতে হবে, এরপরে ধর্ম বর্ণের পরিচয় ধারন করতে হবে। মানুষই যদি হওয়া না যায় তাহলে ধর্ম পরিচয় দিয়ে কি হবে !
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস রোববার প্রার্থনার পর ঘোষণা করেছেন, ইউরোপের সকল ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গির্জাতে হলেও যেনো মুসলমান শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হয়। তিনি ইউরোপবাসীকে শরণার্থীদের ভালো চোঁখে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপের সকল ধর্মের মানুষ, সকল ধর্মের উপাসনালয়ের উচিত হবে এই মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়া।
মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশগুলো না হয় বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। কয়দিন পরতো মুসলিমদের সবচেয়ে বড় জমায়েত পবিত্র হজ্জ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান জমায়েত হবেন। ধর্মীয় নেতারা সেখানে বয়ান রাখবেন। পুরো পৃথিবীর মঙ্গল কামনা করবেন!
এই যে ক্যাথলিক ধর্মীয় গুরু যেমন বলেছেন-- শরণার্থীদের দরকার হয় গির্জা’তে হলেও জায়গা দেয়া দরকার; হজ্জের সময় ধর্মীয় নেতারা বয়ান দেয়ার সময় আমরা কি আশা করতে পারি না যে মানবতার দিকে তাকিয়ে মুসলমান ধর্মীয় নেতারা আহ্বান জানাবেন-- মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মসজিদে হলেও যেনো এই শরণার্থীরা জায়গা পান।...
(তথ্য সংগ্রহ)